ফর্মের টাকা জমা দেওয়ার জন্য একটি মাত্র ক্যাশ কাউন্টার খুলে রাখা হয়েছে। এরই প্রতিবাদে শুক্রবার অধ্যক্ষের ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিলেন ছাত্র সংসদের সদস্য ও সমর্থকেরা। পরে আর একটি কাউন্টার খোলার পরে তালা খুলে দেন আন্দোলনকারীরা। তবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও ছাত্র পরিষদ পরিচালিত ছাত্র সংসদের এ ধরনের আন্দোলনে ক্ষুব্ধ রামপুরহাট কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জয়দেব পান। তিনি বলেন, “সামান্য সমস্যার কারণে কলেজের ভিতরে ছাত্র সংসদের আন্দোলন সংগঠিত হচ্ছে। এতে কলেজের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।” তিনি জানান, ঘটনার সময়ে কলেজ পরিচালন সমিতির সরকারি প্রতিনিধি তাঁর ঘরে ছিলেন। ওই সরকারি প্রতিনিধি আব্দুল মফিদ বলেন, “ছাত্র সংসদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করব। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ নিয়ে ছাত্র সংসদের সদস্যরা আন্দোলন করে। তবে সামান্য কারণে ছাত্র সংসদের আন্দোলন কলেজের উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সে ব্যাপারে ছাত্র সংসদের প্রতিনিধিদের বোঝানো হয়েছে। প্রয়োজনে আবার বোঝানো হবে।” |
অন্য দিকে, ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক আলাম শেখের অভিযোগ, “কলেজে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাশিয়ার পদে লোক নিয়োগ হয়নি। এ দিকে বিএ দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের ফাইনাল পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ চলছে, আবার সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের বৃত্তির টাকা বিলি করা হচ্ছে। অথচ একটিমাত্র কাউন্টার খোলা। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে হয়রান হতে হচ্ছে পড়ুয়াদের।” ছাত্র সংসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, “প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের ফি মকুবের প্রশ্নে কর্তৃপক্ষ এখনও সদর্থক ভূমিকা নেননি। এ ছাড়া, উভয় বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষার জন্য নলহাটি, মল্লারপুর, সাঁইথিয়া-সহ চারটি জায়গায় কেন্দ্র করা হয়েছে। ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে সাঁইথিয়া কেন্দ্রের পরিবর্তন করে বাকি তিনটি কেন্দ্রের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।” কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জয়দেব পান বলেন, “পরীক্ষাকেন্দ্র কোথায় হবে সেটা বিশ্ববিদ্যালয় ঠিক করে। তবে যাতায়াতের সমস্যার জন্য সাঁইথিয়া কেন্দ্রটি পরিবর্তন করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগে আবেদন করা হয়েছে।” ফি মকুবের প্রশ্নে অধ্যক্ষের জবাব, “বিষয়টি প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।” |