সমবায় দফতরের তিনটি গুদামে তল্লাশি চালিয়ে বেনিয়ম খুঁজে পেল উত্তর ২৪ পরগনা জেলা খাদ্য দফতরের আধিকারিকেরা। সোমবার দিনভর চলে তল্লাশি।
জেলা খাদ্য নিয়ামক মণিরুল ইসলাম বলেন, “যে পরিমাণ চাল মজুত থাকার কথা ছিল তার থেকে কম চাল পাওয়া গিয়েছে। তার উপর দুটি গুদামে চাল রাখার পরিবেশ ছিল না।”
জেলা খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তল্লাশি চালানো হয় বারাসত হোলসেল কনজিউমার লিমিটেড, হাবরার এলএস মার্কেটিং কোঅপারেটিভ লিমিটেড এবং বনগাঁর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ মাকেটিং সোসাইটি লিমিটেডের গোপালনগর শাখার গুদামে। গোপালনগর শাখার মাকেটিং সোসাইটি লিমিটেড কর্তৃপক্ষকে শোকজ করা হয়েছে। বনগাঁর মহকুমা খাদ্যনিয়ামক দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, ‘‘গোপালনগরের গুদামে সোমবার রাতে ৬৩২ কুইন্টাল চাল কম পাওয়া যায়। পরে অন্য চালকল থেকে সেই ঘাটতি পূরণ করা হয়েছে বলে জানতে পারি আমরা। এটা আরও একটা অপরাধ। আমরা গোপালনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।”
বনগাঁর সমবায় সমিতির রাজ্য সরকার মনোনীত সরকারী সদস্য গোপাল শেঠ বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই চাল বাইরে বিক্রি হয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাচ্ছিলাম। বিষয়টি খাদ্যমন্ত্রী, সমবায়মন্ত্রী ও জেলাশাসককে জানিয়েছি।” রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘ওই সমবায় দফতরগুলিতে দুর্নীতির খবর ছিল। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” তবে গোপালনগর কোঅপারেটিভ কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি গুদামে দুটি ঘর রয়েছে। একটি ঘরে তল্লাশি চালানো হয়েছে। তাই হিসেব পাওয়া যায়নি।
গলাকাটা দেহ মিলল ট্রেনে। বনগাঁ-শিয়ালদহ লোকাল ট্রেনের কামরা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার হল শিয়ালদহ স্টেশনে। মঙ্গলবার ভোরের ঘটনা। ভেন্ডার কামরার মধ্যে থাকা একটি টিনের বাক্স থেকে দেহটি উদ্ধার হয়। রেল পুলিশের অনুমান, নিহতের বয়স আনুমানিক ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশের মধ্যে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রেল পুলিশ। রাত পর্যন্ত মৃতের পরিচয় জানা যায়নি। |