টুকরো খবর
লাইসেন্স দেবে না পুরসভা
মালদহ শহরে যে সমস্ত ভুইফোঁড় অর্থলগ্নি সংস্থা ব্যবসা করছে তাদের ট্রেড লাইসেন্স দেবে না ইংরেজবাজার পুরসভা। পুরসভার চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘‘পুর আধিকারিকদের নির্দেশ পাঠিয়েছি যাতে একটিও অর্থলগ্নি সংস্থার ট্রেড লাইসেন্স নবিকরণ করা না হয়। ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া কাউকে মালদহ শহরে ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না।” পুরসভা সূত্রের খবর, মালদহ শহরে ৮০টির বেশি অর্থলগ্নি সংস্থা ব্যবসা করছে। প্রায় সব কটির দাবি, তাদের ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে। বেশির ভাগ সংস্থার ট্রেড লাইসেন্সের মেয়াদ ২০১২ সালের মার্চ মাসে শেষ হয়ে গিয়েছে। বাকিদের ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ শেষ হয়েছে। তবে অধিকাংশ সংস্থা লাইসেন্স নবিকরণে আবেদন করেছেন। মালদহ শহরের রাজমহল রোডে অর্থলগ্নিকারি সংস্থা বসুন্ধরা গ্রিন পাওয়ার লিমিটেডের ম্যানেজার জয়দীপ চৌধুরী বলেন, “৩১ মার্চ আমাদের ট্রেড লাইসেন্সর মেয়াদ হয়ে গিয়েছে। নবিকরনের জন্য আবেদন করছি। কিন্তু ইংরেজবাজার পুরসভা এখনও আমাদের ট্রেড লাইসেন্স নবিকরণ করেনি।” একই অবস্থা মালদহ মহিলা কলেজ রোডের সংকল্প প্রজেক্ট লিমিটেড ট্রেড লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। ওই সংস্থার কর্মীরা জানান, নবিকরণের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এ দিন ইংরেজবাজার পুরসভার এক্সিগিউটিভ অফিসার তারককৃষ্ণ ঘোষ ও ফিনান্স অফিসার অরুণ কুমার বিশ্বাস বলেন, “চেয়ারম্যানের নির্দেশ আনুযায়ী আর কোনও রকম ভুঁইফোঁড় বেসরকারি অর্থলগ্নিকারী সংস্থার ট্রেড লাইসেন্স নবিকরণ করা হবে না। সবার ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে।”

অর্থাভাবেই পড়ে আছে ১৪ লক্ষের জেনারেটর
জেনারেটর কেনার প্রস্তাব পাঠিয়ে আর্থিক বরাদ্দ চাওয়া হলেও তা চালুর জন্য বৈদ্যুতিক তার সহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম কেনার ব্যাপারে পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি। জেনারেটর চালানোর জন্য ডিজেল খরচ কী ভাবে জোগাড় হবে সে ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা হয়নি। ১৪ লক্ষ টাকা খরচ করে কিনে রাখা দুটি জেনারেটর কোচবিহার এবিএন শীল কলেজ কর্তৃপক্ষ চালু করতে পারছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। গরমের লোডশেডিং হলে ভোগান্তি শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের। এবিএন শীল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেবনারায়ণ রায় বলেছেন, “ইউজিসির কাছে জেনারেটর চালুর জন্য পরিকাঠামো তৈরির খরচ বাবদ সাড়ে ৪৮ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছে। সেটা পেলেই জেনারেটর দুটি চালু করার ব্যবস্থা হবে।” কোচবিহারের জেলাশাসক, কলেজ পরিচালন সমিতি সভাপতি মোহন গাঁধী বলেন কলেজ কর্তৃপক্ষ এ সমস্যার কথা জানাননি। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।” কলেজ সূত্রে জানানো হয়েছে, ইউজিসি ওই কলেজে জেনারেটর কেনার জন্য দুই কিস্তিতে ১৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়। ওই টাকায় ২০১১ সালের মাঝামাঝি প্রথম জেনারেটরটি কেনা হয়। ২০১২ সালের ডিসেম্বের মাসে কেনা হয় দ্বিতীয় জেনারেটরটি। ৩৫ কেভিএ ক্ষমতার দুইটি জেনারেটর চালুর জন্য তার সহ অন্য আনুষঙ্গিক খরচ বাবদ দরকার সাড়ে ৪৮ হাজার টাকা। প্রাথমিক ভাবে আর্থিক বরাদ্দ চেয়ে রাজ্য শিক্ষা দফতরের কাছে আর্জি জানান কলেজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ইউজিসির বরাদ্দ করা প্রকল্পের জন্য নিয়ম অনুয়ায়ী আর্থিক বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব নয় বলে শিক্ষা দফতর জানিয়ে দেয়। পরিকাঠামোর বন্দোবস্ত না করে আগেভাগে জেনারেটর দুটি কেন কেনা হয় তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।

