বাড়ির বারান্দায় রাখা পেঁয়াজ খেয়ে নিচ্ছে ছাগল, এই অভিযোগ করতে গিয়ে পড়শির সঙ্গে বচসা। সেখান থেকে লাঠালাঠি। তার জেরে একই পরিবারের ৬ জন সদস্য গুরুতর আহত হয়ে ভর্তি হলেন কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। বুধবার সকালে কাটোয়ার লোহাপোতা গ্রামের ঘটনা। গোলমালের খবর পেতেই ঘটনাস্থলে যান কাটোয়ার সিআই শচীন্দ্রনাথ পোড়িয়া ও ওসি সনৎ দাস। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন তাঁরা। আপাতত পুলিশ টহল চলছে গ্রামে। তবে আহতদের দাবি, তাঁরা কংগ্রেস করেন বলে তাঁদের উপর সিপিএমের দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে। সিপিএম অভিযোগ অস্বীকার করেছে। |
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। আহতদের পরিবারের মকিদ মল্লিকের ‘অভিযোগ’, “প্রতিবেশী ওসমান শেখদের ছাগল প্রতিদিন আমাদের বাড়ির ভিতর ঢুকে পেঁয়াজ খেয়ে পালাত। এ নিয়ে বলতে গেলে আমাকে মারধর করে ওরা।” পুলিশ জানায়, ওই ঘটনার রেশ ধরে লোহাপোতা গ্রামের কবরস্থানের কাছে ওই পরিবারেরই বৃদ্ধ হাসান মল্লিককে একা পেয়ে এ দিন সকালে মারধর করেন অভিযুক্তেরা। সেই খবর পেয়ে ওই পরিবারের অন্যেরা আটকাতে গেলে তাঁরাও গুরুতর জখম হন। এক মহিলা-সহ ছ’জন কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
জখম সাগর মল্লিক, রাজু মল্লিকদের অভিযোগ, “বেশ কয়েক মাস আগে গ্রামের প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিলের চাল চুরি হাতে নাতে ধরা পড়ে। ওই চাল ফেরতও দিতে হয়। এই ঘটনার পরে সিপিএমের রাগ ছিল আমাদের উপর। সে কারণে সুযোগ বুঝে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে।” কাটোয়ার কংগ্রেস বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজনৈতিক হিংসা চরিতার্থ করার জন্য পরিকল্পনা করে কংগ্রেস পরিবারের উপর আক্রমণ করেছে।” যদিও সিপিএম ওই অভিযোগ মানতে চায়নি। দলের কাটোয়া জোনাল কমিটির সম্পাদক অঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ওই ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই। পুরোটাই গ্রাম্য বিবাদ।” পুলিশ জানায়, অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। |