৩ কিলোমিটার পাকা রাস্তার দাবিতে প্রতি বছর ভোট বয়কট আন্দোলন করে আসা ৮টি গ্রামের মানুষের মুখে হাসি ফুটল। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের সেওয়াই থেকে কুমারগঞ্জ ব্লকের সীমানা সৈয়দপুর পর্যন্ত ওই তিন কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। ৮টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষের যাতায়াতের রাস্তাটি কাঁচা ছিল। গত বৃহস্পতিবার রাস্তা পাকা করার কাজ শুরু হতেই গ্রামবাসীরা খুশি। তাঁরা জানান, এতদিনে সমস্যার সমাধান হতে চলল।
তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক বাচ্চু হাঁসদা বলেন, “গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিলের ২ কোটি ৫ লক্ষ টাকায় রাস্তাটির টেন্ডার করে পাকা করার কাজ শুরু হয়েছে। সিপিএম নিয়ন্ত্রিত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদ রাজনৈতিক কারণে রাস্তাটি এত দিন পাকা করার কোনও উদ্যোগ নেয়নি। মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছিল।” সিপিএম নেত্রী জেলা পরিষদ সভাধিপতি মাগদালিনা মুর্মু বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় রাস্তা তৈরির প্রস্তাব অনেক আগেই কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠানো হলেও টেকনিক্যাল সমস্যায় অনুমোদন মেলেনি। তবে চেষ্টা করা চলছিল।” গত লোকসভা, বিধানসভা এবং পঞ্চায়েত ভোট বয়কট করে প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা পাকা করার দাবিতে আন্দোলন করেন বাসিন্দারা। জেলা পরিষদেও ধর্না বিক্ষোভ হয়। বাসিন্দারা জানান, সেওয়াই-সৈয়দপুর এলাকার কইতারা, কৃষ্ণগড়, দশাই, গুপীনাথপুর, চাঁদমোনা, গোপালপুর সহ ৮টি এলাকার বাসিন্দা বর্ষার সময় ববির্জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তেন। এক হাইস্কুল, ডাকঘর, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র-সহ ১৮টি প্রাথমিক এবং শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের পড়ুয়া থেকে শিক্ষক ও কর্মীরা বেহাল কাঁচা রাস্তা ধরে যাতায়াত করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়তেন। এলাকার বাসিন্দা রঞ্জিৎ চৌধুরী, বিপুল চৌধুরী জানান, গত ২০০৮ সাল থেকে পঞ্চায়েত ভোট বয়কটের মধ্যে দিয়ে আন্দোলন শুরু হয়। এরপর ২০০৯ সালে লোকসভা, ২০১১ সালে বিধানসভা ভোট বয়কট হয়। পাকা রাস্তার দাবিতে আন্দোলন জারি ছিল। |