অবশেষে শিলং-এর ‘নর্থ ইস্টার্ন ইন্দিরা গাঁধী রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ অ্যান্ড মেডিক্যাল সায়েন্সেস’ (নেইগ্রিম্স) থেকে এমবিবিএস পাশ করা প্রথম ব্যাচের ছাত্রছাত্রীরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার বহু প্রতীক্ষিত স্বীকৃতি পেয়ে গেল নেইগ্রিম্স।
১৯৮৭ সালে রাজীব গাঁধী ‘নেইগ্রিম্স’ প্রতিষ্ঠা করেন। মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার স্বীকৃতি ছাড়াই ২০০৮ সালে ‘নেইগ্রিম্স’-এ এমবিবিএস পড়ানো শুরু হয়েছিল। পরের বছর ‘এমডি’ পর্যায়ের পঠনপাঠনও শুরু হয়। গত ২ এপ্রিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ প্রথম ব্যাচে উত্তীর্ণ হওয়া ‘এমবিবিএস’ ছাত্রছাত্রীদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেন। কিন্তু ‘নেইগ্রিম্স’-এর এমসিআই স্বীকৃতি না থাকায় উত্তীর্ণ হওয়া ছাত্রছাত্রীরা চিকিৎসকের স্বীকৃতি পাচ্ছিলেন না। মন্ত্রী মেনে নেন, এমসিআই মানদণ্ড অনুযায়ী শিক্ষক ও পরিকাঠামো না থাকায় ‘নেইগ্রিম্স’-এর এমসিআই স্বীকৃতি পেতে দেরি হচ্ছে। ডিসেম্বরে এমসিআই প্রতিনিধিরা প্রতিষ্ঠান, প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া, পরিকাঠামো ও পরীক্ষা প্রণালী দেখে গিয়েছিলেন। শেষ অবধি শনিবার এমসিআইয়ের তরফে ‘নেইগ্রিম্স’-কে স্বীকৃতি দেওয়া হল। ‘নেইগ্রিম্স’-এর অধিকর্তা এ জি আয়াঙ্গার বলেন, “পাশ করা ছাত্রছাত্রীরা দীর্ঘদিন ধরে অনিশ্চয়তায় ভুগছিলেন। আমরাও নিশ্চিত করে কোনও ভরসা দিতে পারছিলাম না। এতদিনে শান্তি। এখনও এখানে ৫০ জন শিক্ষকের পদ খালি। যত দ্রুত সম্ভব পদগুলি পূরণ করা হবে।” তিনি জানান, দূরত্বের জন্যই মেঘালয়ের ‘নেইগ্রিম্স’-এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা শিক্ষকতা করতে আসতে চাইছেন না। বাইরের চিকিৎসকদের টানতে তাঁদের জমি দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। পাশাপাশি, কেন্দ্র ‘নেইগ্রিম্স’-এ ‘নার্সিং কলেজ’, ‘রিজিওনাল ক্যান্সার সেন্টার’ প্রভৃতি গড়ার জন্য ২৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। |