টুকরো খবর
মুম্বইয়ে গণধর্ষিতা কিশোরী, শিশুকে ধর্ষণ করে খুন আগরায়
নির্ভয়া আর গুড়িয়া-কাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ আর সমালোচনার ঝড় উঠতে দেখেছে সারা দেশ। কিন্তু বাস্তবটা হল, ধর্ষণ আর যৌন নিগ্রহের ঘটনায় কিন্তু সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে দেশ। ফের এক ছ’বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে নৃশংশ ভাবে খুন করা হয়েছে আগরায়। আবার মুম্বইয়ে তেরো বছরের এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল চার যুবকের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, আগরার কাছুয়াড়া এলাকায় গত কাল দুই দিদির সঙ্গে এক সিআরপিএফ সাব-ইনস্পেক্টরের ছেলের বাগদান অনুষ্ঠানে গিয়েছিল ছ’বছরের ওই শিশুটি। কিন্তু অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে তার দুই দিদি ফিরে এলেও সে ফেরেনি। পরে ওই সাব-ইনস্পেক্টরেরই বাড়ির ছাদ থেকে শিশুটির ক্ষত-বিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের বয়ান অনুযায়ী, শিশুটি যেখান থেকে উদ্ধার হয়, গোটা জায়গাটা রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। শিশুটির জামা-কাপড় ছিন্নভিন্ন ছিল। মাথায় পাথরের বীভৎস ক্ষত। পুলিশের অনুমান, শিশুটির শরীরে দড়ি বেঁধে তার দেহ একতলা থেকে ছাদ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সিঁড়িতে রক্তের চিহ্ন দেখেই পুলিশের এই ধারণা। ওই এলাকার দুই ব্যক্তির উপরই সন্দেহের তির। ঘটনার পর থেকেই দু’জনের বাড়িতে তালা। পুলিশ মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। মুম্বইয়ের ভাকোলা এলাকাতেও এক তেরো বছরের কিশোরী গণধর্ষণের অভিযোগ জানিয়েছে পুলিশের কাছে। গত কাল সন্ধ্যায় এক বান্ধবীর আমন্ত্রণে তার ফ্ল্যাটে গিয়েছিল ওই কিশোরী। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিল চার যুবক। অভিযোগ, ওই কিশোরীকে ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে খাওয়ানো হয় সেখানে। সে অচৈতন্য হয়ে গেলে, তাকে ওই চার যুবক ধর্ষণ করে। তাদেরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বান্ধবী পলাতক।

নলিনী-প্রশ্নে কংগ্রেসকে তোপ বিজেপি, তৃণমূলের
সুদীপ্ত সেনের চিঠিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের স্ত্রী নলিনীর নাম থাকাকে হাতিয়ার করছে বিজেপি-তৃণমূল। সুদীপ্তর দাবি, অসমের একটি চ্যানেলের মালকিন মনোরঞ্জনা সিংহ এবং তাঁর আইনজীবী নলিনী, দু’জনে মনোরঞ্জনার চ্যানেলে ৪২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে তাঁকে চাপ দেন। নলিনী ১ কোটি টাকা নেন বলেও তাঁর অভিযোগ। আজ বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, “ওই আইনজীবী (নলিনী) আইনি পরামর্শর দেওয়ার পাশাপাশি বড় মাপের আর্থিক লেনদেনও হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হোক। পি চিদম্বরমের ভূমিকাও স্পষ্ট করা হোক।” তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, “এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আইনজীবী স্ত্রী-সহ ১১-১২ জনের নাম উঠেছে। ৪২ কোটি আর ১ কোটি টাকা নিয়েও অভিযোগ উঠেছে। তবে দেখা দরকার চিঠিটি আসল কি না।” অর্থমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে বলা হয়েছে, মনোরঞ্জনার আইনজীবী হিসেবে আগেও কাজ করেছেন নলিনী। এ ক্ষেত্রেও সারদা-র সঙ্গে আর্থিক লেনদেন নিয়ে নলিনীর পরামর্শ চান মনোরঞ্জনা। কিন্তু বিষয়টি দেখার পর নলিনী সারদার টাকা না নেওয়ার পরামর্শ দেন। ওই পরামর্শ দেওয়ার পারিশ্রমিক হিসেবে নলিনী টাকা নেন। সুদীপ্ত সেনের দাবি, যার পরিমাণ এক কোটি টাকা। সূত্রের বক্তব্য, নলিনীর মতো অভিজ্ঞ আইনজীবীর পারিশ্রমিক হিসেবে এটি খুব বড় অঙ্ক নয়।

