দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের মেন্টর হওয়ার পরেই স্যর ভিভিয়ান রিচার্ডসের টোটকা ছিল সহবাগদের সাফল্যের জন্য পরের পর হারে মনের ভেতর ভয় থাকলেও মাঠে অভিনয় করো যেন এ সব হারটার কোনও ব্যাপারই নয়। পুরো আত্মবিশ্বাসী দিল্লি টিম।
নিজের খারাপ দিনেও প্রতিপক্ষকে ভড়কে দেওয়ার এই অভিনয়ের ধরনটা এ দিন ভিভ একটু বদলের কথা শোনালেন। ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান জানাচ্ছেন, তাঁর দেশোয়ালি ক্রিস গেইলের মতো ব্যাট করা দরকার সহবাগের। “যখন আমি বলছি প্রতিপক্ষকে ভড়কে দেওয়ার জন্য অভিনয় করতে হবে তখন সেটার মানে হল খেলতে নেমে নিজের মানসিকতার একটু অদলবদল। গেইল প্রথম বল থেকেই চার-ছক্কা মারতে ভালবাসে। কিন্তু অনেক সময় ও ধরে খেলে কয়েকটা ওভার। তার পর পেটাতে শুরু করে। আমি চাই বীরুও সেই ভাবে ব্যাট করুক আইপিএলে। কয়েকটা সিঙ্গলস নিয়ে সেট হয়ে গিয়ে তার পর লম্বা সময় ধরে পেটাও। কারণ গেইল-সহবাগের মতো ব্যাটসম্যানরা বড় ইনিংস খেললে বোলাররা একটু বেশিই ঘামতে শুরু করে। আতঙ্কে থাকে কখন ব্যাটসম্যান ওদের ঠ্যাঙাতে শুরু করবে! এই বোধহয় সময়টা এল!” |
বলছিলেন ভিভ। যিনি কিনা খেলোয়াড়জীবনে নিজেই ব্যাট হাতে বিশ্বের সব নামীদামি বোলারের অনুরূপ অবস্থা তৈরি করতেন।
আইপিএল সিক্সের নতুনত্ব বেশির ভাগ ফ্র্যাঞ্চাইজিতে কিংবদন্তিরা মেন্টর-এর দায়িত্বে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে কুম্বলে। সানরাইজার্সে লক্ষ্মণ। রাজস্থান রয়্যালস আর কিংস ইলেভেন পঞ্জাব-এ যথাক্রমে দ্রাবিড় এবং গিলক্রিস্ট। শেষ দু’জন খেলছেনও। কিন্তু মেন্টরদের মধ্যে সেরা আকর্ষণ অবশ্যই ভিভ। যিনি আরামসে এটা বলে দিয়ে ক্রিকেটাড্ডায় তর্কের বিষয় তৈরি করে দিতে পারেন যে, বিরাট কোহলির ব্যাটিং দেখলে তাঁর নিজের কথা মনে পড়ে যায়! বিরাট সম্পর্কে সস্নেহে কথাটা বলা কিনা কে জানে, কিন্তু ভিভ বলছেন, “বিরাটের ব্যাটিং দেখতে আমি ভালবাসি। ও যেন আমার নিজের ব্যাটিংয়ের কথা মনে পড়িয়ে দেয়। ওর আগ্রাসী ব্যাটিং আর খেলাটা নিয়ে গভীর আবেগটা আমার খুব পছন্দ। যেটা আমারও ব্যাটিংয়ে ছিল। সচিন অবসর নেওয়ার পর বিরাটই ভারতীয় ব্যাটিংকে টানবে।”
যদিও ভিভের কথায়, “সচিনকে আমি কোনও দিনও ঘুম থেকে উঠে বলার সাহস দেখাব না যে, ভাই তুমি কাল অবসর নাও। সচিন কবে অবসর নেবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিশ্বে একমাত্র অধিকারী ও নিজে। আর কেউ নয়। ও পঞ্চাশ বছরে যখন পৌঁছবে তখনও আমি ওর ব্যাটিং দেখতে মুখিয়ে থাকব।” |