গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে প্রায় দু’মাস ঘরছাড়া থাকা এগারোটি পরিবারকে ঘরে ফেরাল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে। বুধবার ওই পরিবারগুলির প্রায় পঞ্চাশ জন সদস্য ঘরে ফেরেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই ওয়ার্ডের বিসি রোড কালীতলা লাগোয়া গলিতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে একটি সিনেমা হলে নিয়োগ ও ছাঁটাই নিয়ে গোলমাল বাধে। পরেও ওই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এর পর থেকেই প্রায় দু’মাস একটি গোষ্ঠীর সমর্থক ওই ১১টি পরিবার ঘরছাড়া ছিল। ওই পরিবারগুলির সদস্যদের অভিযোগ, গত ১৮ এপ্রিল তাঁরা পুলিশকে জানিয়ে ঘরে ফিরতে গেলে তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীর সমর্থকেরা বাধা দেয়। ইট ছুড়ে এক মহিলার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। তবু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। |
তৃণমূলের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কার্যকরী সভাপতি সৈয়দ মহতাব আলির দাবি, “আমরা ঘরছাড়াদের ব্যাপারে বারবার স্থানীয় কাউন্সিলর রত্না রায় ও বর্ধমান পুরসভার বিরোধী দলনেতা সমীর রায়ের কাছে দরবার করেছি। কিন্তু তাঁরা বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন। বাধ্য হয়ে পুলিশের স্মরণাপন্ন হই।” বর্ধমান থানায় আইসি দিলীপ গঙ্গোপাধ্যায় মঙ্গলবার বলেছিলেন, “ওই ঘরছাড়াদের তৃণমূলই ফেরাবে।” কিন্তু সে দিনও ঘরছাড়ারা এলাকায় ঢুকতে গিয়ে ফের বাধা পান বলে অভিযোগ। নুর হক নামে এক ঘরছাড়ার অভিযোগ, “আমরা প্রতি দিনই বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু আমাদের তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছিল।”
বর্ধমান থানা সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ পেয়ে শেষে পুলিশ ওই পরিবারগুলিকে ঘরে ফেরায়। পুরসভার বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের সমীর রায়ের বক্তব্য, “পুলিশের খাতায় ওই সব লোকজনের নাম রয়েছে। তাই তাঁদের হয়ে আমি কোনও কথা বলতে যাইনি। পুলিশই যা করার করছে।” সদ্য ঘরে ফেরা পরিবারগুলির লোকজনের অবশ্য দাবি, তাঁরা আদালত থেকে জমিন নিয়েই ঘরে ফেরার চেষ্টা করছিলেন।
|