বহিরাগতদের চিহ্নিত করতে ক্যাম্পাসে নজরদারির সিদ্ধান্ত |
নিরাপত্তায় সিসিটিভি বসাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনার পর নিরাপত্তার স্বার্থে এ বার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসাতে তৎপর হলেন কর্তৃপক্ষ। তাতে বহিরাগাত কারা ক্যাম্পাসে আনাগোনা করছে তা নজরদারি করা সহজ হবে বলে কর্তৃপক্ষ আশাবাদী। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক, বাস্তুকার, নিরাপত্তা বিভাগের প্রতিনিধি-সহ ৬ জনকে নিয়ে এ ব্যাপারে একটি কমিটি গড়াও হয়েছে। কোন জায়গাগুলিতে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানোর প্রয়োজন তারা কিছু জায়গা ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছেন। দ্রুত ক্যামেরাগুলি বসানোর ব্যবস্থা করতে কর্ম সমিতির বৈঠকে বিষয়টি পেশ করে অর্থ অনুমোদন করিয়েও নিতে চান কর্তৃপক্ষ।
উপাচার্য সমীর কুমার দাস বলেন, “বিশ্বব্যিদালয়ের ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বাড়াতে এমন বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা সক্রান্ত বিষয় বলে সেগুলি বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়।” এমনকী শুক্রবার ঘটনার পর উপাচার্য নিজেও সন্ধ্যার পরে গাড়ি নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে বেরচ্ছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সূত্র জানিয়েছেন। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরাও বেশি মাত্রায় সজাগ হয়েছেন।
গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর বিজ্ঞান বিভাগের দুই ছাত্রী গবেষণাগার কাজ সেরে ফেরার পথে ক্যাম্পাসের মধ্যেই তাদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে বহিরাগত যুবকের হাতে। আগেও বিজ্ঞান বিভাগে এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে ক্যাম্পাসে। পর পর এ ধরনের ঘটনায় নড়ে বসেছেন কর্তৃপক্ষ। জরুরি বৈঠক ডেকে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বাড়াতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাসে টহলদারি বাড়ানো হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা বিভাগে ৬ জন কর্মীর একটি দল তৈরি থাকছে। টহলদারির সময় কোথাও গোলমালের খবর পেয়ে তারা সেখানে পৌঁছবেন।
বিশ্ববিদাল সূত্রেই জানা গিয়েছে, ক্যাম্পাসে কারা প্রবেশ করছেন তা গেটে নথিভুক্ত করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পড়ুয়া, শিক্ষক, কর্মীরা পরিচয় পত্র দেখিয়েই ডুকতে পারবেন। বিজ্ঞান বিভাগে গবেষণার কাজ সারতে সন্ধ্যা হয়ে যায় ছাত্রছাত্রীদের। তাদের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে হস্টেলে অথবা ৩ নম্বর গেটে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে গাড়ি ধরে তারা বাড়ি ফিরছেন। প্রশাসনিক ভবন থেকে কলাবিভাগে যাতায়াতের রাস্তায়, বিজ্ঞান বিভাগে যাতায়াতের রাস্তায় অতিরিক্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। রিসার্চ স্কলারদের একাংশ জানান, আগে থেকে সতর্কতা নিলে ভাল হত। তবে দেরিতে হলেও কর্তৃপক্ষ তৎপর হওয়ায় তারা খুশি। ছাত্র সংসদের তরফে দাবি করা হয়, ক্যাম্পাসে সকলেরই পরিচয়পত্র গলায় ঝোলান বাধ্যতামূলক হোক। তাতে বহিরাগতদের চিহ্নিত করা সহজ হবে।
|