বহুতল ভেঙে বাংলাদেশে মৃতের সংখ্যা দুশো ছাড়িয়ে গেল। রাত পর্যন্ত ২৫২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে ন’তলা বহুতলটির ধ্বংসাবশেষ থেকে। উদ্ধারকারীদের ধারণা, দেড় হাজারের বেশি মানুষ ধ্বংসস্তূপের তলায় এখনও আটকে রয়েছেন। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। গত কাল সকাল ৮টা নাগাদ হঠাৎই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে সাভার বাসস্ট্যান্ডের কাছে ‘রানা প্লাজা’ নামের বিশাল বহুতলটি। এ দিন সকাল থেকেই প্রিয়জনের ছবি হাতে আত্মীয়দের ভিড় বাড়তে থাকে। সাভার বাসস্টান্ডের কাছেই একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সেখান থেকে ১৯২ জনের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। অশনাক্ত দেহগুলি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে রাখা হচ্ছে। বাড়িটি ভেঙে পড়ার সময়ে সেটিতে থাকা পাঁচটি পোশাক কারখানায় প্রায় চার হাজার মহিলা শ্রমিক কাজ করছিলেন। |
সাভারের বহুতল থেকে উদ্ধার কিশোরী। ছবি: রয়টার্স |
মৃতদেহের স্তূপ ও চার দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা দেহাংশের মধ্যেই নতুন প্রাণের স্পন্দনের সাক্ষী থাকল ‘রানা প্লাজা’। এক উদ্ধারকর্মী জানিয়েছেন, বাড়িটির চার তলার দু’টো ঘরে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন দুই মা। তবে যে সরু সুড়ঙ্গ দিয়ে তিনি সেখানে পৌঁছেছিলেন, সেই রাস্তা দিয়ে তাদের বার করে আনা সম্ভব হয়নি। কিন্তু তারা ভাল আছে। অন্য একটি ঘরে আর এক মহিলা সন্তানের জন্ম দিলেও মা ও শিশু দু’জনেই মারা গিয়েছে। গত কালই উদ্ধার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন ১১০০ সেনা ও দমকল কর্মী।
২০১৩ জনকে জীবিত অবস্থাতেই উদ্ধার করেছেন তাঁরা। ভিতরে আটকে পড়া অনেকেই এখনও বেঁচে রয়েছেন বলে উদ্ধারকাজে ভারী যন্ত্রপাতিও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ফলে ধ্বংসস্তূপ সরাতে এখনও তিন-চার দিন লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। যাঁরা এখনও বেঁচে আছেন ভাঙা বাড়ির ফাঁক ফোকর দিয়েই তাঁদের জন্য ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে খাবার ও জলের বোতল।
|