|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ২... |
|
শূন্যতার বোধ মানেই নৈরাশ্য নয় |
ফ্রানৎস কাফকা’র জীবন ও গ্রন্থপঞ্জির সঙ্গে চিত্রমালা এবং মুশায়েরা-য় (সম্পা: সুবল সামন্ত)। কাফকা-র একগুচ্ছ রচনার অনুবাদ, তাঁকে নিয়ে গর্ডিমার, বোর্হেস, বার্ত-এর রচনারও অনুবাদ। কামু লিখেছেন ‘কাফকার সমগ্র শিল্প এমনভাবে গঠিত যে পাঠককে পুনর্পাঠে বাধ্য করে।’ আবার শঙ্খ ঘোষ লিখেছেন ‘এখনো আমরা কাফকা পড়ব অন্তত এই উপলব্ধির জন্য যে জীবনের বহির্মণ্ডলে কোনো-এক শূন্যতার বোধ মানেই বিকল নৈরাশ্যের বোধ নয়, পরতে পরতে বিচ্ছিন্নতাকে খুলে দেখাবার মানেই সেই বিচ্ছিন্নতাকে মেনে নেওয়া নয়।’ সমাজ বিপ্লবের কাজে নিয়োজিত শিল্প-সাহিত্যের প্রয়োগমূল্য নিয়ে যে বিতর্ক তা বর্তমান প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতেই এ বারের পরিচয়-এ (সম্পা: বিশ্ববন্ধু ভট্টাচার্য) অর্ধশতক আগের ‘সাহিত্য বিতর্ক’। লিখেছিলেন আবু সয়ীদ আইয়ুব, অমরেন্দ্রপ্রসাদ মিত্র, শীতাংশু মৈত্র, নীরেন্দ্রনাথ রায়। প্রয়াত সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ’কে নিয়ে লিখেছেন সম্পাদক স্বয়ং, এবং শমীক বন্দ্যোপাধ্যায় সাধন চট্টোপাধ্যায় অমর মিত্র শ্রাবণী পাল। ভাবাবে আমিনুল ইসলামের ‘বিবেকানন্দ ইসলাম ও সমকালীন ভারতবর্ষ’।
ধূমপান করলেই ফুসফুসে ক্যানসার হয় এমন প্রবাদবাক্য সম্পর্কে স্থবির দাশগুপ্ত আরশিনগর-এ (সম্পা: স্বাতী গুহ) তাঁর ‘তামাকু সেবনের কেচ্ছাকাহিনি’তে লিখছেন ‘আমেরিকায় দেখা গেছে উল্টো ছবি। ১৯৫৫ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সেখানে পুরুষদের মধ্যে ধূমপানের হার ক্রমশ কমেছে... তাতে কিন্তু পুরুষদের মধ্যে লাং ক্যানসারের হার কমল না, বরং বেড়ে গেল।’ এক আত্মগত ভাষ্যে সুগত মারজিৎ লিখেছেন ‘যেমনটা দেখেছি’, তাতে দীর্ঘ সময় জুড়ে মূল্যবোধের নানান চেহারা আর তার সঙ্গে লেখকের মোকাবিলা।
রবীন্দ্রচর্চার পাশাপাশি বিবেকানন্দ চর্চা এ বারের আন্তর্জাতিক পাঠশালা-য় (প্রধান সম্পাদক: অমিত রায়) গুরুত্বপূর্ণ। লিখেছেন জয়ন্তকুমার ডাব আর সন্দীপন সেন। আছে নানা বিষয়ে মনস্ক নিবন্ধাদি।
গল্প, প্রবন্ধ, কবিতা, বা অন্য ভাবনা নিয়ে বেরিয়েছে দুর্বাসা (বিশ্বজিৎ বাগচী)। ঝাড়খণ্ড ও মধ্যপ্রদেশ থেকে যুগ্ম ভাবে প্রকাশিত এ-পত্র বিভিন্ন প্রদেশের ভাবনার অনন্য সেতু। লিখেছেন নানা প্রদেশের লেখক: কলকাতার স্বপ্নময় চক্রবর্তী, গুরগাঁওয়ের রবীন্দ্র গুহ, জামশেদপুরের কমল চক্রবর্তী সহ অনেকে।
দীপংকর লাহিড়ীর দীর্ঘ আত্মকথন ‘প্রেসিডেন্সির স্মৃতি: বৈদগ্ধের ক্রমিক অবক্ষয়’ বঙ্গসমাজের এক সময়ের ইতিহাস তুলে আনে যেন। শ্রয়ণ-এ (সম্পা: পথিক বসু) এ ছাড়া অমিতাভ দেব চৌধুরী ও শ্যামলকুমার গঙ্গোপাধ্যায়ের অনুবাদে রবার্ট ফ্রস্টের কবিতা আর জোভান্নি বোকাচ্চর গল্প।‘শিক্ষার অর্জনে রবীন্দ্র শরণ’ নিয়ে কুমার রাণা তাঁর অনতিদীর্ঘ নিবন্ধে ভাবিয়ে তোলেন পাঠককে। এবং অন্যকথা-য় (প্রধান সম্পাদক: বিশ্বজিৎ ঘোষ জলধি হালদার) নতুন চিন্তার খোরাক জোগাবে গৌতম রায়ের ‘চিনা সমাজতন্ত্র ও চৈনিক শ্রমজীবীরা’-সহ আরও অনেক নিবন্ধ। পুনরুদ্ধার-পর্বে রয়েছে রবীন্দ্রগান নিয়ে ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা। |
|
|
|
|
|