স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য পানীয় জলের ব্যবস্থা চেয়ে প্রশাসনের নানা জায়গায় আবেদন করেছিলেন। কিন্তু ফল হয়নি। তাই অবসর নেওয়ার এক বছর পরে নিজেই উদ্যোগী হয়ে স্কুলে পানীয় জলের ব্যবস্থা করলেন কেতুগ্রামের সুলতানপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।
কৃষ্ণপ্রসাদবাবু বলেন, “২০০৬ সালে ওই স্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দিই। পড়ুয়ারা জলকষ্ট দেখে তখন থেকেই ইচ্ছে ছিল স্কুলে পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দেব। অবসর নিয়ে টাকা পাওয়ার পরেই সেই ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হই।” ওই স্কুলে সাবমর্সিবল পাম্প বসছে। পাইপলাইন ও জলাধারও কৃষ্ণপ্রসাদবাবু করে দিয়েছেন। পড়ুয়ারা জানায়, স্কুলের নলকূপটি গ্রামবাসীরাও ব্যবহার করেন। ফলে প্রায়ই সেটি খারাপ হয়ে যেত। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এক বার নলকূপ খারাপ হলে কবে সংস্কার হবে কেউ জানত না। জলকষ্টে ভুগত পড়ুয়ারা মিড-ডে মিল রান্নাতেও সমস্যায় পড়তেন স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর সদস্যেরা। ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিশ্বনাথ হোড় বলেন, “কৃষ্ণপ্রসাদবাবু এখন বোলপুরে থাকেন। তা সত্ত্বেও তিনি পড়ুয়াদের জলকষ্টের কথা ভোলেননি। এ জন্য তাঁর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।”
|
একশো দিনের প্রকল্পে পুকুর সংস্কারের কাজ করতে গিয়ে উঠে এল আগ্নেয়াস্ত্র। কালনা ২ ব্লকের কাজিতপুর গ্রামের উত্তরপাড়ার ঘটনা। স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি পুকুর সংস্কারের কাজে নেমেছেন এলাকার মানুষ। শুক্রবার সকালে এক জন শ্রমিক পুকুর খুঁড়তে গিয়ে কাদা মাখা অবস্থায় আগ্নেয়াস্ত্রটি পান। কালনা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ভয়ে দুষ্কৃতীরা ওই অস্ত্র জলভর্তি পুকুরে ফেলে রেখেছিল।
|
চার বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবারের গলসির ঘটনা। অভিযুক্ত যুবকের নাম বিকাশ প্রামানিক। বাড়ি একই গ্রামে। শিশুটির বাবা গলসি থানায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগে জানান, ওই দিন দুপুরে তাঁর মেয়ে পাশের বাড়িতে আর একটি শিশুর সঙ্গে খেলা করতে গিয়েছিল। তখন বিকাশ তাকে লজেন্স দিয়ে বাড়ির দোতলায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনা জানাজানি হতেই বিকাশ পালিয়ে যায়। গলসি থানা সূত্রে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত পলাতক। তাকে খোঁজা হচ্ছে। |