শুরু ভারত ভারী উদ্যোগ, বিবিজে-র সংযুক্তি প্রক্রিয়া |
তিন বছর থমকে থাকার পরে ফের শুরু হচ্ছে ভারত ভারী উদ্যোগ নিগম (বিবিইউএনএল) এবং ব্রেথওয়েট বার্ন অ্যান্ড জেসপ কনস্ট্রাকশন কোম্পানি (বিবিজে)-র সংযুক্তি প্রক্রিয়া। সরকারি সূত্রে খবর, বিবিইউএনএলে প্রথমে মিশবে বিবিজে। এর পর ফের সংযুক্ত সংস্থাটির নাম নতুন করে হবে বিবিজে।
প্রাথমিক ভাবে বিবিইউএনএলের অল্প সংখ্যক কর্মীকে স্বেচ্ছাবসর দেওয়ার পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প মন্ত্রকের। ২৯ এপ্রিল সংস্থার পরিচালন পর্ষদের বৈঠকে এ সব নিয়ে আলোচনা হবে।
গঙ্গাবক্ষে হাওড়া ব্রিজ নির্মাণের সূত্রে তৈরি হয় বিবিজে। দক্ষতার ভিত্তিতে ব্রেথওয়েট, বার্ন ও জেসপ, ৩টি বড় ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থা মিলে প্রায় আট দশক আগে গড়ে বিবিজে কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। ১৯৮৭-তে সেটি জাতীয়করণ হয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত বিবিইউএনএলের অন্তর্ভুক্ত হয়। পরে দেশ জুড়ে সংস্থার উল্লেখযোগ্য নির্মাণ কাজের মধ্যে দ্বিতীয় হুগলি সেতুও (বিদ্যাসাগর সেতু) রয়েছে। বিবিইউএনএলের অধীনে বিবিজে-সহ একাধিক সংস্থা ছিল। তাদের অধিকাংশই রেলের অধীনে চলে যায়। জেসপ বিক্রি করা হয়। শুধু বিবিজে-ই রয়ে গিয়েছে। অন্য সংস্থাগুলি রেলের ওয়াগন তৈরি করলেও বিবিজের দক্ষতা মূলত ব্রিজ, রেল ব্রিজ তৈরিতে। ২০১০-এর অগস্টে ভারী শিল্প মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নেয়, অধীনস্থ সংস্থা বিবিজে এবং মূল সংস্থা বিবিইউএনএলকে মিশিয়ে দেওয়া হবে।
দীর্ঘ দিন থমকে থাকা সেই সিদ্ধান্তই কার্যকর করতে উদ্যোগী কেন্দ্র। রাষ্ট্রায়ত্ত অ্যান্ড্রু ইয়ুল-এর সিএমডি কল্লোল দত্তকে বিবিইউএনএলে-ও সিএমডি নিয়োগ করে তারা। তাঁকে করা হয় বিবিজের এমডি-ও। তাঁর আশ্বাস, কর্মী-স্বার্থ রক্ষা হবে। স্বেচ্ছাবসর ছাড়া বিবিইউএনএল কর্মীদের অন্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় ছড়িয়ে দেওয়ার ভাবনাও রয়েছে। তবে কল্লোলবাবুর দাবি, স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প আকর্ষণীয় হবে। |