মিছিলের গেরোয় ফের অচল মহানগর |
কাজের দিনে মিছিলের সৌজন্যে ফের থমকে গেল মহানগরের গতি। শহরের প্রাণকেন্দ্রে যানজটের চক্করে নাজেহাল হলেন সাধারণ মানুষ।
পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বামফ্রন্টের যুব সংগঠনগুলির মহাকরণ অভিযান ছিল। এর ফলে দুপুর ১টা থেকেই ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে যানজট শুরু হয়। দুপুর ২টো থেকে তা চরম আকার ধারণ করে। বেলা পৌনে চারটেতেও ধর্মতলায় সার দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল গাড়ি। যা দেখে এক পথচলতি নাগরিকের মন্তব্য, “এ শহরের মিছিল সংস্কৃতির বদল নেই।” |
ট্রাফিক পুলিশ জানায়, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে এ দিন মিছিলের জেরে মধ্য কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা যানজটের কবলে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, লেনিন সরণি, জওহরলাল নেহরু রোড, এস এন ব্যানার্জি রোড-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। বিভিন্ন রাস্তায় সার দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে গাড়ি। দেখা যায়, বাস-ট্যাক্সিতে বসে দরদর করে ঘামছেন নাজেহাল যাত্রীরা। এ দিন যানজটে আটকে পড়া নাগরিকদের এক জন সোমেন দত্ত। কাজের সূত্রে উত্তর কলকাতা থেকে ধর্মতলার আয়কর ভবনে আসছিলেন তিনি। ওই সামান্য পথ যেতে তাঁর অনেকটা সময় লেগে যায়।
এ দিন মানুষের অস্বস্তি আরও বাড়িয়েছে গরম। গত কয়েক দিনের ঠান্ডা মেজাজ কাটিয়ে এ দিন থেকেই ফের ছন্দে ফিরেছে গরম। ছিল আর্দ্রতাও। একে যানজট, তার উপরে রোদের তাপ সব মিলিয়ে নাকাল হয়েছেন রাস্তায় বেরোনো লোকজন। |
লালবাজারের এক ট্রাফিক-কর্তার বক্তব্য, “ডোরিনা ক্রসিং মধ্য কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মোড়। এখানে রাস্তা থমকে গেলে তা সামলানো প্রায় অসম্ভব।” অথচ সাধারণ মানুষের নিত্য অভিজ্ঞতা বলছে, মিছিল-মিটিংয়ের জন্য বড় রাজনৈতিক দল থেকে ছোটখাটো সংগঠন, সকলে এই জায়গাটাকেই বেছে নেয়। যার ফলে রোজ যান চলাচল থমকে না গেলেও প্রায় রোজই অল্পবিস্তর যানজট পোহাতে হয় যাত্রীদের। এ রাজ্যে পালাবদলের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, শহরের প্রাণকেন্দ্রে মিছিল আটকাবেন। কিন্তু তাঁর দলের অনেক সংগঠনও মিছিল-সমাবেশের জন্য এই জায়গাটিই বেছে নেয়।
পুলিশকর্তাদের মতে, দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা রাজনৈতিক সংস্কৃতির ছবিই এ দিন ফুটে উঠেছে। পুলিশের এক কর্তা জানান, এ দিন বিকেল পর্যন্ত ওই এলাকাগুলিতে যানজট চলে। সন্ধ্যার পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
|