তোলার টাকা না পেয়ে এক ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। এ বার তাঁর স্ত্রীকে খুনের হুমকি দিল। এই ঘটনায় আতঙ্কিত স্বরূপনগরের ওই ব্যবসায়ী শুভেন্দু রায় ও তাঁর পরিবার। বসিরহাটের এসডিপিও অভিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আগের ঘটনায় দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। এ বারও অপরাধীরা ধরা পড়বে।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরে স্বরূপনগরের তেঁতুলিয়া-সহ সীমান্তবর্তী এলাকায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তোলা আদায় চলছে। তোলা না দেওয়ায় ইতিমধ্যে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তেঁতুলিয়া বাজারের এক ব্যবসায়ীর। এক জনকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে লাগে এক ছাত্রীর গায়ে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতির কাছেও তোলা চেয়ে হুমকি এসএমএস এসেছে।
মার্চ মাসের শেষের দিকে শুভেন্দুবাবুর দোকানে হামলা চালায় কিছু দুষ্কৃতী। এক লক্ষ টাকা দাবি করে তারা। টাকা দিতে অস্বীকার করায় শুভেন্দুবাবুকে তাক করে গুলি চালায় এক জন। তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় সে বারের মতো প্রাণে বাঁচেন ওই ব্যবসায়ী। অভিযুক্তেরা গ্রেফতার হলেও বুধবার ফের কয়েক জন শুভেন্দুবাবুর ভাদুরিয়ার দোকানে হামলা চালায়। সকাল ১১টা নাগাদ দোকানে ছিলেন তাঁর স্ত্রী সবিতাদেবী। অভিযোগ, এক দুষ্কৃতী মোটর বাইকে এসে তাঁর কাছে টাকা চায়। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় সবিতাদেবীর উপরে হামলা চালানোর চেষ্টা করে ওই দুষ্কৃতী। আশপাশের লোকজন চলে এলে পালায় সে। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
|
ব্যবসায়ী খুনে গ্রেফতার ১
নিজস্ব সংবাদদাতা • গাইঘাটা |
এক ডেকরেটর ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার রাতে গাইঘাটার নবগ্রামের বাসিন্দা কৃষ্ণেন্দু মণ্ডল নামে ওই যুবককে ধরা হয়। শনিবার রাতে ওই এলাকার বাসিন্দা পেশায় ডেকরেটর ব্যবসায়ী কমলেশ বিশ্বাস বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি। রবিবার সকালে সিংজোল এলাকার একটি খেত থেকে তাঁর দেহ মেলে। ওই খুনের ঘটনায় গত সোমবার বিধান সিকদার নামে আর এক জনে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পুলিশ জানায়, ধৃত বিধানের এক বোনের প্রেমিককে একটি ক্লাবঘরে আটকে রেখে তাঁর কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা নিয়েছিল কমলেশ। একই সঙ্গে অন্য এক অভিযুক্তকেও মারধর করেছিল সে। সেই কারণেই হয়তো এই খুন বলে পুলিশের অনুমান। ধৃতদের জেরা করে পুলিশের দাবি, খুনের ঘটনায় চারজন জড়িত ছিল। সকলেই মূম্বইয়ের একটি হোটেলে বসে এই ব্যবসায়ীকে খুনের পরিকল্পনা করে। সকলেই কমলেশবাবুর পরিচিত। ঘটনার দিন চারজন ওই ব্যবসায়ীকে নিয়ে মদ্যপান করে। তাঁর পরে চপার দিয়ে তাঁকে খুন করে দেহটি সিংজোলের খেতে ফেলে দেয়।
|
আইনজীবীকে মার, গ্রেফতার দুই যুবক
নিজস্ব সংবাদদাতা • বনগাঁ |
