রাতে দামোদর পার করে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু দুপুরে আবার ফিরে এল হাতির দল। এ বার আমলাজোড়ায় নয়, হাতিরা আশ্রয় নিয়েছে বুদবুদ সেনাছাউনির অ্যামুনিশন ডিপোর পাশের জঙ্গলে। হাতি তাড়াতে গিয়ে পড়ে জখম হয়েছেন এক বনকর্মী। এই দলটিই আগের দিন কাঁকসায় ঢুকেছিল কি না, সে ব্যাপারে অবশ্য বনকর্তারা নিশ্চিত নন। কী ভাবে ফের তাদের এলাকাছাড়া করা যায়, তা নিয়ে চিন্তায় বন দফতর।
বন দফতর সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে ১৬টি হাতির একটি দল কাঁকসার আমলাজোড়া হয়ে মোবারকগঞ্জে ঢোকে। দিনভর এলাকায় তারা তাণ্ডব চালায়। প্রচুর আমগাছ, ধান, কুমড়ো, টম্যাটো, শসার খেত নষ্ট করে বলে চাষিদের অভিযোগ। হাতির লাথি খেয়ে জখম হন ধীরেন পাল নামে স্থানীয় আলসেপাড়ার এক বাসিন্দা। আপাতত তিনি কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। |
মঙ্গলবার আমলাজোড়া গ্রামেও খেত নষ্ট করেছিল ১৬টি হাতি। —নিজস্ব চিত্র। |
বন দফতর সূত্রে জানা যায়, বাঁকুড়ার সোনামুখীর দিক থেকে ওই হাতির দলটি দামোদর পেরিয়ে ভোর রাতে কাঁকসার আমলাজোড়ায় ঢুকে পড়ে। এর পরে মাঠভর্তি ফসলের লোভে সকালে তারা চলে যায় মোবারকগঞ্জের মাঠে। রাতে হুলা পার্টির লোকজন তাদের দামোদর পার করিয়ে বড়জোড়া রেঞ্জে পাঠায়। কিন্তু বুধবার দুপুরে ফের একটি হাতির পাল দামোদর পেরিয়ে সোনামুখীর দিক থেকে এসে আশ্রয় নেয় বুদবুদ সেনা ছাউনির অ্যামুনিশন ডিপোর পাশের জঙ্গলে।
এলাকায় হাতির পাল ঢোকায় বাসিন্দারা আতঙ্কিত। তাঁরা খবর দেন বন দফতরে। বন দফতরের কসবা বিট অফিস থেকে কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। হাতি তাড়া করলে দৌড়ে পালাতে গিয়ে এক কর্মী জখম হন। বন দফতরের বর্ধমান বিভাগের পানাগড় রেঞ্জ অফিসার কাশিনাথ দে জানান, মহম্মদ ওয়াব শেখ নামে ওই বনকর্মীকে পানাগড়ের সেনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, আগের দিনের দলটিই ফিরে এসেছে, না কি এটি নতুন দল, তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে এই দলেও খুদে হাতি রয়েছে। তিনি বলেন, “জঙ্গলে লুকিয়ে থাকায় দলে ঠিক কতগুলি হাতি রয়েছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। ১৪টি হাতিকে দেখা গিয়েছে।” তবে গ্রামবাসীরা জানান, দলে ১৬টি বা তার বেশি হাতি রয়েছে বলে তাঁদের অনুমান। রেঞ্জ অফিসার কাশিনাথবাবু বলেন, “রাতে হুলা পার্টির লোকজন ফের হাতির পালটিকে দামোদর পার করিয়ে বড়জোড়া রেঞ্জে পাঠানোর চেষ্টা করবে।” |