সারদা গোষ্ঠীর মতোই আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে দমদমের একটি ভুঁইফোঁড় লগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে। ওই সংস্থার এক কর্ণধার এবং দুই কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃত কর্ণধারের নাম অমিতা সাহা। ধৃত অন্য দু’জন হলেন ওই সংস্থার ম্যানেজার দীপঙ্কর মণ্ডল
এবং আর্দালি পলাশ রায়। দমদমের মধুগড় এলাকার বাসিন্দা প্রশান্ত মণ্ডলের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কেনারাম নস্কর নামে ওই সংস্থার অন্য এক কর্ণধার পলাতক।
পুলিশি সূত্রের খবর, সাহানাজ ইন্ডিয়া মার্কেটিং প্রাইভেট লিমিটেড নামে ওই ভুঁইফোঁড় সংস্থার দফতর দমদমের শীল কলোনিতে। সংস্থার কর্মীরা প্রশান্তবাবুকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তাদের সংস্থায় টাকা রাখলে দু’বছরে তা দ্বিগুণ হবে। প্রশান্তবাবু এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা রাখেন ওই সংস্থায়। কিন্তু দু’বছর পরে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী টাকা পাননি তিনি। কয়েক দিন আগে তিনি ৫৫ হাজার টাকার একটি চেক পান। সেই চেকও বাউন্স করে অর্থাৎ ফেরত আসে।
তার পরেই দমদম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন প্রশান্তবাবু। তাঁর অভিযোগে ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে শীল কলোনির অফিসে গিয়ে অমিতা, দীপঙ্কর ও পলাশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সংস্থার অফিস সিল করে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, সংস্থাটি বেশ কয়েক বছর ধরে ব্যবসা চালালেও দমদমে অফিস খুলেছিল সম্প্রতি। ক’জন এজেন্ট ছিলেন এবং ক’জন প্রতারিত হয়েছেন, সংস্থার নথি পরীক্ষা করে তা জানার চেষ্টা চলছে। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, সংস্থার অন্যতম কর্ণধার কেনারামের নামে অনেক আগে থেকেই প্রতারণার অভিযোগ আছে মগরা থানায়।
অন্য একটি ভুঁইফোঁড় লগ্নি সংস্থারও কর্তা-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। তাঁদের বিরুদ্ধে এটিএম জালিয়াতির অভিযোগ আছে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম মহম্মদ ফকরুদ্দিন, অজয়চন্দ্র ঘোষ, সোমেন দে, রবিউল ইসলাম এবং ভোলা সাউ। ফকরুদ্দিন কিয়াস গ্রুপ অফ কোম্পানিজ নামে একটি সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর। অজয় তাঁদের এজেন্ট। ফকরুদ্দিনের বাড়ি থেকে প্রায় নগদ তিন লক্ষ টাকা এবং এটিএম কার্ড-সহ প্রচুর নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশি সূত্রের খবর, জালিয়াতি করে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে প্রায় এক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলে খড়দহ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই সূত্রেই কয়েক দিন আগে গ্রেফতার করা হয় ফকরুদ্দিন ও অজয়কে। তাঁদের জেরা করে বাকি তিন জনের হদিস মেলে। |