এক আইনজীবীকে মারধরের অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার বনগাঁর খেলাঘর মাঠ সংলগ্ন এলাকা থেকে অঙ্গজ সাহা এবং অসীম সাহা নামে ওই দু’জনকে ধরা হয়। অভিযোগ, বুধবার বিকেলে বনগাঁ বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি চিত্তরঞ্জন মুখোপাধ্যায়কে মারধর করে তারা। ওই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বনগাঁ আদালত চত্বরে প্রতিবাদ মিছিল করেন শতাধিক আইনজীবী। বনগাঁ বার অ্যাসোশিয়েসন ও ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন যৌথ ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, ধৃতদের পক্ষে আদালতে কোনও আইনজীবী দাঁড়াবেন না। অভিযুক্তদের পরিবারের দাবি, ওই আইনজীবীর সঙ্গে জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদের জেরে তাদের ফাঁসানো হয়েছে।
|
৩৫টি মোবাইল-সহ গ্রেফতার দুই দুষ্কৃতী
নিজস্ব সংবাদদাতা • ভাঙড় |
চুরি করা ৩৫টি মোবাইল ফোন-সহ দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার রাতে ভাঙড়ের গোবিন্দপুর এলাকা থেকে মহিবুল গাজি এবং কুতুব মল্লিক নামে ওই দু’জনকে ধরা হয়। দু’জনেরই বাড়ি স্থানীয় মাড়িয়া গ্রামে। পুলিশের দাবি, ওই দু’জন মোবাইল চোরাই চক্রের পাণ্ডা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৬ এপ্রিল রাতে ভাঙড়ের পাগলাহাট এলাকার বাসিন্দা সাকিল মোল্লার মোবাইলের দোকানের পিছনের দেওয়াল ভেঙে দুষ্কৃতীরা বেশ কিছু মোবাইল ফোন চুরি করে। তদন্তে নেমে পুলিশ আগেই এক জনকে গ্রেফতার করেছিল। তাকে জেরা করেই বুধবার ওই দু’জনকে ধরে পুলিশ। চক্রের বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানায় পুলিশ।
|
বাড়িতেই মাটির নীচে গৃহকর্তার দেহ |
মন কষাকষি হওয়ায় স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। রাগ পড়তে কয়েক দিন পরে স্বামীর বাড়িতে ফিরে তিনি আর স্বামীকে দেখতে পাননি। তবে বাড়ির ভিতরে একটি মাটির ঢিপি চোখে পড়ে তাঁর। বৃহস্পতিবার সকালে সোনারপুরে আনন্দপুর গোয়ালবাটিতে সেই ঢিপি খুঁড়ে পাওয়া যায় গৃহকর্তা সত্য চক্রবর্তী (৫০)-র দেহ। খুনের অভিযোগে তাঁর শ্যালিকার ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম উপেন বিশ্বাস। পুলিশ জানায়, মাস দেড়েক আগে ওই এলাকায় বাড়ি ভাড়া নেন সত্যবাবু ও তাঁর স্ত্রী মঞ্জুদেবী। দিন পনেরো আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। কসবায় বাপের বাড়িতে চলে যান মঞ্জুদেবী। গত সপ্তাহে গোয়ালবাটির বাড়িতে ফিরে স্বামীকে না-পেয়ে সোনারপুর থানায় নিখোঁজ-ডায়েরি করেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, জগড়ার দিন গোয়ালবাটির বাড়িতে ছিল উপেন। মঞ্জুদেবী পুলিশকে বলেছেন, তিনি বাড়ি ছাড়ার পরে উপেন তাঁকে জানায়, তাঁর স্বামী দার্জিলিং গিয়েছেন। উপেন মাসিকেকে বাড়ির চাবিও ফেরত দেন। বাড়িতে মাটির ঢিপি দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয় মঞ্জুদেবীর। পুলিশের অনুমান, মেসোমশাইয়ের কাছ থেকে টাকা ধার করত উপেন। তা নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে এই খুন।
|
গুলি-ভর্তি রিভলভার সহ এক দুষ্কৃতীকে ধরল পুলিশ। বুধবার রাতে পুলিশের কাছে খবর আসে, মিনাখাঁর মালঞ্চ বাজারে এক ব্যবসায়ীর দোকানে ডাকাতির উদ্দেশে জড়ো হচ্ছে দুষ্কৃতীরা। মিনাখাঁর ওসি গৌতম মিত্র বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রেফতার করেন আজগর আলি মোল্লা নামে ওই দুষ্কৃতীকে। বাড়ি ভাঙড়ের ফুলবাড়ি।
|
আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি-সহ দুই যুবককে ধরল পুলিশ। বুধবার বনগাঁর মতিগঞ্জ থেকে আনন্দ বিশ্বাস এবং সুরজিত্ বিশ্বাস নামে ওই দু’জনকে ধরা হয়। দু’জনেরই বাড়ি কলকাতার ঠাকুরপুকুর এলাকায়। |