আচমকা ঝাড়গ্রাম শহরের অদূরে হাজির হয়েছে বুনো হাতির পাল। শহরের কাছাকাছি হাতিরা চলে আসায় চিন্তায় পড়েছে বন দফতর। কারণ, ২০০৫ সালের জানুয়ারি মাসে শহরে ঢুকে পড়া এক দাঁতাল হাতির হামলায় গুরুতর জখম হয়েছিলেন এক যুবক। তারপর আরও কয়েক বার শহরে বুনো হাতি ঢুকে পড়েছিল, তবে তেমন ক্ষয়ক্ষতি করেনি। বন দফতরের আশ্বাস, শহরে যাতে হাতিরা ঢুকে পড়তে না পারে সে বিষয়ে উপযুক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গত মঙ্গলবার রাতে ঝাড়গ্রাম শহরের অদূরে কুঁড়াশোল, বড়পাল, বিরিহাঁড়ি, পূর্ণাপানি, সিমলি, কেঁউদিশোল গ্রামে হানা দিয়ে কয়েকটি মাটির বাড়ি ভেঙেছে হাতিরা। ক্ষতি করেছে ধান চাষেরও। হাতির হামলায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুঁড়াশোল গ্রামে এক শিশু-সহ দু’জন জখম হন। |
ওই আসে ঐরাবত। ঝাড়গ্রামের কাছে নিজস্ব চিত্র। |
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লোধাশুলি রেঞ্জের বিরিহাঁড়ির জঙ্গল এলাকায় ঢোকে প্রায় পঞ্চাশটি হাতির পাল। হাতির পালটি মধুপুর, জারুলিয়া, বড়পাল ও কেঁউদিশোলের জঙ্গলে ঘোরাফেরা করছে। দলমার হাতির ওই পালটি মূলত ঝাড়খণ্ড লাগোয়া কাঁকড়াঝোরের ময়ূরঝর্নার জঙ্গলে ঘোরাফেরা করে। মাস খানেক আগে হাতির পালটি ওড়িশা-নয়াগ্রাম সীমান্তের দিকে চলে গিয়েছিল। গত ১৫ এপ্রিল হাতির পালটি নয়াগ্রাম থেকে গোপীবল্লভপুরের দিকে ফেরত আসে। এরপর কমলাশোল, মহাপাল, বাকড়া ও চন্দ্রি হয়ে হাতিরা মঙ্গলবার লোধাশুলি রেঞ্জ এলাকায় ঢুকে পড়ে। মঙ্গলবার হাতির পালটি বিরিহাঁড়ির জঙ্গলে চলে আসে। পালে রয়েছে দু’টি অতিকায় দাঁতাল। লোকজনকে দেখলেই দাঁতাল দু’টি তেড়ে আসছে। পালে গোটা দশেক শাবকও রয়েছে। বুধবার রাতে হাতিগুলি ছোট-ছোট দলে ভাগ হয়ে চাকুয়া ও কেঁউদিশোলের জঙ্গলে ঘোরাফেরা করছে। অভিজ্ঞ বনকর্মীদের বক্তব্য, দলমায় ও ময়ূরঝর্নায় পর্যাপ্ত খাবার না থাকায় হাতিদের ময়ূরঝর্না পালটি ইতঃস্তত বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ায়। খাদ্যের সন্ধানেই হাতিরা অসময়ে শহরের কাছাকাছি এসে হাজির হয়েছে। ঝাড়গ্রামের রেঞ্জ অফিসার পার্থপ্রতিম ত্রিপাঠী বলেন, “হাতিগুলিকে ময়ূরঝর্না ফেরানোর চেষ্টা হচ্ছে। শহরে হাতি যাতে না ঢুকতে পারে সেজন্য বনকর্মীরা কড়া নজরদারি চালাচ্ছেন।” |