টুকরো খবর
বিষ্ণুপুরের গ্রামে ম্যালেরিয়ার জীবাণু
বিষ্ণুপুর থানার নামো মাজুরিয়া গ্রামে জ্বর আক্রান্তদের একজনের রক্তে ম্যালেরিয়ার জীবাণু মিলল। বুধবারও ওই গ্রামে মেডিক্যাল টিম গিয়ে কয়েকজনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে। এসিএমওএইচ (বিষ্ণুপুর) সুভাষচন্দ্র সাহা বলেন, “বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে জ্বর নিয়ে ভর্তি হওয়া বুদ্ধদেব দিগারের রক্তে ফ্যালসিফেরামের জীবাণু মিলেছে। ইতিমধ্যে ওই গ্রামের একজন জ্বরে মারা গিয়েছেন। তাঁর রক্ত অবশ্য পরীক্ষা করা যায়নি। কাজেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই দেখা হচ্ছে।” এদিন নতুন করে নামো মাজুরিয়ার কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়নি। তবে বাসিন্দাদের দাবি, এখনও পর্যন্ত গ্রামে চার জন জ্বরে ভুগছেন। পাশের কলাইজুড়ি গ্রামেও জ্বর ছড়িয়েছে। বিষ্ণুপুরের ব্লক মেডিক্যাল অফিসার কুমারেশ ঘোষ জানান বলেন, “নতুন করে জ্বরে আক্রান্ত কয়েকজনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ওষুধপত্রও দেওয়া হচ্ছে।” স্বাস্থ্যকর্মীদের মতে, ওই গ্রামগুলির আশেপাশে জঙ্গল রয়েছে। ফলে ম্যালেরিয়ার সম্ভাবনা বেশ রয়েছে। বাসিন্দাদের তাঁরা মশারি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।

সারদা গোষ্ঠীর অ্যাম্বুল্যান্স
—নিজস্ব চিত্র
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্বোধন করা সারদা গোষ্ঠীর ১০টি অ্যাম্বুল্যান্স পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় পৌঁছেছিল ২০১১ সালের শেষে। জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত এলাকায় চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতেই এই উদ্যোগ বলে তখন জানিয়েছিলেন সারদা কর্তৃপক্ষ। প্রথম প্রথম কয়েকটি স্বাস্থ্য শিবিরে দেখা গিয়েছিল অ্যাম্বুল্যান্সগুলিকে। পরে অবশ্য জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সারদার অফিসগুলির কাজেই তা ব্যবহৃত হত। সারদা-কাণ্ডের পর অধিকাংশ অ্যাম্বুল্যান্সই আর এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। শুধু চন্দ্রকোনা রোডে সারদার অফিসের পাশে থেকে গিয়েছে এমনই একটি অ্যাম্বুল্যান্স।

অ্যাম্বুল্যান্সে আগুন
ছবি: পার্থ চক্রবর্তী
রোগী নিয়ে যেতে যেতে আচমকাই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আগুনের গ্রাসে চলে যায় অ্যাম্বুল্যান্সটি। তবে স্থানীয় মানুষদের চেষ্টায় রোগী-সহ অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতর থেকে সকলকেই বার করে আনা হয়। জামশেদপুরের মানগোয়।

বহির্বিভাগে ওষুধ না-মেলায় বিস্ময়
সরকারি হাসপাতাল, অথচ জন্মলগ্ন থেকেই বহির্বিভাগে নিখরচায় ওষুধ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়নি। তা নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরেরও মাথাব্যথা ছিল না। কিন্তু গত সপ্তাহে বাঙুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজি (বিআইএন) ঘুরে দেখতে গিয়ে ব্যাপারটা আবিষ্কার করে স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের কর্তারা অবাক হয়ে যান। হাসপাতাল-কর্তৃপক্ষ তাঁদের জানান, ওই হাসপাতালে সবই পেয়িং বেড। তাই নিখরচায় ওষুধ দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান চিকিৎসক সুব্রত মৈত্র প্রশ্ন তোলেন, “পেয়িং বেড তো ইন্ডোরের ব্যাপার। তার সঙ্গে আউটডোর পরিষেবাকে জড়ানো হবে কেন? সরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগে নিখরচায় ওষুধ দেওয়াটাই নিয়ম। এখানে তা মানা হচ্ছে না কেন?” জবাব পাননি তিনি। বিষয়টি জেনে স্বাস্থ্য (শিক্ষা) অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ও ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, “কী করে এমনটা হতে পারে, বোধগম্য হচ্ছে না। অবিলম্বে বিআইএনের বহির্বিভাগে বিনা পয়সায় ওষুধ দেওয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছি।” টাস্ক ফোর্স জানিয়েছে, সেরিব্রাল পালসি-আক্রান্তদের জন্য রাজ্যের প্রথম সরকারি পুনর্বাসন কেন্দ্র তৈরি হবে বিসি রায় পোলিও হাসপাতালে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.