|
|
|
|
|
রাহুল এ বার সচিনকেও
পিছনে ফেলে দিচ্ছে
অশোক মলহোত্র |
|
শনিবারটা যেন আইপিএলে চ্যালেঞ্জারদের দিন।
ঘরের মাঠে ভয়ঙ্কর বাঘ বলতে এত দিন চেন্নাই সুপার কিংস-কে বোঝাত। এ বার ধোনির টিমকে চ্যালেঞ্জে ফেলে দিচ্ছে রাজস্থান রয়্যালস। রাহুল দ্রাবিড়ের দলের খেলা জয়পুরে যত দেখছি, তত বুঝছি হোম গ্রাউন্ডের সুবিধে নেওয়া কাকে বলে!
পরের ম্যাচে আবার ভয়ঙ্কর গেইল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের গেমপ্ল্যানের শিকার ২০ বলে ১৮ তুলে (গেইলের কিনা স্ট্রাইকরেট একশোর কম)! যে দিন কিনা কয়েক ঘণ্টা আগেই শেন ওয়াটসন ৫৩ বলে অপরাজিত ৯৮ করে দু’ওভারেরও বেশি বাকি থাকতে রাজস্থানকে জেতাল সানরাইজার্স মোটামুটি ভাল টার্গেট (১৪৪-৯) দেওয়া সত্ত্বেও। ওয়াটসনকে দেখে মনে হচ্ছে, গেইলকে একা মস্তানি করতে দিতে ও রাজি নয়। জয়পুর এখন চেন্নাইয়ের চ্যালেঞ্জার হলে, গেইলের চ্যালেঞ্জার ওয়াটসন। এবং দিনটা চ্যালেঞ্জারদেরই। জয়পুরে ওয়াটসনরা ৮ উইকেটে জিতে থাকলে মুম্বইয়ে গেইলরা হারল ৫৮ রানে। |
৫৩ বলে ৯৮ ন.আ। ওয়াটসন এখন গেইলের চ্যালেঞ্জার। |
জয়পুরের উইকেটটা রাহুলরা বানিয়েইছে ওদের টিমের বোলিং কম্বিনেশনের কথা পুরোপুরি মাথায় রেখে। যতই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটা ব্যাটসম্যানদের মস্তানি দেখানোর জায়গা হোক, রাজস্থান কিন্তু এ বারের টুর্নামেন্টে নতুন দিশা দিল ঘরের মাঠে নিজেদের বোলিং শক্তি অনুযায়ী ঠিকঠাক উইকেট বানিয়ে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও পরের পর জেতা সম্ভব।
শনিবার যেমন। সানরাইজার্সকে শুরুতেই ২৯-৬ করে দিয়েছিল রাহুলের বোলাররা। অস্ট্রেলিয়ার ফকনার (এ দিনই এ বারের আইপিএলের সেরা বোলিং করলেন, ৪ ওভারে ৫-২০), ওয়েস্ট ইন্ডিজের কুপার, আমাদের স্টুয়ার্ট বিনি-ত্রিবেদী, চার জনই এক্সপ্রেস পেসার না হোক কিন্তু চমৎকার মুভার। আর জয়পুরের উইকেটে বলটা বেশ ভালই নড়াচড়া করে।
প্রশংসা করব রাজস্থান ক্যাপ্টেনের। স্টেইনের শুরুর গোলাগুলি থেকে টিমের সেরা ব্যাটসম্যানকে বাঁচাতে রাহুল নিজে ওপেন করল। এই বয়সে! আম্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার পরেও! টেকনিক্যালি একেবারে নিঁখুত বলেই রাহুল (৩৫ বলে ৩৬) এখনও এ রকম ধারাবাহিক ব্যাটিং করে চলেছে। স্টেইনের প্রথম দুটো ওভারের প্রতিটা ডেলিভারি ও খেলেছে। দেখেশুনে মনে হচ্ছে, প্রথম বছর যে বার রাজস্থান রয়্যালস চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, সে বারের অধিনায়ক-কাম-অভিভাবক শেন ওয়ার্নের মতোই এ বার রাহুল। রাজস্থান অন্তত সেমিফাইনাল না গেলে সেটাই হবে আইপিএল সিক্সের বৃহত্তম অঘটন। |
ফকনার: ৪ ওভারে ৫-২০। |
সচিন যে সচিন, তাকেও এই জায়গায় রাহুলের সমগোত্রীয় দেখাচ্ছে না। সচিন ক্রিকেটের সব ফরম্যাটেই একটা ‘ইমপ্যাক্ট’ ঠিকই। কিন্তু এই আইপিএলে ‘ক্যামিও’-র বেশি ভূমিকা নিতে পারেনি। এ দিনও সচিন ১৩ বলে ২৩ করলেও সেটাও ক্যামিও ইনিংসই। ম্যাচের ভোল পালটে দেওয়া তেন্ডুলকরোচিত ইনিংস নয়। তা সত্ত্বেও মুম্বই দু’শোর কাছাকাছি পৌঁছল আর তার পর গেইলের যেটা একমাত্র ‘আনকমফোর্ট জোন’, সেই অফস্পিনের জাল বিছিয়ে তাকে ফিরিয়ে ম্যাচ পকেটে পুরে নিল। ১৭৫-এর গেইল-সাইক্লোনের দিন পুণের কোনও অফস্পিনার ছিল না। মুম্বই প্রথমে জনসন আর মালিঙ্গার গতি দিয়ে গেইলকে শান্ত রাখার পর হরভজনকে আনল। স্পিনের বিরুদ্ধে মারতে গিয়েই আউট গেইল। বিমূঢ় ভাব কাটার আগেই আরসিবি হারাল দিলশান, কোহলি, ডেভিলিয়ার্সকে। প্রথম আট ওভারে চার জন ম্যাচ উইনারকে খুইয়ে আর কোন টিম কবে জিততে পেরেছে? বেঙ্গালুরুও পারল না।
|
ছবি: পিটিআই |
|
|
|
|
|
|