ফেরত এল রাজ-সোফা
রাজ আমলের সোফা। —নিজস্ব চিত্র।
আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া’র (এএসআই) হাতে কোচবিহার রাজার আমলে তৈরি ‘সোফা’ ফেরত দিলেন এক ব্যবসায়ী। রবিবার বিশ্বজিৎ সাহা এএসআই কর্তৃপক্ষের হাতে সোফাটি তুলে দেন। গত শনিবার সংবাদপত্রে রাজাদের স্মারক উদ্ধারে উদ্যোগের ব্যাপারে খবর প্রকাশের পর নিজেই বিশ্বজিৎবাবু সোফাটি এএসআই-র আধিকারিকদের হাতে তুলে দেন। এএসআইয়ের কলকাতা সার্কেলের সুপারিনটেন্ডেন্ট তপনজ্যোতি বৈদ্য বলেন, “সোফাটি যে রাজ আমলের তা নিয়ে সংশয় নেই। তবে সেটি কত বছরের পুরানো তা পরীক্ষা নিরীক্ষা না করে বলা সম্ভব নয়। সংবাদপত্রে খবর প্রকাশের পর এ ভাবে বাসিন্দারা স্মারক ফেরানোয় আমাদের উৎসাহ বেড়েছে। যাঁরা এমন স্মারক ফিরিয়ে দেবেন, তা দাতার নাম-সহ প্রদর্শনের ব্যবস্থা হবে।” ষাটের দশকে নিলামে অংশ নিয়ে তাঁর বাবা ব্যাঙ্ক কর্মী বিশ্বনাথ সাহা ১৩০ টাকায় সোফা, ফোন স্ট্যান্ড ও একটি চেয়ার কেনেন। শনিবার কাগজ দেখার পরে সোফা ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেন। বিশ্বজিৎবাবু এ দিন বলেন, “সোফাটি বাবার নামে প্রদর্শিত হলে খুশি হব।” হেরিটেজ সোসাইটির পক্ষে সম্পাদক অরূপজ্যোতি মজুমদার জানান, অন্য আসবাবের ছবি মিলিয়ে নিশ্চিত সেটি প্রাসাদে ছিল।

পথ সংস্কারে দাবি ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীদের
রাস্তা সংস্কারের দাবিতে ঘন্টা খানেক রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন হাট ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার দুপুরে গোয়ালপোখর থানার সাহাপুর এলাকায়। সাহাপুর দিয়ে যাওয়া প্রায় ২ কিলোমিটার রাজ্য সড়ক সংস্কারের অভাবে বেহাল। খানাখন্দে ভরা রাস্তা। সামান্য বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। রাস্তার ধারে বসে ব্যবসা করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। উত্তর দিনাজপুরের জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মৌলানা আফজল হুসেন বলেছেন, “পূর্ত সড়ক বিভাগকে বলা হয়েছে। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।”

মজুরি বকেয়ায় বাস আটক রাখার নালিশ
মজুরি বাবদ বকেয়া সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা মেটানোর দাবিতে বিহারের এক ইটভাটার মালিকের বাস আটকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাথাভাঙার বাসিন্দা, একদল শ্রমিকের বিরুদ্ধে। গত রবিবার থেকে মাথাভাঙার থানার শিবপুর এলাকায় বাসটিকে আটক রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। বাসের মালিক পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। বকেয়া মেটানোর বন্দোবস্ত করার দাবিতে পুলিশ-প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন ক্ষুব্ধ শ্রমিকরাও। মাথাভাঙার মহকুমা শাসক শশীকান্ত চৌধুরী বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখে সমস্যা মেটানোর উদ্যোগ নিচ্ছি।” খোঁজখবর নিয়ে সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.