এনআইএ শাখা হচ্ছে না রাজ্যে
রাজকোষ ঘাটতিতে সামাল দেওয়ার জন্য মনমোহন-সরকারের খরচ কমানোর কোপ এ বার সন্ত্রাস মামলার তদন্তে। জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)-র বহু পদ খালি পড়ে রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা, ভোপাল ও পটনায় এনআইএ-র নতুন তিনটি শাখা খোলার কথা ছিল। অর্থ মন্ত্রক তার অনুমতি দিচ্ছে না। আবার গত বছর যে সব শাখা খোলা হয়েছে, সেখানে কোনও গাড়ি কেনার অনুমতি দেওয়া হয়নি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে এনআইএ-র তরফেই জানানো হয়, গত অর্থবর্ষে কলকাতা, ভোপাল ও পটনায় তিনটি নতুন শাখা খোলার প্রস্তাব ছিল। কিন্তু খরচ কাটছাঁট করার জন্য অর্থ মন্ত্রকের ব্যয় বিভাগ সেই প্রস্তাবে অনুমোদনই দেয়নি। দিল্লির সদর দফতর ছাড়াও দেশের পাঁচটি শহরে এনআইএ-র শাখা রয়েছে। একই অবস্থা শূন্যপদ পূরণের ক্ষেত্রেও। এনআইএ-র অনুমোদিত পদ রয়েছে ৬৫৭টি। নতুন শাখা অফিসগুলিতে কেবলমাত্র ৬০ শতাংশ শূন্যপদ পূরণ করা যাবে। সেই হিসেবে মঞ্জুরিপ্রাপ্ত পদের সংখ্যা নেমে এসেছে ৫৬৫টিতে। এর মধ্যেও ৪৭৫টি পদে নিয়োগ সম্ভব হয়েছে। বাকি পদগুলি এখনও খালি পড়ে।

ওড়িশায় দিনভর বন্‌ধ
নীতিশ কুমারের পর এ বার নবীন পট্টনায়ক। বিহারের জন্য বিশেষ মর্যাদার দাবি তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি ১২ হাজার কোটি টাকা বিহারের হাতে তুলেও দেয় কেন্দ্র। বিহারের পর একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে দেখা গেল ওড়িশাতেও। শুক্রবার গোটা রাজ্য জুড়ে ১২ ঘন্টার হরতাল ডাকে ক্ষমতাসীন বিজেডি দল। তাদের দাবি, ওড়িশাকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দিতে হবে। এই হরতালের জেরে প্রভাবিত হয় স্বাভাবিক জীবন-যাপন। হরতালের জেরে বন্ধ থাকে দোকান-পাট, বিপাকে পড়েন রাজ্যের কর্মীরাও। ব্যাঙ্কে বা যে কোনও সরকারি দফতরে লোকজন ছিল নামমাত্র। আবার কোথাও কোথাও অসুবিধা এড়াতে ওই রাজ্যের কর্মীরা তাড়াতাড়ি পৌঁছেও যান অফিসে। যদিও শিল্পক্ষেত্রে ও পারাদ্বীপ বন্দরে হরতাল তেমনভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, রাস্তা-ঘাটে যান চলাচলেও বিঘ্ন ঘটে। কোনও কোনও এলাকায় গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও জানা যায়। ভুবনেশ্বর, কটক, বালাসোর, সম্বলপুর, ব্রহ্মপুরের মতো এলাকায় বিজেডি দলের সমর্থকেরা কিছু ঘন্টার জন্য রেল অবরোধ করে।

আপত্তি নেই মেরিন-তদন্তে
দুই ভারতীয় মৎস্যজীবী খুনে অভিযুক্ত ইতালীয় মেরিনদের মামলার তদন্ত করার অধিকার আছে এনআইএ-র। শুক্রবার এ কথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মামলার শুনানি প্রতি দিন হবে বলেও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। আগে এই মামলার তদন্তে এনআইএ-র এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ইতালি সরকারের আইনজীবী মুকুল রোহতগি। মেরিনদের মৃত্যুদণ্ড হবে না বলে আগেই ইতালিকে আশ্বাস দিয়েছে ভারত। মূলত সন্ত্রাসের মামলার তদন্ত করে এনআইএ। ভারতে সন্ত্রাসবাদী হামলায় মৃত্যুদণ্ডের ঘটনা বিরল নয়। বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ জানিয়েছেন, ইতালি সরকার হয়তো ভাবছে মেরিনদের সন্ত্রাসের মামলায় জড়ানো হচ্ছে। তবে তাদের আশঙ্কা অমূলক। কারণ, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত করছে কেন্দ্র। সে তদন্ত এনআইএ ছাড়া অন্য সংস্থাকে দিয়েও করানো যায়।

