|
|
|
|
লক্ষ্য লোকসভা ভোট |
জনসংযোগ বাড়ানোর নির্দেশ নীতীশ কুমারের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
নির্বাচনকে এখন পাখির চোখ হিসেবে দেখছেন নীতীশ কুমার। তাই মানুষের সমস্যার সমাধানে এবার জনতা দরবারের উপর বিশেষ জোর দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে প্রতিটি জেলায়, জনতা দরবারে স্থানীয় সাংসদ এবং বিধায়কদের উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিলেন নীতীশ কুমার। একই সঙ্গে জমি ব্যাঙ্ক তৈরির ব্যাপারেও একটি নীতি নির্ধারণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আজ জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, ডিভিশনাল কমিশনার-সহ আইজি, ডিআইজি-দের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিটি জেলাতে জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপার এক সঙ্গে সপ্তাহে একদিন জনতা দরবার করেন। সেখানে মানুষের সমস্যার কথা শোনা হয়। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও তাঁর বাসভবনে মাসে তিন দিন মানুষের সমস্যার কথা শুনতে জনতা দরবারে বসেন। সময় মতো নির্বাচন হলে এক বছর পরে লোকসভা নির্বাচন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, জনপ্রতিনিধিরা যদি মানুষের সঙ্গে থেকে তাঁদের কথা না শোনেন তা হলে আসল উদ্দেশ্যটাই ব্যর্থ হবে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, জেলার নির্বাচিত মন্ত্রী ও তাঁর সচিবদেরও সেই দরবারে উপস্থিত থাকতে হবে। ক্যাবিনেট সচিব ব্রজেশ মেহরোত্রা বলেন, “মানুষের সমস্যা সমাধানে মুখ্যমন্ত্রী সকলকে পরামর্শ দিয়েছেন। আধিকারিকদের আরও সংবেদনশীল হয়ে কাজ করতে বলেছেন। সাধারণ মানুষের কল্যাণের কথা ভেবেই সরকার সিদ্ধান্তগুলি নিয়েছে।”
নিজের ভোট ব্যাঙ্ক, দলিত এবং মহাদলিতদের দিকেও বিশেষ নজর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কুর্মি নেতা নীতীশ। এ দিনের বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় দলিত বা মহাদলিতদের কাছে বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা ঠিক মতো পৌঁছয় না।’’ সে দিকে বিশেষ ভাবে নজর রাখতে নীতীশ বলেন, ‘‘সংবেদনশীল মন নিয়ে দেখতে হবে, এই পিছিয়ে পড়া মানুষরা যাতে কোনও প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন।’’ প্রয়োজনে জেলাশাসকদের আলাদা করে এই ব্যাপারে নজর দেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রতিটি জেলায় জমি ব্যাঙ্ক গড়ে তোলা হবে। কমিশনার স্তরে ১০০ একর, জেলা স্তরে ৫০, মহকুমা স্তরে ২৫ এবং ব্লক স্তরে ১৫ একর জমি চিহ্নিত করে জমি ব্যাঙ্ক তৈরির কথা বলা হয়েছে।
রাজ্যে ১০০ দিনের কাজ নিয়ে দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। তা রুখতে মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত, বছরে একবার প্রতিটি পঞ্চায়েতে ‘মহাত্মা গাঁধী জাতীয় গ্রামীণ কর্ম নিশ্চয়তা’ দিবস পালন করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, পর্যালোচনা করে ওই দিন জানাতে হবে কত জন কাজ পেলেন, কত জনের জব কার্ড আছে এবং কী কারণে কাজ দেওয়া যায়নি। জেলার কোথাও যদি বর্ণবৈষম্য বা সাম্প্রদায়িক কারণে ঝামেলা বাধে, কমিশনার এবং আইজিদেরও এ বার থেকে সেখানে যেতে হবে। অবৈধ মদ বিক্রি ঠেকাতে আরও কড়া হতে আধিকারিকদের পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। |
|
|
|
|
|