দক্ষিণ কলকাতা: বেহালা
সুরাহা কবে
এ ভাবেই যাতায়াত
যা তায়াতের মাধ্যম কেবলমাত্র প্যাডেলচালিত ও মোটরচালিত ভ্যান, ট্রেকার এবং কিছু অটো। ভ্যানে ঠাসাঠাসি করে অথবা ট্রেকারে বাদুরঝোলা হয়েই নিত্য দিন চলে যাতায়াত। অটোতেও উপচে পড়া ভিড়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বহু প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও আজও কোনও উপযুক্ত যাতায়াতের ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি ধামুয়া, আমড়াতলা, শেরপুর, শিরাকোল এলাকায়।
ধামুয়া রেল স্টেশন থেকে একটি রাস্তা আমতলা গিয়েছে। আর একটি রাস্তা শেরপুর মোড় হয়ে শিরাকোলের কাছে ডায়মন্ড হারবার রোডে মিশেছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বহু বার এই এলাকাগুলির যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন মহলে আবেদন জানানো হয়েছে।
প্রতি বারই ভোটের আগে সব রাজনৈতিক দলের তরফে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু ভোট গেলে সেই প্রতিশ্রুতির কথা মনে রাখে না কোনও দলই। স্থানীয় বাসিন্দা সাধন চৌধুরীর কথায়: “ট্রেকার, ভ্যান বা অটোতে এমন উপচে পড়া ভিড় হয় যে, বাড়ির লোক আমতলা বা শিরাকোলে গেলে না ফেরা পর্যন্ত প্রচণ্ড দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়।”
ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা জানান, সব চেয়ে বেশি অসুবিধা হয় শীত ও বর্ষায়। দুই-এক পশলা বৃষ্টি হলেই বহু জায়গায় রাস্তার অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। ট্রেকার, ভ্যান এবং অটোর সংখ্যাও কমে যায়। তখন হেঁটে বাড়ি ফেরা ছাড়া উপায় থাকে না। শীতকালে সন্ধ্যার পরে যানবাহন পাওয়াটাই দুষ্কর হয়ে ওঠে। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, সন্ধ্যার পরে অনেক সময়ে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়েও বেশি ভাড়া দিতে হয়। বাসিন্দারা জানান, এই সব এলাকায় কোনও যানবাহনেই হিসেব করে যাত্রী তোলেন না চালকেরা। গাড়িতে উপচে পড়া ভিড় থাকে। তাঁদের দাবি, যানবাহনের সংখ্যা কম হওয়া এই প্রচণ্ড ভিড়ের একটা বড় কারণ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের এক কর্তা বলেন, “এই সমস্যা দীর্ঘ দিনের। যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে আমরা এর মধ্যে কয়েক দফা আলোচনা করেছি। আশা করছি, খুব শীঘ্রই এই সমস্যার একটা সুরাহা হবে।”
পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রের কথায়: “দক্ষিণ ২৪ পরগনার অনেক এলাকাতেই এই সমস্যা রয়েছে। আমরা এলাকাগুলো চিহ্নিত করেছি। এই সব রুটে ছোট বাস চালানোর কথাও ভেবেছি।”

ছবি: অরুণ লোধ




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.