তাঁদের বকেয়া ভাতা অবিলম্বে মিটিয়ে দিতে হবে। এই দাবিতে বিডিও-র দ্বারস্থ হলেন খাতড়া ব্লকের আশা কর্মীরা। মঙ্গলবার ৭২ জন আশাকর্মী খাতড়ার সিমলা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। সোমবার তাঁরা বিডিও-র কাছে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। বাড়ি বাড়ি ঘুরে পোলিও, যক্ষারোগীদের ওষুধ খাওয়ানো থেকে গর্ভবতী মায়েদের খোঁজ খবর নেওয়া-সহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করেন আশাকর্মীরা। কাজের নিরিখে প্রত্যেকে তিনশো থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত ভাতা পান। অথচ ৬ মাস ধরে ভাতা পাচ্ছেন না খাতড়া ব্লকের আশাকর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশাকর্মীদের জন্য মাসিক ১৩০০ টাকা করে ভাতা ঘোষণা করেছেন। নিয়ম মেনে কাজ করার পরেও গত নভেম্বর থেকে চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত তাঁরা কোনও ভাতা পাননি। কবে দেওয়া হবে তাও কেউ জানাচ্ছেন না।
বাঁকুড়া জেলা আশাকর্মী ফেডারেশনের সম্পাদিকা চৈতালি ভট্টাচার্যের অভিযোগ, “দীর্ঘদিন ধরে আমরা প্রতি মাসে আমাদের প্রাপ্য ভাতা দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু সেটা পাচ্ছি না।এর ফলে আমাদের মতো বহু আশাকর্মী কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি।” আশাকর্মী শান্তি থাপ্পা, বর্ণালী মুখোপাধ্যায়ের ক্ষোভ, “কাজ করে সামান্য যে ক’টা টাকা পাই, তাতে এই বাজারে সংসার চালানো যায় না। তারপরেও সেই টাকা কয়েক মাস ধরে না পেয়ে আমাদের অবস্থা রীতিমতো করুণ হয়ে পড়েছে। এমনটা চলতে থাকলে আমাদের সংসার চলবে কী করে?” খাতড়ার মহকুমাশাসক শুভঙ্কর বসু অবশ্য বলেন, “বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতরের। তবে কেন ওই আশাকর্মীরা তাঁদের প্রাপ্য টাকা পাচ্ছেন না তা দেখার জন্য বিডিওকে বলা হবে।” জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, “আমি সোমবারই কাজে যোগ দিয়েছি। বিষয়টি জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখব।” |