ছাত্রী নিগ্রহে অভিযুক্ত শিক্ষক
তাঁর দাবি মতো ক্লাসে নাচতে রাজি না হওয়ায় এক ছাত্রীকে বেদম মারলেন শিক্ষক। ঘটনাটি গুয়াহাটির কাহিলীপাড়ার। অভিভাবকদের অভিযোগ, এদিন কাহিলীপাড়া হাই স্কুলের দশম শ্রেণিতে ক্লাস নিতে আসেন বিজ্ঞান শিক্ষক গৌতম সেনগুপ্ত। তিনি প্রায় বিশ বছর ধরে ওই স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। অভিযোগকারিণী ছাত্রী প্রিয়াঙ্কা চক্রবর্তীর বক্তব্য, গৌতমবাবু প্রথম ক্লাসে ঢুকে তাঁকে কাগজ ছিঁড়তে বলেন। তারপর গান করতে বলা হয়। গাইবার পরে শিক্ষক তাঁকে নাচতে বলেন। ছাত্রীর দাবি, ক্লাসের ভিতরে নাচতে রাজি না হওয়ায় গৌতমবাবু তার দুই গালে নাগাড়ে চড় মারতে থাকেন। তাঁর মাথা জানালার রডের ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়েও মারা হয়। শিক্ষককে আটকাতে গিয়ে অন্য ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকরাও নিগৃহীত হন। এর আগে ২০১১ সালে নবীন চক্রবর্তী, ২০১২ সালে শুভম দত্ত নামে দুই ছাত্রকে ওই শিক্ষক বেধড়ক মেরেছিলেন বলে অভিযোগ। অভিভাবকরা জানান, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুল পরিচালন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও ফল হয়নি। ঘটনাটি নিয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

দক্ষিণে ঘাঁটি গাড়তে চায় মাওবাদীরা
পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্ধ্রপ্রদেশে চাপের মুখে পড়ে মাওবাদীরা এখন দাক্ষিণাত্যের তিন রাজ্যে ঘাঁটি গাড়তে চাইছে। সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, এই তিনটি রাজ্য হল কেরল, কর্নাটক ও তামিলনাড়ু। গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, পূর্বঘাট ও পশ্চিমঘাট পর্বতমালার মধ্যে নিজেদের যাতায়াতের রাস্তা তৈরি করতে চাইছে মাওবাদীরা। অসম ও অরুণাচল-সহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে মাওবাদীদের জাল ছড়ানোর চেষ্টাও উদ্বেগে রাখছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে। স্থায়ী কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, অসম ও অরুণাচলের সীমানায় মাওবাদীরা সংগঠন তৈরি করতে চাইছে। পাশাপাশি দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশের কিছু অংশে প্রকাশ্যে মানবাধিকার সংগঠন হিসেবে কাজ করে মাওবাদীদের কিছু সংগঠন। তারা ওই মঞ্চকে ব্যবহার করে সরকারের বিরুদ্ধে প্রচার চালায়। স্থায়ী কমিটির মতে, মাওবাদী-অধ্যুষিত এলাকায় উন্নয়নের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে কেন্দ্রকে। দ্রুত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

রাজধানীতে শ্লীলতাহানী
শ্লীলতাহানির অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দিল্লিগামী রাজধানী এক্সপ্রেস। টিকিট ছাড়াই মরিয়ানি স্টেশন থেকে দুই মহিলা ও তিন কিশোরীকে রাজধানী এক্সপ্রেসের প্রথম শ্রেণির কেবিনে উঠিয়েছিল টিটিই। মহিলাদের গন্তব্য ছিল দিল্লি। সকালে কেবিন থেকে ওই টিটিই ও দুই মহিলাকে অসংবৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। রণবীর চৌহান নামে ওই টিটিই জোর করে কেবিনে ঢুকে অশালীন আচরণ করেন। দুই মহিলাকে রেল পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। অভিযুক্ত টিটিই ফেরার। উত্তর-পূর্ব রেলের মুখপাত্র নৃপেন ভট্টাচার্য জানান, ঘটনাটি নিয়ে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হবে।

প্রহারে হত জওয়ান
এক সশস্ত্র সীমা বলের জওয়ানকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাত তিনটে নাগাদ সীতামঢ়ীর মেজরগঞ্জ থানার সিজুয়া গ্রামে। অভিযোগ, অবৈধ সর্ম্পকের জেরেই এই হত্যা। পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। নিহতের নাম মহেশ রাম। তিনি লালবন্দি সীমানায় কর্মরত ছিলেন। পুলিশ জানায়, সুনীল কুমার যাদবের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন ওই জওয়ান। তাঁর সঙ্গে সুনীলের বোনের সর্ম্পক ছিল বলে অভিযোগ। কাল রাত তিনটে নাগাদ সুনীলের বোনের ঘরে তাঁকে দেখতে পাওয়া যায়। এরপরেই তাঁকে ধরে মারধর করা হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ঘটে। পুলিশ সুনীলকে গ্রেফতার করেছে।

অভিযুক্তের আর্জি
নিজেকে নির্দোষ দাবি করে নির্ভয়া গণধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত বিনয় শর্মা ‘লাই ডিটেক্টর’ টেস্টের জন্য আবেদন জানাল ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের কাছে। তার এই আবেদন আবার দিল্লি পুলিশকে বিবেচনা করে দেখতে বলেছেন বিচারক। তাঁর আইনজীবীর অভিযোগ, বিনয়কে ফাঁসানো হয়েছে। তাই ‘লাই ডিটেক্টরের’ সামনে বসতে চায় সে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.