চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে ওঠার ব্যাপারে এক রকম হাল ছেড়ে দিয়েছে বার্সেলোনা। স্বয়ং লিও মেসি বলছেন, “প্রথম লেগে ০-৪ হারার পর ফিরতি ম্যাচ, সেটা নিজেদের ঘরের মাঠে খেলার সুযোগ পেলেও পাঁচ গোলের ব্যবধানে জেতা বিরাট কঠিন। তার উপর বায়ার্ন দুর্দান্ত টিম। কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী।”
হ্যামস্ট্রিং চোটের ঠিক তিন সপ্তাহ পর বার্সার প্রথম এগারোয় মেসির প্রথম সুযোগ পাওয়া গত রাতেই। কিন্তু এল এম টেন-কে পুরো নব্বই মিনিট মাঠে রাখা নিয়ে এখন বার্সা হেড কোচ তিতো ভিলানোভা-র সমালোচনা শুরু হয়েছে। এমনকী পরিসংখ্যানও বলছে, মেসি (৭৪০৯ মিটার) এই ম্যাচে বায়ার্নের দুই উইঙ্গার রবেন (১০৯৯৭ মিটার) আর রিবেরির (১০৪৮৭ মিটার) চেয়ে তিন কিলোমিটার কম দৌড়েছেন।
কিন্তু মেসি সাফ বলেছেন, “আমি পুরো ফিট ছিলাম। আমার খারাপ খেলার পিছনে পুরো কৃতিত্ব বায়ার্ন টিমের। ওদের ডিফেন্সকে আমি হারাতে পারিনি। বায়ার্ন আমাদের সব বিভাগে পুরোপুরি পর্যুদস্ত করেছে।” চার গোল খাওয়ার দুঃখে মেসি বলে ফেলেছেন, “এই হার আমাদের দলের কাছে চরম লজ্জার।” |
মেসির গলায় গলা মিলিয়েছেন বার্সার আরও দুই অপরিহার্য তারকা ফুটবলার পিকে আর জাভি। দুজনেরই বক্তব্য, বার্সেলোনার ফাইনালে ওঠার আশা কার্যত শেষ। জাভি বলেছেন, “এটা আমাদের আমলে বার্সেলোনার জঘন্যতম রেজাল্ট। সবচেয়ে জঘন্য পারফরম্যান্স। শারীরিক ভাবে বায়ার্ন ফুটবলাররা আমাদের তুলনায় অনেক ভাল। শক্তিশালী। এটা আমাদের মেনে নিতেই হবে। ফিরতি ম্যাচে আমরা অলৌকিক কিছু করার আপ্রাণ চেষ্টা করব। কিন্তু পাঁচ গোলের ব্যবধানে জেতা কার্যত অসম্ভব।”
এ বারের টুর্নামেন্টেই নক আউটে ঘরের মাঠ ন্যু কাম্পে ফিরতি ম্যাচ ৪-০ জিতে বার্সেলোনা সব মিলিয়ে ৪-২ হারিয়েছিল এসি মিলানকে। মেসি সে কথা মনে করিয়ে দিলেও সঙ্গে যোগ করেছেন, “বায়ার্ন দলটা আমাদের চেয়ে শারীরিক ভাবে অনেক শক্তিশালী। তা সত্ত্বেও মিউনিখে যা ঘটেছে সেটা আমাদের কাছে লজ্জার। ফিরতি ম্যাচে আমরা যত বেশি সম্ভব গোল করার চেষ্টা করব। আমাদের এখন ইতিবাচক ভেবে এগিয়ে যেতেই হবে। কিন্তু তাতেও ফাইনালে ওঠা ভীষণই কঠিন আমাদের।” |