রাঁচির প্রবাসী বাঙালিদের অন্যতম বড় ‘পার্বণ’ বাংলা সাংস্কৃতিক মেলা শুরু হচ্ছে আগামী ২৬ তারিখ থেকে। তিন দিনের মেলায় প্রতিবারের মতো এ বারেও বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অনেকটাই তুলে ধরা হবে। এই নিয়ে ১৪ বছরে পা দিচ্ছে রাঁচির প্রবাসী বাঙালিদের এই মেলা।
এ বারের মেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান তো রয়েছেই। তবে সে সবের মধ্যে এ বারে অন্যতম আকর্ষণ মহানায়ক উত্তমকুমারের স্মৃতি রোমন্থন। রাঁচির জেলা স্কুলের মাঠে যেখানে মেলা হবে তার ঠিক উল্টো দিকেই উত্তমকুমারের বিভিন্ন জনপ্রিয় সিনেমার ছবির প্রদর্শনীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হবে। একই সঙ্গে উত্তমকুমারের ছবির বিভিন্ন জনপ্রিয় গান দিনের বিভিন্ন সময়ে বাজানো হবে মেলা প্রাঙ্গনে। মেলার আহ্বায়ক সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, “বাংলার ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের মধ্যে ফিরিয়ে আনতে বাঙালি যুব মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। প্রবাসের নতুন প্রজন্মের বাঙালিরা উত্তমকুমারকেও চিনুক। তবে শুধু এখানকার নতুন প্রজন্মের জন্যই নয়। উত্তমকুমার সব জায়গার বাঙালিদের কাছে সব সময়ই জনপ্রিয়। ফলে তাঁর মাধ্যমে এই মেলায় বিভিন্ন জনপ্রিয় পুরনো বাংলা সিনেমার স্মৃতি ফিরে আসবে।”
বাংলার ঐতিহ্যের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই মেলার মূল মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে টেরাকোটার ব্যবহারে। প্রতিদিনই থাকছে খাওয়া-দাওয়ার এলাহি ব্যবস্থা। প্রাতরাশ থেকে শুরু করে নৈশভোজ। লুচি থেকে শুরু করে পাবদা। পায়েস থেকে পিঠে পুলি। বাঙালিয়ানাকে রন্ধ্রে রন্ধ্রে ধরতেই এই আয়োজন বলে জান সুপ্রিয়বাবু।
উল্লেখ্য রাঁচিতে বাঙালিদের অস্তিত্ব জোরদার করতে ১৯৯৯ সালে এই মেলার সূচনা করেন রাঁচির বাঙালিরা। তারপর থেকে সময় যতই এগিয়েছে ততই মেলার শ্রী বৃদ্ধি হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এ বারও মেলার তিনদিনই এখানে অনুষ্টান করবেন কলকাতার শিল্পীরা। রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তর নান্দীকার গোষ্ঠীর নাটকও যেমন থাকবে, তেমননি জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের গানও এ বারের মেলার অন্যতম আকর্ষণ। মেলার প্রথম সন্ধ্যায় মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবু সোরেন। দ্বিতীয় সন্ধ্যায় উপস্থতি হবেন আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মরাণ্ডি। শেষ দিন সন্ধ্যায় মেলার উপস্থিত থাকবেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুণ্ডা। |