মারা গেলেন গায়িকা শামশাদ বেগম। বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। দীর্ঘ রোগভোগের পর মঙ্গলবার মুম্বইয়ে নিজের বাড়িতে মৃত্যু হয় তাঁর। ১৯৪০-৫০ এর দশকে বলিউডের গানের জগতে সম্রাজ্ঞী ছিলেন শামশাদ বেগম। জন্ম অমৃতসরে। ’৪৭ সালে সিনেমার গানে হাতেখড়ির আগে রেডিওতে গাইতেন তিনি। অনন্য গায়কীতে ফিল্মের দুনিয়ায় কিছু দিনের মধ্যেই স্বতন্ত্র জায়গা করে নেন শামশাদ। লতা মঙ্গেশকর যখন প্রথম প্লেব্যাক গাইতে আসেন, শামশাদ বেগম তখন খ্যাতির মধ্য গগনে। ‘আন্দাজ’ ছবিতে প্রথম এক সঙ্গে কাজ দুই মহারথীর। গান ‘ডরনা মহব্বত কর লে’। ‘পতঙ্গ’ সিনেমার ‘প্যার কে জাঁহা কি’, ‘দিদার’-এর ‘বচপন কে দিন’-এর মতো ডুয়েট আজও সমান জনপ্রিয়। শামশাদ বেগমের মৃত্যুর খবর পেয়ে বুধবার সকালে টুইট করেন লতা মঙ্গেশকর। লিখেছেন, “সদা হাস্যমুখ, সাদাসিধে এই মানুষটার সঙ্গে বহু ছবিতে এক সঙ্গে কাজ করেছি। ওঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে খুব খারাপ লাগছে।” শোক প্রকাশ করে অমিতাভ বচ্চন জানিয়েছেন, শামশাদ বেগমের সেই অসাধারণ কণ্ঠস্বর থেমে গেল চিরকালের মতো। ২০০৯ সালে পদ্মভূষণ সম্মান পান তিনি। শামশাদের গলা আর শোনা যাবে না ঠিকই, কিন্তু ‘কঁহিপে নিগাহেঁ কঁহিপে নিশানা’, ‘কভি আর কভি পার’, ‘মেরে পিয়া গ্যয়ে রঙ্গুন’, ‘কাজরা মহব্বত ওয়ালা’-র মতো গান এত দিন পর আজও বাজছে সমান তালে।
|
ঐশ্বর্যা রায়, নন্দিতা দাস, সোনম কপূরের পর এ বার বিদ্যা বালন। ৬৬তম কান চলচিত্র উৎসবের ন’জন জুরির মধ্যে একমাত্র ভারতীয় তিনি। বাকি জুরিদের মধ্যে রয়েছেন স্টিভেন স্পিলবার্গ, ‘লাইফ অব পাই’-এর নির্দেশক অ্যাং লি। আর এক ভারতীয় নন্দিতা দাসও থাকছেন জুরির ভূমিকায়, স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি বিভাগে। লাল কার্পেটে হাঁটতে দেখা যাবে ঐশ্বর্যা রায়কেও। উৎসবের শুরু ১৫ মে।
|