সারদা গোষ্ঠী সংক্রান্ত অভিযোগ নথিভুক্ত করতে জলপাইগুড়ি জেলা সদরে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি শ্যামল সেনের নেতৃত্বাধীন ‘সেন কমিটি’র অফিস খুলবে রাজ্য সরকার। যে হেতু উত্তরবঙ্গের ছয় জেলার বিভাগীয় কমিশনারের দফতর রয়েছে জলপাইগুড়িতে, সেখানেই কমিটির অফিস খোলার কথা প্রাথমিক ভাবে ভাবা হয়েছে। অফিস খোলার পরে কমিটির সদস্যরা বসবেন। বিজ্ঞাপন দিয়ে জানিয়ে সারদা গোষ্ঠী সংক্রান্ত অভিযোগ নথিভুক্ত করবে কমিটি। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, কমিটি সদস্যদের পক্ষে দীর্ঘদিন জলপাইগুড়িতে থাকা সম্ভব নয়। সে জন্য অফিসে অস্থায়ী ভিত্তিতে অফিসার-কর্মী নিয়োগের কথা সরকার ভাবছে। তা হলে প্রত্যন্ত এলাকার অভিযোগকারীরা ফ্যাক্স, ই মেল কিংবা রেজেস্ট্রি ডাকে অভিযোগ পাঠাতে পারবেন। যে কোনও দিন গিয়ে সরাসরি অফিসে অভিযোগ নথিভুক্ত করিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন আমানতকারী, এজেন্টরা।
রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ-প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঠিক কোন জায়গায় অফিসটি করা যেতে পারে তা নিয়ে খোঁজখবরও চলছে। স্বরাষ্ট্র দফতরের সূত্রটি জানিয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব অফিসটি তৈরির জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে শীঘ্রই কমিটির সদস্যরা উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ের তদন্ত করতে পারেন। সরকারি সূত্রের খবর, কমিটির তরফে সারদা গোষ্ঠীর উত্তরে কোথায়, কী পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে তার তালিকা তৈরি করে তা খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া এই অফিস থেকেই চলবে।
কমিটির কাজ যাতে ত্বরান্বিত হয় সে জন্য সারদা গোষ্ঠীর যত পরিমাণ জমি উত্তরবঙ্গে রয়েছে তা নিয়ে জেলা প্রশাসনের রক্ষ থেকে প্রাথমিক ভাবে খোঁজখবরও শুরু হয়েছে। কমিটির অফিস তৈরি হলে সেগুলি পরিদর্শন করে, জমি মেপে কার নামে রয়েছে চিহ্নিত করা হবে। সেই জমি নিয়েও পৃথক রিপোর্ট তৈরি করতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ-প্রশাসনের অনুমান, উত্তরবঙ্গের মালদহ, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা আদায় করেছে সংস্থাটি। উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা থেকেও বহু কোটি টাকা তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ এসেঠে পুলিশ-প্রশাসনের কাছে। তাই জলপাইগুড়িতে অফিস হলেও সেন কমিটির সদস্যরা উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাতেও যেতে পারেন বলে সরকারি সূত্রটি জানিয়েছে। |