মমতা-মোর্চা কাছাকাছি
ফের পাহাড়ে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী
রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মধ্যস্থতার সপ্তাহখানেকের মধ্যেই ফের কাছাকাছি এল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ও তৃণমূল। সেই জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরের পর থেকে প্রায় আড়াই মাস ধরে ‘সংঘাত’ চলার পরে অবশেষে দু-তরফের সম্পর্কের বরফ অনেকটাই গলল। মঙ্গলবার জিটিএ-এর তরফে রোশন গিরি, হরকাবাহাদুর ছেত্রী ও রোহিত শর্মার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল মহাকরণে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পরে উভয় তরফেই সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে। ভুঁইফোঁড় বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থার প্রতারণার অভিযোগে যখন রাজ্য উত্তাল, সেই সময়ে ফের ‘দার্জিলিং হাসছে’ বলার প্রেক্ষাপট তৈরি হওয়ায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন মহাকরণও। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য সব কিছু করবেন বলে বরাবরই বলছেন। সে জন্য তিনি দু’বছরের মধ্যে ১২ বার দার্জিলিঙে গিয়েছেন। জিটিএ একটা নতুন স্বশাসন ব্যবস্থা। তা চালাতে গিয়ে ভুলভ্রান্তি হতেই পারে। তা শুধরে এগোতে হবে। পাহাড়ে শান্তি, গণতন্ত্র বজায় রেখে উন্নয়ন করতে হবে। সকলে মিলেমিশে থাকলেই কাজটা ঠিকঠাক এগোবে।”
জিটিএ নেতাদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার মহাকরণে। ছবি: সুদীপ আচার্য।
সরকারি সূত্রের খবর, সব ঠিক থাকলে, মে মাসেই দার্জিলিঙের নানা উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে বৈঠক করতে যাবেন মমতা। মোর্চা নেতারা জানিয়েছেন, খোদ বিমল গুরুঙ্গ মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে চান। তার আগে ৩০ এপ্রিল মহাকরণে রাজ্যের মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক করবেন জিটিএ প্রতিনিধিরা। ওই বৈঠকের পরে আগামী ১৩ মে দার্জিলিঙে যাবেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গুরুঙ্গের সঙ্গে জিটিএ-এর সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের রূপরেখা চূড়ান্ত হবে। এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড়ে যাওয়ার দিনক্ষণ ঠিক হবে।
রাজ্যের সঙ্গে ফের সুসম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্র প্রস্তুত হওয়ায় মোর্চার শীর্ষ নেতারাও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। জিটিএ চালাতে যে সমস্যা হচ্ছে তার সমাধান হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। রাজ্যের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে পুরো ৫ বছর জিটিএ চালিয়ে পাহাড়ের উন্নয়ন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে বদ্ধপরিকর আমরা।”
গত ১৭ এপ্রিল সিকিম সফরে গিয়ে রাষ্ট্রপতি গুরুঙ্গ ও তাঁর সতীর্থদের সঙ্গে কথা বলেন। সরকারি সূত্রেই জানা গিয়েছে, ওই সময়ে রাষ্ট্রপতি গুরুঙ্গদের সমস্যার কথা শুনে রাজ্যের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে জিটিএ-র মাধ্যমে পাহাড়ের সামগ্রিক উন্নয়ন করে দেশে দৃষ্টান্ত স্থাপনের পরামর্শ দেন। যা শোনার পরে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনায় বসার ইঙ্গিত দিলেও দোটানায় ছিলেন তিনি। গত আড়াই মাসে বারেবারেই রাজ্যের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে নানা হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরে রাজ্যের তরফে কতটা সদর্থক সাড়া মিলবে, তা নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন না তিনি।
দলীয় সূত্রের খবর, কালিম্পঙের বিধায়ক হরকাবাহাদুর ছেত্রীই আশ্বাস দেন, মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ের যে কোনও সমস্যা সমাধানে আন্তরিক। তাঁরা এগিয়ে গেলে মুখ্যমন্ত্রী কাছে টেনে নেবেন বলে দাবি করেন তিনি। এর পরেই তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলকে মহাকরণে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন গুরুঙ্গ।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.