র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্তরঞ্জন হস্টেলে। তবে পরে তা প্রত্যাহার করতে চেয়ে আবেদনও করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শ্রীপতি মুখোপাধ্যায় বলেন, “হতে পারে, অভিযোগ প্রত্যাহার করানোর জন্য দুই অভিযোগকারীকে চাপ দেওয়া হয়েছে।” গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে।
বুধবার ইতিহাস বিভাগের প্রথম বর্ষের দুই ছাত্র উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ করেন, ইতিহাস ও বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের দুই ছাত্র প্রতি রাতে ঘরে এসে তাঁদের উপরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএমসিপি পরিচালিত ছাত্র সংসদের এক নেতা এবং সংগঠনের জেলা উপদেষ্টা কমিটির এক সদস্য তাতে মদত দিচ্ছেন। প্রতিবাদ করলে হস্টেল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকিও দিচ্ছেন। শ্রীপতিবাবু বলেন, “পরে দুই অভিযোগকারী আমার কাছে এসে জানান, তাঁদের দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করানো হয়েছে। তাঁরা লিখিত ওই অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিতে চেয়েছেন।”
ছাত্র সংসদের যে নেতার বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ে মদত দেওয়ার অভিযোগ ছিল, তিনি বলেন, “রেজিস্ট্রারের সঙ্গে দেখা করে বলে এসেছি, আমি তদন্তের জন্য প্রস্তুত। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমায় যেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। আসলে আমাদের সংগঠনেরই এক নেতা এই মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছেন।” যাঁর প্রতি এই ইঙ্গিত, সেই নেতা আবার পাল্টা বলেন, “আমি কেন অভিযোগ করাতে যাব! আমাদের সংগঠনের জেলা উপদেষ্টাই দুই ছাত্রকে চাপ দিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহারের চিঠি লিখিয়েছেন।” জেলা উপদেষ্টার দাবি, “আমার সম্মানহানি করতেই এই মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে।” যে দুই ছাত্রের নামে সরাসরি র্যাগিংয়ের অভিযোগ রয়েছে, তাঁরাও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। |