খেলা
উত্‌সাহই ভরসা
সুযোগ কম। তবু উত্‌সাহে খামতি নেই। ব্যাতাই যোগ সেন্টারের পরিচালনায় এ বারের অষ্টম সারা বাংলা মণীন্দ্রনাথ ভঞ্জ এবং বাদল চন্দ্র বসু স্মৃতি যোগাসনে এই ছবিই দেখা গেল। সেরার খেতাব জিতল হুগলির রূপায়ণ খামারু ও কলকাতার অঞ্জলি চৌধুরী।
এই প্রতিযোগিতায় হাওড়া ছাড়া কলকাতা, হুগলি, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, বাঁকুড়া, দার্জিলিং-সহ বিভিন্ন জেলার প্রতিযোগীরা অংশ নেন। ছ’ ঊর্ধ্ব থেকে ৭০ ঊর্ধ্ব ছিল নানা বয়স ভিত্তিক বিভাগ। পুরুষ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন অফ চ্যাম্পিয়নস-এর খেতাব জিতলেন ছ’ থেকে ন’ বছর বিভাগের সেরা রূপায়ণ খামারু। রূপায়ণ জগদীশপুরের সরগম যোগ আর্ট সেন্টারের ছাত্র। মহিলা বিভাগে সেরা হলেন ১২ থেকে ১৮ বছর বিভাগের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কলকাতার অঞ্জলি চৌধুরী। অঞ্জলি প্রদীপ যোগ সেন্টারের ছাত্রী।
বয়স ৭১। তরুণ বয়সে বডিবিল্ডিং করতেন নিমাইচন্দ্র ঘোষ। অবসর নেওয়ার পরে শরীর সুস্থ রাখতে যোগচর্চা শুরু করেন। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে এসে বললেন, “নিয়মিত যোগব্যায়াম করি বলেই হয়তো প্রেসার, সুগারের মতো সমস্যা এখনও আমাকে কাবু করতে পারেনি।” মহিলাদের ৪৫ ঊর্ধ্ব বিভাগের সেরা বারুইপুরের লতিকা কয়ালের কথায়: “রোজ সকালে পাঁচ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে যোগাসন শিখতে যাই।”
বর্ধমানের কাটোয়া যোগ থেরাপি সেন্টার থেকে প্রতিযোগীদের নিয়ে এসেছিলেন প্রশিক্ষক নমিতা দাসনন্দী। এক সময়ে নিজে জাতীয় পর্যায়ে যোগাসন করেছেন। স্কুল শিক্ষিক নমিতা দেবী বললেন, “ছেলেমেয়েদের যোগাসনে আগ্রহ আছে। তবে অন্যান্য খেলায় সরকারি স্তরে যেমন সহযোগিতা পাওয়া যায়, যোগাসনে তা মেলে না।”
পরিচালক সংস্থার সচিব শর্মিলা গুহ বলেন, “যোগাসন এখন আর শুধু শরীরচর্চার বিষয় নয়। কিন্তু অন্য খেলায় চাকরির সুযোগ থাকলেও যোগাসনে সে ভাবে সুযোগ নেই।” সংস্থার সভাপতি মলয় রায় বলেন, “যোগ অন্য খেলার মতো মর্যাদা পাচ্ছে না। এ ভাবে চললে ছেলেমেয়েরা উত্‌সাহ হারিয়ে ফেলবে।”

ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.