হাওড়া হাসপাতাল
অগ্নিবিধি শিকেয়
মরি-কাণ্ডের পরে হাসপাতালগুলির অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ঢেলে সাজতে উদ্যোগী হয়েছিল রাজ্য সরকার। তার পরেও হাওড়া জেলা হাসপাতালের ছবি বদলায়নি। এমনই অভিযোগ, এই হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের।
২০১২-এর মার্চে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর হাসপাতালগুলিকে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ে একটি সার্কুলার পাঠায়। এই সার্কুলারে দমকলের ডিজি-র দেওয়া ১২ পাতার একটি নির্দেশিকাও ছিল। অভিযোগ, হাওড়া হাসপাতালে এই নির্দেশিকা মানা হচ্ছে না।
যেমন, নির্দেশিকায় বাইরে বেরনোর আপত্‌কালীন পথ রাখার কথা বলা হয়েছে। হাওড়া হাসপাতালের তিন তলায় মেল সার্জিকাল ও দোতলার প্রসূতি বিভাগে একটি করে ‘ফায়ার এগজিট’ লেখা দরজা রয়েছে। কিন্তু এর পরে কোনও সিঁড়ি বা লিফ্ট নেই। রয়েছে বারান্দা। এক রোগীর আত্মীয়ের কথায়: “দরজা আছে কিন্তু নামার জায়গা নেই। কোথাও অগ্নিনির্বাপক চোখে পড়ে না। রিজার্ভার থাকলেও জল দেওয়ার পাইপের ব্যবস্থা নেই।”
এক রোগীর আত্মীয় অমর ঝাঁ বলেন, “হাসপাতালের ভিতরটা এতই ঘিঞ্জি যে ভয় হয়। কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে নীচে নামার জন্য ভরসা একটি মাত্র সিঁড়ি ও লিফ্ট।” হাসপাতাল সূত্রের খবর, মোট আটটি ওয়ার্ডের মধ্যে সাতটি ওয়ার্ডে একটি করে অগ্নিনির্বাপক রয়েছে। কিন্তু জরুরি বিভাগ, বর্হিবিভাগ, মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীদের ওয়ার্ডে এই যন্ত্র নেই।
হাসপাতালের এক কর্তা স্বীকার করে বলেন, “বড় আগুন লাগলে এই কয়েকটি যন্ত্র দিয়ে আটকানো যাবে না।” অগ্নিনির্বাপনের জন্য হাসপাতালে এক জন ফায়ার অফিসার ও একটি ‘স্পেশাল টিম’ থাকার কথা। অভিযোগ, এখানে তেমন কিছুই নেই। প্রতিটি ওয়ার্ডে ‘স্মোক অ্যালার্ম’ থাকাও দরকার। এই হাসপাতালে তা-ও নেই। যে বালতিগুলিতে বালি থাকার কথা সেখানে পানমশলার প্যাকেট, পিক, নোংরা, আবর্জনায় ভরা। অথচ ডিজি-র নির্দেশিকায় ১৪ নম্বর কলামে সব ধরনের অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের কথা বলা রয়েছে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, দমকলের অধিকাংশ নির্দেশিকা মেনে কাজ হয়ে গিয়েছে। এক কর্তা বলেন, ‘‘আমরা নিয়মিত যন্ত্রগুলির রক্ষণাবেক্ষণ করি। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক এমসিবি ফিউজ সিস্টেম লাগানো হয়েছে।”
হাওড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস রায় বলেন, “আমি ব্যাপারটি জানতাম না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় দমকল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।”
রাজ্যের দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান, “আমরা সব হাসপাতালে সার্কুলার পাঠিয়েছিলাম। আবার সার্কুলার পাঠাবো। সেখানে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া থাকবে। এর পরেও কাজ না হলে আইনানুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ডিজি-র নির্দেশিকায় ১৪ নম্বর কলামে সব ধরনের অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের কথা বলা রয়েছে।
যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, দমকলের অধিকাংশ নির্দেশিকা মেনে কাজ হয়ে গিয়েছে। এক কর্তা বলেন, ‘‘আমরা নিয়মিত যন্ত্রগুলির রক্ষণাবেক্ষণ করি। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক এমসিবি ফিউজ সিস্টেম লাগানো হয়েছে।”
হাওড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস রায় বলেন, “আমি ব্যাপারটি জানতাম না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় দমকল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।” রাজ্যের দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান, “আমরা সব হাসপাতালে সার্কুলার পাঠিয়েছিলাম। আবার সার্কুলার পাঠাবো। সেখানে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া থাকবে। এর পরেও কাজ না হলে আইনানুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.