পোলট্রি খামার গড়ায় আপত্তি জানাতে গিয়ে পুলিশ ও খামার কর্তৃপক্ষের লোকেদের হাতে মারধরের অভিযোগ করলেন বাসিন্দারা। এই অভিযোগে বুধবার সন্ধ্যায় বেলিয়াতোড় থানায় বিক্ষোভ দেখালেন ওই ভ্যাঙাকেন্দ গ্রামের বাসিন্দারা। স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই গ্রামের প্রায় ৫৫টি পরিবারের পেশা পান চাষ। সম্প্রতি এলাকায় একটি পোলট্রি খামার গড়া হচ্ছে। তাতে পানের বরজের ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা বাসিন্দাদের। কালীপদ রায়, সুধাময় রায়, সুমিত্রা রায়দের অভিযোগ, “মঙ্গলবার ওই খামারে নির্মাণ কাজ বন্ধের দাবিতে আমরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলাম। সেই সময় পুলিশ এসে খামার কর্তৃপক্ষের লোকেদের নিয়ে আমাদের মারধর করে।” ওই খামারের অধিকর্তা অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, “গ্রামবাসীরা মিথ্যা অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখানোর নামে লুঠপাট চালাচ্ছিল। তাঁদের মারধর করার অভিযোগ মিথ্যা।” তিনি রাহুল সেন নামে স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে তোলাবাজিরও অভিযোগ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, “রাহুলবাবু আমাদের কাছে তোলা চেয়েছিলেন। না দেওয়ায় তিনি আমাদের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের উস্কানি দেন। পুলিশকে বিষয়টি জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছি।” রাহুলবাবুর দাবি, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। গ্রামবাসীদের স্বার্থে আমি তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে আন্দোলন করছি।” পুলিশ ও বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ মানতে চায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে।”
|
সারদা গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত থাকায় অভিযুক্ত রাজ্যের সাংসদ ও এক মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে পথ অবরোধ হল পুরুলিয়ায়। বুধবার শহরের বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া রাস্তার উপর চৌমাথায় কিছুক্ষণের জন্য অবরোধ করেন কংগ্রেস কর্মীরা। তাঁদের দাবি, দ্রুত ওঁদের পদত্যাগ করতে হবে। পুরো বিষয়টি সিবিআইকে দিয়ে তদন্ত করানোরও দাবি তোলেন তাঁরা। অবরোধের জেরে রাস্তায় কিছু ক্ষণ যানজট সৃষ্টি হয়। এ দিন বিকেলে বড়জোড়ায় পথসভা করে সারদা গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত তৃণমূলের সাংসদদের গ্রেফতারের দাবি তোলে ডিওয়াইএফ। |
উপস্থিত ছিলেন ডিওয়াইএফের রাজ্য সহ-সভাপতি সুজয় চৌধুরী-সহ আরও অনেকে। সুজয়বাবুর দাবি, “তৃণমূলের কিছু সাংসদ সারদা গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত। ভরাডুবির দায় তাঁরাও এড়িয়ে যেতে পারেন না। তাঁদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।”
|
ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র-সহ এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে পুরুলিয়া-বরাকর রাজ্য সড়কে নিতুড়িয়া থানার মেকাতলা গ্রামের কাছে তাকে ধরা হয়। পুলিশের দাবি, ধৃত শঙ্কর সাউ ওই দলের পাণ্ডা। আসানসোলের নিয়ামতপুর এলাকার তার বাড়ি। পুলিশের দাবি, ধৃতের কাছ থেকে গুলি ভর্তি একটি পাইপগান ও একটি নাম্বারবিহীন মোটরবাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আসানসোল-সহ ঝাড়খণ্ডের কিছু থানায় শঙ্করের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। বুধবার তাকে রঘুনাথপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। ওই দলের বাকিদের সন্ধান শুরু করেছে পুলিশ।
|
বধূ খুনের অভিযোগে স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মৃতের নাম জবা পরামানিক (২২)। বুধবার তাঁর মৃত্যু হয়। পুরুলিয়া সদর থানার শিমুলঘুটা গ্রামে তাঁর শ্বশুরবাড়ি। তাঁর বাবা পাড়া থানার মালডি গ্রামের বদন মাহাতোর অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বিষ খাইয়ে খুন করেছে। সেই অভিযোগে দুপুরেই পুলিশ বধূর স্বামী নয়ন পরামানিক ও শ্বশুর সনাতন পরামানিককে গ্রেফতার করে। শ্বাশুড়ি ও দেওর পলাতক। বছর দুয়েক আগে নয়নের সঙ্গে জবার বিয়ে হয়েছিল। |