উত্তর কলকাতা: পাইকপাড়া, ব্যারাকপুর
পানিহাটি
অ-মিলের পাঠ
য়েকটি স্কুলে চালু হয়নি মিড ডে মিল। কয়েকটিতে চালু হয়েও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অভিযোগ, স্কুলগুলির পরিকাঠামোগত ঘাটতি, স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং পুরসভার অনীহা এর জন্য দায়ী। এই অবস্থা পানিহাটি পুর এলাকার।
পুরসভা সূত্রের খবর, পানিহাটি পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডে ১১৪টি প্রাথমিক এবং ৩৫টি উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। অভিযোগ, এর মধ্যে ১৭টি উচ্চ বিদ্যালয়, ৪২টি প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিল চালু হয়নি। তিনটি প্রাথমিক স্কুলে মিল চালু হয়েও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে বঞ্চিত হচ্ছে প্রায় কুড়ি হাজার পড়ুয়া। আবার কয়েকটি স্কুলে দুপুরে উচ্চ বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল দেওয়া হলেও সকালে প্রাথমিকের পড়ুয়ারা তা পাচ্ছে না। যদিও সুপ্রিম কোর্টের ২০১০-এর নির্দেশিকা অনুসারে সব স্কুলে মিড ডে মিল চালু হওয়া বাধ্যতামূলক।
পুরসভার চেয়ারম্যান সিপিএমের চারণ চক্রবর্তী বলেন, “কয়েকটি স্কুলে পড়ুয়ার অভাবে মিড ডে মিল চালু হয়নি। কয়েকটি প্রাথমিক স্কুলে রান্নার জায়গা নেই। কয়েকটি স্কুলে কর্তৃপক্ষের অনীহাও রয়েছে। তবে সব স্কুলে মিড ডে মিল চালু করার ব্যাপারে আলোচনা চলছে।”
এই প্রকল্পের অর্থ জেলাশাসকের দফতর থেকে পুরসভার মাধ্যমে স্কুলে আসে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (ট্রেজারি) পার্থ ঘোষ বলেন, “গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় কয়েকটি স্কুলে মিড ডে মিলে সমস্যা হয়েছে। মার্চের শেষে আমাদের কাছে আরও টাকা এসেছে। আশা করি এই সমস্যা মিটে যাবে।”
পুরসভা সূত্রের খবর, ১৮টি উচ্চ বিদ্যালয়ে জায়গার অভাব থাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা অন্যত্র রান্নার ব্যবস্থা করেছে। এ ভাবেই বাকি ১৭টি উচ্চ বিদ্যালয়েও মিড ডে মিল চালু করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু ৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়ে কোনও আশার কথা পুরকর্তৃপক্ষ শোনাতে পারেননি।
পানশিলা দেশবন্ধুনগর বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক বিকাশচন্দ্র রায় বলেন, ‘‘পুরপ্রধান মিটিং করে সব স্কুলে মিড ডে মিল চালু করার কথা বলেন। এর পরে অতিরিক্ত জেলাশাসক (ট্রেজারি)-ও স্কুলগুলিকে নিয়ে মিটিং করেন। এর পরে আর কিছু হয়নি।’’ নাটাগড় শশীমুখী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সন্দীপ সেনগুপ্তের কথায়: ‘‘আমাদের রান্নার জায়গার অভাব রয়েছে। তাই পুরপ্রধানকে বলেছিলাম কয়েকটি স্কুলকে নিয়ে কমন কিচেন করে কেন্দ্রীয় ভাবে খাবার পরিবেশন করা হোক। প্রকল্পের জন্য এখনও টাকা পাইনি। পুরপ্রধান কোনও উত্তর দেননি।’’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবকের অভিযোগ, “অনেক প্রাথমিক স্কুলকর্তৃপক্ষ মিড ডে মিল চালু করতে ইচ্ছুক নন। নানা অজুহাত দেখাচ্ছেন। পুরসভারও গা-ছাড়া ভাব।’’ পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (শিক্ষা) তন্দ্রা দাস বললেন, “৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এ ব্যাপারে তাদের সমস্যার কথা চিঠি দিয়ে জানিয়েছে। আমরা ডি আই-কে জানিয়েছি। সব স্কুলে মিড ডে মিল চালু করার ব্যাপারে চেষ্টা চলছে।”
জেলা স্কুল-পরিদর্শক (ব্যারাকপুর ডিভিশন) সুকুমার দাস বলেন, “পানিহাটির সব স্কুলে মিড ডে মিল চালু করার জন্য স্কুলগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চালু না হলে স্কুলের অনুমোদন যে বাতিল হতে পারে, তা-ও নির্দেশে বলা হয়েছে। বেশ কিছু স্কুলে পরিকাঠামোগত ঘাটতি রয়েছে। আশা করছি সেগুলিতেও মিড ডে মিল চালু করা যাবে।”
পুরসভা সূত্রের খবর, ১৮টি উচ্চ বিদ্যালয়ে জায়গার অভাব থাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা অন্যত্র রান্নার ব্যবস্থা করেছে। এ ভাবেই বাকি ১৭টি উচ্চ বিদ্যালয়েও মিড ডে মিল চালু করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু ৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়ে কোনও আশার কথা পুরকর্তৃপক্ষ শোনাতে পারেননি।
পানশিলা দেশবন্ধুনগর বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক বিকাশচন্দ্র রায় বলেন, ‘‘পুরপ্রধান মিটিং করে সব স্কুলে মিড ডে মিল চালু করার কথা বলেন। এর পরে অতিরিক্ত জেলাশাসক (ট্রেজারি)-ও স্কুলগুলিকে নিয়ে মিটিং করেন। এর পরে আর কিছু হয়নি।’’ নাটাগড় শশীমুখী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সন্দীপ সেনগুপ্তের কথায়: ‘‘আমাদের রান্নার জায়গার অভাব রয়েছে। তাই পুরপ্রধানকে বলেছিলাম কয়েকটি স্কুলকে নিয়ে কমন কিচেন করে কেন্দ্রীয় ভাবে খাবার পরিবেশন করা হোক। প্রকল্পের জন্য এখনও টাকা পাইনি। পুরপ্রধান কোনও উত্তর দেননি।’’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবকের অভিযোগ, “অনেক প্রাথমিক স্কুলকর্তৃপক্ষ মিড ডে মিল চালু করতে ইচ্ছুক নন। নানা অজুহাত দেখাচ্ছেন। পুরসভারও গা-ছাড়া ভাব।’’ পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (শিক্ষা) তন্দ্রা দাস বললেন, “৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এ ব্যাপারে তাদের সমস্যার কথা চিঠি দিয়ে জানিয়েছে। আমরা ডি আই-কে জানিয়েছি। সব স্কুলে মিড ডে মিল চালু করার ব্যাপারে চেষ্টা চলছে।”
জেলা স্কুল-পরিদর্শক (ব্যারাকপুর ডিভিশন) সুকুমার দাস বলেন, “পানিহাটির সব স্কুলে মিড ডে মিল চালু করার জন্য স্কুলগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চালু না হলে স্কুলের অনুমোদন যে বাতিল হতে পারে, তা-ও নির্দেশে বলা হয়েছে। বেশ কিছু স্কুলে পরিকাঠামোগত ঘাটতি রয়েছে। আশা করছি সেগুলিতেও মিড ডে মিল চালু করা যাবে।”

ছবি: অলকেশ মণ্ডল




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.