বিষ্ণুপুর থানার নামো মাজুরিয়া গ্রামে জ্বর আক্রান্তদের একজনের রক্তে ম্যালেরিয়ার জীবাণু মিলল। বুধবারও ওই গ্রামে মেডিক্যাল টিম গিয়ে কয়েকজনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে। এসিএমওএইচ (বিষ্ণুপুর) সুভাষচন্দ্র সাহা বলেন, “বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে জ্বর নিয়ে ভর্তি হওয়া বুদ্ধদেব দিগারের রক্তে ফ্যালসিফেরামের জীবাণু মিলেছে। ইতিমধ্যে ওই গ্রামের একজন জ্বরে মারা গিয়েছেন। তাঁর রক্ত অবশ্য পরীক্ষা করা যায়নি। কাজেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই দেখা হচ্ছে।” এদিন নতুন করে নামো মাজুরিয়ার কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়নি। তবে বাসিন্দাদের দাবি, এখনও পর্যন্ত গ্রামে চার জন জ্বরে ভুগছেন। পাশের কলাইজুড়ি গ্রামেও জ্বর ছড়িয়েছে। বিষ্ণুপুরের ব্লক মেডিক্যাল অফিসার কুমারেশ ঘোষ জানান বলেন, “নতুন করে জ্বরে আক্রান্ত কয়েকজনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ওষুধপত্রও দেওয়া হচ্ছে।” স্বাস্থ্যকর্মীদের মতে, ওই গ্রামগুলির আশেপাশে জঙ্গল রয়েছে। ফলে ম্যালেরিয়ার সম্ভাবনা বেশ রয়েছে। বাসিন্দাদের তাঁরা মশারি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।
|
রোগী নিয়ে যেতে যেতে আচমকাই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আগুনের গ্রাসে চলে যায় অ্যাম্বুল্যান্সটি। তবে স্থানীয় মানুষদের চেষ্টায় রোগী-সহ অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতর থেকে সকলকেই বার করে আনা হয়। জামশেদপুরের মানগোয়।
|
বহির্বিভাগে ওষুধ না-মেলায় বিস্ময় |
সরকারি হাসপাতাল, অথচ জন্মলগ্ন থেকেই বহির্বিভাগে নিখরচায় ওষুধ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়নি। তা নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরেরও মাথাব্যথা ছিল না। কিন্তু গত সপ্তাহে বাঙুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজি (বিআইএন) ঘুরে দেখতে গিয়ে ব্যাপারটা আবিষ্কার করে স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের কর্তারা অবাক হয়ে যান। হাসপাতাল-কর্তৃপক্ষ তাঁদের জানান, ওই হাসপাতালে সবই পেয়িং বেড। তাই নিখরচায় ওষুধ দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান চিকিৎসক সুব্রত মৈত্র প্রশ্ন তোলেন, “পেয়িং বেড তো ইন্ডোরের ব্যাপার। তার সঙ্গে আউটডোর পরিষেবাকে জড়ানো হবে কেন? সরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগে নিখরচায় ওষুধ দেওয়াটাই নিয়ম। এখানে তা মানা হচ্ছে না কেন?” জবাব পাননি তিনি। বিষয়টি জেনে স্বাস্থ্য (শিক্ষা) অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ও ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, “কী করে এমনটা হতে পারে, বোধগম্য হচ্ছে না। অবিলম্বে বিআইএনের বহির্বিভাগে বিনা পয়সায় ওষুধ দেওয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছি।” টাস্ক ফোর্স জানিয়েছে, সেরিব্রাল পালসি-আক্রান্তদের জন্য রাজ্যের প্রথম সরকারি পুনর্বাসন কেন্দ্র তৈরি হবে বিসি রায় পোলিও হাসপাতালে। |