সারদা-কাণ্ডের পরেই রোজভ্যালী থেকে লগ্নি তুলে নেওয়ার জন্য গ্রাহকদের চাপ আসছিল। সুদ নয়, অনেক গ্রাহক দাবি করেছিলেন লগ্নি করা টাকা ফেরত দিলেই হবে। কিন্তু সেই আসল থেকেও কিছু টাকা কেটে নিয়ে চেকের মাধ্যমে টাকা ফেরত দেওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়লেন গ্রাহকেরা। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার কেন্দুয়াডিহিতে রোজভ্যালীর অফিসে ঘণ্টাখানেক ধরে বিক্ষোভ দেখান টাকা তুলতে আসা লগ্নিকারীরা। তাঁরা লগ্নি করা পুরো টাকা ফেরতের দাবি জানান। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। |
সোমবার রোজভ্যালীর তমলুক অফিসে ভাঙচুর হওয়ার পরেই সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর শিবময় দত্ত জানিয়েছিলেন, গ্রাহকদের ‘অযথা আতঙ্কিত’ হওয়ার দরকার নেই। যাঁরা টাকা ফেরত চাইবেন, তাঁদের চেক দিয়ে দেওয়া হবে। ওই রাত থেকেই রানিগঞ্জে চেক দেওয়া শুরু হয়। কিন্তু সেখানে গ্রাহকদের টাকা না কেটেই ফেরত দেওয়া হচ্ছে বলে বুধবার রোজভ্যালীর দুর্গাপুর অফিসে বিক্ষোভ দেখান গ্রাহকেরা। বাঁকুড়ায় লগ্নিকারীদের চেক ফেরত দেওয়ার কাজ শুরু হয় মঙ্গলবার থেকে। কিন্তু লগ্নি করা টাকা কাটা যাবে না বলে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখান বাঁকুড়ার লগ্নিকারীরা। তাঁরা দাবি করেন, সুজের টাকা চাইছি না। কিন্তু লগ্নি করা টাকা পুরোটাই ফেরত দিতে হবে। চিত্কার-চেঁচামেচিতে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। |
ওন্দা থানার গোগড়ার বাসিন্দা অমিত মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমি এখানে ৪৪০০ টাকা লগ্নি করেছিলাম। কিন্তু ৮৮০ টাকা কেটে নিয়ে আমাকে মাত্র ৩৫২০ টাকার চেক ঠেকানো হয়েছে।” একই অভিযোগ, বাঁকুড়ার পাটপুরের বাসিন্দা প্রশান্ত গরাইয়েরও। তাঁর ক্ষোভ, “৯০০০ টাকা লগ্নি করে এখন ওরা ৮১০০ টাকা ফেরত দিচ্ছে। এত টাকা কী জন্য কাটছে, পরিষ্কার করছে না।” নতূনচটির বাসিন্দা অতসি মণ্ডল জানান, ২৬ হাজার টাকা লগ্নি করে ২৩ হাজার ৪০০ টাকা ফেরত পেয়েছেন। রোজভ্যালীর বাঁকুড়া শাখার এই অফিসের ম্যানেজার অশোক পাল বলেন, “গ্রাহকদের পুরো টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী লগ্নির পরিমাণ থেকে কিছু টাকা ‘ক্যানসেলেশন চার্জ’ বাবদ কেটে নেওয়া হচ্ছে।” তিনি জানান, তিন দিনে প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা ওই শাখা থেকে গ্রাহকেরা তুলে নিয়েছেন। এ দিন গ্রাহকদের চেকে শুক্রবারের তারিখ উল্লেখ করা হয়। গ্রাহকদের প্রতি তাঁর অনুরোধ, মঙ্গলবার ও বুধবার গ্রাহকদের কিছুটা বেশি টাকা কাটা হয়েছে। ওই গ্রাহকরা নথি নিয়ে শাখা অফিসে এলে বাড়তি টাকা ফেরত পাবেন। রোজভ্যালীর ওই অফিসে এ দিন সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া মধুসূদন চট্টোপাধ্যায় নামের এক সাংবাদিককে হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে। পরে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। তবে সংস্থার কর্মীরা হেনস্থার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
|
নার্সদের হেনস্থা, অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
পুরুলিয়া সদর হাসপাতাল চত্বরে কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে হেনস্থা করার অভিযোগ তুললেন জিএনএম নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারের ট্রেনি নার্সরা। যুবকদের মারধরের হাত থেকে তাঁদের গাড়ির চালককে বাঁচাতে গিয়ে হেনস্থা হতে হয় বলে নার্সদের অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সকালের ঘটনা। পরে জিএনএম নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারের অধ্যক্ষ কেয়া শূরকে ট্রেনি নার্সরা বিক্ষোভ দেখান। তিনি বলেন, “এমন ঘটনা আগে ঘটেনি। থানায় অভিযোগ করেছি।” পুরুলিয়া রাঁচি রোডের নার্সিং ট্রেনিং সেন্টার থেকে নার্সদের বাসে হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় বাসটি একটি ছোট গাড়িকে ধাক্কা মারে। গাড়ির সওয়ারি কিছু যুবক ধাওয়া করে এসে বাস চালককে মারধর করে বলে অভিযোগ। রাতে পুলিশ চার যুবককে গ্রেফতার করে। |