তৃণমূলের রাজ্য যুব সভাপতি শুভেন্দু অধিকারীর সভায় ডাক না পেয়ে নিজের বাড়িতে বসে রইলেন কাটালেন দলের বাঁকুড়া জেলা যুব সভাপতি সুরজিত্ মুখোপাধ্যায়। সভায় ডাক পাননি সোনামুখী ব্লক তৃণমূল সভাপতি অনিরুদ্ধ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। দলীয় দ্বন্দ্বের এই জের সরাসরি গিয়ে পড়ল সভার ভিড়ে। মেরেকেটে হাজার পাঁচেক লোকের সামনে নিয়ে সভা করতে হল তমলুকের সাংসদ শুভেন্দুকে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সোনামুখীর বেশে গ্রামের ফুটবল মাঠে মাঠে তৃণমূলের পঞ্চায়েতি রাজ সম্মেলনের আহ্বায়ক ছিলেন সোনামুখীর বিধায়ক দীপালি সাহা। পোস্টারে নাম ছিল দলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি অরূপ খাঁ, কার্যকরী সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী, বাঁকুড়ার বিধায়ক মিনতি মিশ্র, শালতোড়ার বিধায়ক স্বপন বাউরি, ইন্দাসের বিধায়ক গুরুপদ মেটের। মঞ্চে অবশ্য এঁদের দেখা যায়নি। কার্যকরী সভাপতি অরূপবাবু বলেন, “ওই এলাকার ব্লক সভাপতিই ডাক পাননি! তাই আমিও গেলাম না।” |
ব্লক সভাপতি অনিরুদ্ধবাবুর মন্তব্য, “পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলন হল ধনসিমলা পঞ্চায়েত এলাকায়। ওই পঞ্চায়েতে আমাদের দলের প্রধান গোপাল সাহাও ডাক পেলেন না। দলে এ সব কী হচ্ছে, কিছুই বুঝতে পারছি না!” আর সুরজিত্বাবু বলেন, “দিন কুড়ি আগে শহরে একটি সাধারণ সভায় কুড়ি হাজার লোক এনেছিলাম। আর এ দিন খোদ শুভেন্দুদাকে এনেও মাত্র পাঁচ হাজার লোক হল। গোষ্ঠীবাজি করে দলটাকে ডুবিয়ে দিলেন বিধায়ক।” সভায় যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের অধিকাংশই সোনামুখীর বাসিন্দা নন বলেও দাবি সুরজিত্বাবুর। এ দিন অবশ্য মঞ্চে ছিলেন জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “সভার আহ্বায়ক বিধায়ক দীপালি সাহা। কারা এলেন আর কারা এলেন না, বিশদে না জেনে বলতে পারব না।” দীপালিদেবী অবশ্য বলেছেন, “আমি সুরজিত্কে সভায় আসতে বলেছিলাম। না এলে কী করা যাবে!” এ দিনের সভায় আশানুরূপ লোক হয়েছে বলেও তাঁর দাবি। শুভেন্দুবাবু তাঁর বক্তৃতায় আগামী ত্রি-স্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে সব ক’টি আসনে জেতানোর আহ্বান জানান। তাঁর অভিযোগ, “সংবাদমাধ্যমের একটি অংশের সাহায্য নিয়ে সিপিএম আবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। ওদের পাতা ফাঁদে পা দেবেন না।” |