|
|
|
|
রামদেবের মঞ্চে জমায়েত সন্তদের, আশীর্বাদ মোদীকে
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
ক’দিন আগেও নিজের দল গড়ার ইশারা দিচ্ছিলেন যোগগুরু রামদেব। কিন্তু আজ প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য নরেন্দ্র মোদীকেই সমর্থন জানালেন তিনি।
হরিদ্বারে নিজের আশ্রমে এক বিদ্যালয় উদ্বোধনের জন্য মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রামদেব। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধুসন্তদেরও জড়ো করেছিলেন। মঞ্চে মধ্যমণি ছিলেন নরেন্দ্র মোদীই। মোরারি বাপু, রমেশ ওঝা, উমা ভারতীর গুরু স্বামী পেজায়রের মতো সাধুসন্তরা মোদীকেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে দিল্লির কুর্সি দখলের জন্য ‘আশীর্বাদ’ দিলেন।
বিজেপির অঘোষিত মুখ হয়ে ওঠার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সফর শুরু করেছেন মোদী। কখনও ছাত্রসমাজ, কখনও মহিলা সংগঠন, কখনও বণিকসভার আসরে হাজির হচ্ছেন তিনি। প্রশ্ন হল, মোদী ও রামদেবের যুগলবন্দির কারণ কী? |
হরিদ্বারের মঞ্চে মোদী ও রামদেব। ছবি: পিটিআই। |
বিজেপি সূত্রে খবর, যোগগুরু রামদেবকে গোড়া থেকেই সমর্থন জুগিয়েছে দল। রামলীলা ময়দানে রামদেবের উপরে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে গোটা বিজেপি নেতৃত্ব ধর্নায় বসেছিলেন। হিন্দুত্বের ধ্বজাধারী বিজেপি রামদেবের অনুগামীদের মধ্যে রাজনৈতিক ভিত খুঁজতে চাইছে। তাই নতুন দল গড়ার বিষয়ে রামদেবকে নিরস্ত করার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। অন্য দিকে রামদেবও বুঝতে পারছেন, গোটা দেশে মোদীকে ঘিরে প্রত্যাশা তৈরি হচ্ছে। আজ রামদেব স্পষ্টই বলেছেন, “আমি দেশের যে প্রান্তেই গিয়েছি, সর্বত্রই আওয়াজ উঠেছে মোদীকে প্রধানমন্ত্রী করা হোক।”
আর মোদীর কাছেও এটি একটি আদর্শ মঞ্চ। ‘হিন্দু হৃদয় সম্রাট’ থেকে ‘বিকাশ পুরুষ’ হয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন মোদী। উন্নয়নের মন্ত্র নিয়ে প্রচারও করছেন। কিন্তু যে হিন্দু আবেগ বিজেপির সঙ্গ ছেড়েছে, তাকে ফিরিয়ে আনাও এখন লক্ষ্য দলের। রামদেবের মঞ্চে উগ্র হিন্দুত্বের কথা না বলেও অনায়াসে সন্তদের মন জয় করতে পারেন মোদী। সেই নরম হিন্দুত্বের কার্ড খেলেছেনও তিনি।
রামদেবের ভক্তকুলের মধ্যে রয়েছেন উচ্চবিত্তরাও। তাঁদের মন জয় করার চেষ্টা করেছেন মোদী। সেই সঙ্গে রামদেবের ‘সমব্যথী’ হয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেছেন, “রামদেব বলেন, আমি না কি তাঁর নিজের ভাই। দু’জনের উপরেই একইভাবে জুলুম হয়।” এখনও ইউপিএ সরকারের আনা নানা মামলা ঝুলে রয়েছে রামদেবের বিরুদ্ধে। ফলে, মোদীর মতো শক্ত খুঁটি চাইছেন তিনিও।
গোটা সন্তকুল মোদীকে আশীর্বাদ করায় আজ অবশ্য বিশেষ কসরত করতে হয়নি মোদীকে। কংগ্রেসকে কটাক্ষের পাশাপাশি জানিয়েছেন, তাঁর রাজ্যে গত ১২ বছরে দাঙ্গা হয়নি। আর তাঁর উন্নয়নও শুধু হিন্দুদের জন্য নয়। সন্তদের কাছে মাথা ঝুঁকিয়েছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন,“সকলের কাছে আশীর্বাদ চাইছি, যাতে আমি কোনও ভুল না করি। জনতা ইশ্বরের রূপ। তাঁদের কাছেও আশীর্বাদ চাই।” |
|
|
|
|
|