|
|
|
|
অশান্তিতে বাস বন্ধ, সমস্যায় নিত্যযাত্রীরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
‘রুট পারমিট’ নিয়ে মালিকদের মধ্যে অশান্তির জেরে দু’দিন ধরে বাস চলাচল বন্ধ হলদিয়া--রায়রায়াঁচক-কুকড়াহাটি রুটে। বুধবার রাত থেকে এই রুটের বাস চলাচল বন্ধ থাকায় নাকাল হন নিত্যযাত্রীরা। শুক্রবার বাস বন্ধের কারণ জানিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই শাখার বাস-মালিক সংগঠন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, একই শাখায় একই সময়ে একাধিক বাস চলায় বাস কর্মচারীদের একাংশের মধ্যে বচসা ও মারামারি লেগেই রয়েছে। মালিকদের মধ্যেও বেশ কয়েক দিন ধরেই বাসগুলির রুট ও সময়সূচি নিয়ে গণ্ডগোল চলছিল। বুধবার তা চরমে পৌঁছলে ওই রুটের ১৪টি বাস বন্ধ করে দেয় মালিক ও কর্মচারীরা। এ দিকে শিল্পশহরে বাসই একমাত্র ভরসা। কিছু শাখায় ট্রেকার চললেও এই শাখায় চলে না ট্রেকারও। তাই দু’দিনের বাস বন্ধে রায়রয়াঁচক, বালুঘাটা, চকদ্বিপা, ব্রজলালচক এলাকার স্কুল-কলেজের পড়ুয়া থেকে নিত্যযাত্রীরা সমস্যায় পড়েন। বাস সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু দিন আগে অহীন্দ্র মাইতি নামে এক বাসের মালিক ঋণ শোধ করতে না পারায় ব্যাঙ্ক বাসটি কেড়ে নেয়। সম্প্রতি তাঁর স্ত্রী উত্তরা মাইতির নামে থাকা ‘রুট পারমিট’টি সোমনাথ খাটুয়া নামে অন্য এক বাস মালিককে ব্যবহার করতে দেন তিনি। এর পরেই গোলমাল বাধে। বাস সংগঠনের দাবি, উত্তরা মাইতির নামে থাকা বাসের রুট পারমিটটি কুকড়াহাটি-পৌরসভা হয়ে টাউনশিপের। কিন্তু সোমনাথ খাটুয়া ও অহীন্দ্র মাইতি জোর করে রায়রায়াঁচক রুটে বাসটিকে চালালে বাকি ১৩টি বাসের সময়সূচি নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। ওই শাখার বাস সংগঠনের সম্পাদক স্বপন সামন্ত বলেন, “১৩টি বাস রায়রায়াঁচক ও একটি বাস পৌরসভা হয়ে চলাচল করত। কিন্তু ওই একটি বাস রায়রায়াঁচক রুটে ঢুকে পড়ার সমস্যা শুরু হয়। তবে নিত্যযাত্রীদের কথা ভেবে শুক্রবার দু’একটি বাস চলেছে। আশা করছি তাড়তাড়ি সমস্যার সমাধান হবে।” |
|
|
|
|
|