ভরদুপুরে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে ব্যাঙ্কে ঢুকে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা লুঠ করে পালাল দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার দুপুর সওয়া দু’টো নাগাদ এই ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে ইঁদপুর থানার আড়ালডিহি গ্রামে অবস্থিত একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের একটি শাখায়। খবর পেয়ে ইঁদপুর থানার ওসি গৌতম শিকদার পুলিশ বাহিনী নিয়ে ব্যাঙ্কে যান। তার আগেই অবশ্য দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। পরে খাতড়ার এসডিপিও কল্যাণ সিংহরায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার মুকেশকুমার বলেন, “দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে ধরার চেষ্টা চলছে।” টিফিন টাইমে পাশের ক্যান্টিনে খেতে যাচ্ছিলেন ব্যাঙ্ককর্মীরা। আচমকা মুখে কাপড় ঢাকা জনা ছয়েক দুষ্কৃতী দ্রুত পায়ে ব্যাঙ্কে ঢুকে পড়ে। দু’জন দুষ্কৃতী ক্যাশিয়ার পরিমল কর্মকারের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে তাঁর কাছ থেকে চাবি চায়। তারপরে তাঁকে ভল্ট খুলতে বাধ্য করিয়ে সেখান থেকে লক্ষাধিক টাকা লুঠ করে পালায়। ব্যাঙ্কের ম্যানেজার দেবাশিস ব্রহ্মচারীর সঙ্গে এ দিন বার বার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। তবে ওই ব্যাঙ্কের ক্যাশিয়ার পরিমল কর্মকারের অভিযোগ, “আমি খেতে যাচ্ছিলাম। পাশের ক্যান্টিনে আচমকা মুখঢাকা চার জন আমার সামনে হাজির হয়। দু’জন আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলে, ‘ক্যাশভল্টের চাবি কোথায়?’ আমাকে দিয়ে ওরা ক্যাশ ভল্ট খুলিয়ে সব টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায়।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাঙ্ক কর্মী জানান, ওই দলে ৬ থেকে ৮ জন ছিল। চার জনের মুখ গামছা দিয়ে ঢাকা ছিল। বাকিরা হেলমেট পড়েছিল। পুলিশ সুপার জানান, ডাকাতির ঘটনায় সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরে পুলিশ ইঁদপুর থানার বনকাঁটা সেতু কাছ থেকে দু’টি পরিত্যাক্ত মোটরবাইক উদ্ধার করে।
|
টাকা ফেরত দেওয়া ও এজেন্টদের সুরক্ষার দাবিতে শুক্রবার বাঁকুড়া জেলাশাসকের দফতরে বিক্ষোভ দেখিয়ে স্মারকলিপি দিল সারদার শতাধিক এজেন্ট। তাঁদের দাবি, সারদা গোষ্ঠীর ভরাডুবির পরে ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন সারদার বহু এজেন্ট। তাঁদের ঘরে ফেরানো ও নিরাপত্তার দায়িত্ব প্রশাসনকে নিতে হবে। এজেন্টরা বলেন, “লক্ষ লক্ষ টাকা আমাদের হাত দিয়ে সারদা গোষ্ঠীকে দিয়েছেন বহু মানুষ। তাঁরা সুদীপ্ত সেনকে চেনেন না, আমাদের চেনেন। তাই আমরা ঘরে ঢুকলেই আমাদের উপরে হামলা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।” বাঁকুড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) মৌমিতা বসু বলেন, “ওঁদের দাবিগুলি খতিয়ে দেখা হবে।”
|
পুকুরে স্নান করতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হল দুই মাসতুতো ভাইয়ের। তাদের নাম মণিদীপ বাউরি (১২) ও সুমিত বাউরি (৮)। শুক্রবার আড়শার কাঁটাডি গ্রামের ঘটনা। মণিদীপের বাড়ি পুরুলিয়া শহরের নামোপাড়া এলাকায়। সে শহরের চিত্তরঞ্জন উচ্চ বিদ্যালয়ে (বালক) ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত। সুমিতের বাড়ি পুরুলিয়া শহরের মুন্সেফডাঙায়। সে স্থানীয় চিটাডাঙা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল। গাজন উপলক্ষ্যে তারা মামারবাড়ি আড়শার কাঁটাডিতে গিয়েছিল। শুক্রবার তারা দু’জনে স্থানীয় একটি পুকুরে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে যায়। |