এলাকার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে পুরুলিয়ার জঙ্গলমহলে শুরু হল সুসংহত জলবিভাজিকা ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যৌথ ভাবে এই প্রকল্প রূপায়ণ করছে। বুধবার বলরামপুরের বেলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ইছাডি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠে দু’টি প্রকল্পের সূচনা করেন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মণ। তিনি বলেন, “এলাকার বাসিন্দারাই এই প্রকল্পের পরিকল্পনা করবেন। ফলে প্রকল্প রূপায়ণ হওয়ার পরে অনেক বেশি মানুষ উপকৃত হবেন।”
প্রশাসন সূত্রের খবর, আগে ক্ষুদ্র জলবিভাজিক প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। এ বার তার থেকে আরও বড় এই প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগিয়ে এলাকার সার্বিক বিকাশ ঘটানো হবে। এক আধিকারিকের কথায়, কোথাও জোড় বাঁধ দিয়ে সেখানে জল সংরক্ষণ করা হবে। সেখানে মাছ চাষ করা হবে। ওই জল ব্যবহার করে বনসৃজন, পতিত জমিকে চাষযোগ্য করা হবে। পাশাপাশি পশুপালন থেকে গ্রামীণ কুটির শিল্পেও মানুষকে যুক্ত করা হবে। এ বার প্রকল্পগুলির পরিকল্পনা করা হবে বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা করেই। তাঁরাই প্রশাসনকে জানাবেন, কী করা হলে তাঁদের উপকার হবে। সারা জেলায় ১৩টি প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে তিনটি করবে বন দফতর। এ দিন ইচাডি গ্রামে এরকা ও বেড়সা এলাকার দু’টি প্রকল্পের কাজের সূচনা হয়। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বলরামপুরে এরকা প্রকল্পে বড়চাতরমা, মালতি, দাঁতিয়া, বেলা, বেড়মা, ইচাডি-সহ মোট ১৪টি মৌজা এবং বেড়সা প্রকল্পে ঘাটবেড়া-কেরোয়া পঞ্চায়েতের কেরোয়া, কর্মা, বনডি ও গেঁড়ুয়া পঞ্চায়েতের বেড়সা, কাশিডি, পারবাইদ, পাথরবাঁধ, ধুধিকাঁটা-সহ মোট ২৯টি মৌজার বাসিন্দারা আওতাভুক্ত হবেন। রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি দফতরের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো বলেন, “জলের অভাব এই জেলার মূল সমস্যা। তা সংরক্ষণ করে উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করাই প্রকল্পের মুল লক্ষ্য।”
অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বেড়সার অশ্বিনী গরাই, ছোটন সিং সর্দাররা। তাঁদের ভাবনা, “এই প্রকল্পে কৃষিজাত শিল্পের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি ঝর্নার জল ধরে রেখে পানীয় জল হিসেবে বিপণনের কথাও ভাবা যেতে পারে। দেখা যাক প্রশাসন কী করে।” |