নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
স্কুলের দেওয়ালে প্রধান শিক্ষকের নামে অশালীন কথাবার্তা লেখা নিয়ে চাপান-উতোর শুরু হয়েছে কুলটির মিঠানি উচ্চ বিদ্যালয়ে। সপ্তাহখানেক আগেই এই স্কুলে এক শিক্ষকের সঙ্গে বচসা ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন প্রধান শিক্ষক বৃন্দাবন পাল। এ দিনের ঘটনার খবর পেয়ে স্কুলে যায় পুলিশ। কে বা কারা দেওয়ালে এই সব লিখেছে, তা তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দেয় তারা। প্রধান শিক্ষকের দাবি, পুরো বিষয়টি তিনি শিক্ষামন্ত্রীকে জানাবেন।
বৃন্দাবনবাবু জানান, এ দিন স্কুলে গিয়ে তিনি দেখতে পান, স্কুল ভবনের একাধিক জায়গায় লাল কালি দিয়ে তাঁর নামে অশালীন কিছু মন্তব্য লেখা হয়েছে। দারোয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন, মঙ্গলবার স্কুলে তালা লাগিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময়ে এই লেখাগুলি ছিল না। তিনিও সকালে স্কুলে ঢুকে লেখাগুলি দেখেছেন তিনি। |
বৃন্দাবনবাবুর দাবি, দারোয়ান তাঁকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবারও এ রকম কিছু মন্তব্য চক দিয়ে লেখা হয়েছিল। সেগুলি মুছে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এ দিন লাল কালিতে লেখাগুলি মোছা যায়নি বলে দারোয়ান তাঁকে জানিয়েছেন।
বৃন্দাবনবাবুর অভিযোগ, “আমার ধারণা, এবিটিএ-র সঙ্গে জড়িত কিছু শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে এ সব লিখেছে।” তবে স্কুলের শিক্ষক তথা এবিটিএ নেতা কিংশুক মুখোপাধ্যায় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “শুধু এবিটিএ-র সঙ্গে জড়িত শিক্ষকেরা নন, স্কুলের কোনও শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মী এর সঙ্গে জড়িত নন বলেই আমরা মনে করি।” তাঁর বক্তব্য, “এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি আমরা। আমরা চাই, প্রধান শিক্ষক নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীকে খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুন।” তদন্তে প্রধান শিক্ষককে সর্বতো ভাবে সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। এ দিন দুপুরে স্কুলে যায় নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ। প্রায় ঘণ্টাখানেক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের জজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
|