|
|
|
|
চরিত্রে বদল নিয়েই স্বাভাবিক বর্ষার ইঙ্গিত
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
গত বছরের মতো এ বারও স্বাভাবিক বর্ষার-ই পূবার্ভাস দিল মৌসম ভবন।
শুক্রবার নয়াদিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় ভূবিজ্ঞান মন্ত্রী এস জয়পাল রেড্ডি জানান, আগামী বর্ষায় স্বাভাবিক বৃষ্টির সম্ভাবনাই বেশি। যদিও আবহবিদেরা বলছেন, এটি প্রাথমিক পূর্বাভাস। জুন মাসে বর্ষার চূড়ান্ত পূর্বাভাস মিলবে।
জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ভারত মহাসাগর, অতলান্তিক মহাসাগর, প্রশান্ত মহাসাগর এবং পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন অংশের সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা, বায়ুপ্রবাহের মতো পাঁচটি বিষয় পর্যবেক্ষণ করে আবহবিজ্ঞানীরা বর্ষার প্রাথমিক পূর্বাভাস তৈরি করেন। তার ভিত্তিতেই প্রতি বছর এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে বর্ষার প্রথম পূর্বাভাস দেয় মৌসম ভবন। যে সব প্রাকৃতিক বিষয় বা প্রবণতার নিরিখে মৌসম ভবন প্রাথমিক পূর্বাভাস তৈরি করে, তার দ্রুত পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। তাই ফের একই বিষয় ও প্রবণতা পর্যবেক্ষণ করে জুনে বর্ষার চূড়ান্ত পূর্বাভাস দেন আবহবিদেরা।
গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা থেকে আবহবিদেরা বলছেন, বর্ষার চরিত্র বদলে যাচ্ছে। বদলাচ্ছে তার নির্ঘণ্টও। মৌসম ভবনের হিসেবে, কেরল দিয়ে দেশের মূল ভূখণ্ডে সাধারণ ভাবে বর্ষা ঢোকে ১ জুন। গোটা দেশ থেকে তা বিদায় নেয় সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে। পূর্ব ভারতে মূল বৃষ্টি হওয়ার কথা জুলাই-অগস্টে। কিন্তু গত কয়েক বছরের আবহাওয়া-চিত্র বলছে, পশ্চিমবঙ্গে মূল বর্ষণ হচ্ছে অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহের পরে। ২০১২ সালেও তা-ই হয়েছে। ফলে বর্ষার নির্ঘণ্টটাই কার্যত বদলে গিয়েছে বলে আবহবিদদের একাংশের মত। তবে মৌসম ভবন অবশ্য এখনও সরকারি ভাবে বর্ষার ক্যালেন্ডার বদল করেনি। প্রশ্ন রয়েছে বর্ষার আগাম পূর্বাভাস নিয়েও। এক আবহবিদ বলেন, গত কয়েক বছর ধরেই বর্ষার শুরুতে অনাবৃষ্টি ও পরের দিকে অতিবৃষ্টি হচ্ছে। ফলে মরসুম শেষে গড়ে হিসেব মিলে গেলেও স্বাভাবিক বর্ষার ছন্দ বজায় থাকছে না। কখনও কখনও দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টির হার মিললেও অনেক রাজ্যেই খরা ঘোষণা করতে হয়। সে ক্ষেত্রে এই ধরনের পূর্বাভাসের প্রয়োজন কী?
এক আবহবিদের ব্যাখ্যা, দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টি হওয়া মানে যে সব প্রদেশই পর্যাপ্ত বৃষ্টি পাবে, তা কিন্তু নয়। তিনি বলেন, “বৃষ্টির উপরে দেশের কৃষি অনেকটাই নির্ভর করে। যার ফলে এই ধরনের পূর্বাভাস থেকে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রকও উৎপাদন নিয়ে আঁচ করতে পারে।” |
|
|
|
|
|