টুকরো খবর |
সারদা-কাণ্ডে রাজ্যকে তোপ শঙ্কর সিংহের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
|
কংগ্রেসের সভা।—নিজস্ব চিত্র। |
দলীয় সভায় মঙ্গলবার কৃষ্ণনগরে জেলা কংগ্রেসের সভাপতি শঙ্কর সিংহ সারদা কান্ডে রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা করলেন। তড়িঘড়ি পঞ্চায়েত ভোট, রাজ্যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও কংগ্রেস কর্মীদের মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতির দাবিতে এ দিন কংগ্রেসের ডাকা প্রতিবাদ সভায় শঙ্কর সিংহ হাজির ছিলেন। তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্র সারদা কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য রাজ্যকে চিঠি দেয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কালক্ষেপ করে তা করেননি। মুখ্যমন্ত্রী নাকি পয়লা বৈশাখে জেনেছেন সারদার অনিয়মের কথা। মুখ্যমন্ত্রী জানার পরও কোম্পানির সর্বময় কর্তা সুদীপ্ত সেন গা ঢাকা দিলেন কী করে?” শঙ্করবাবুর দাবি, তৃণমূল সাংসদরাই পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন সারদা কর্তাকে। সারদা কান্ডকে গত ৩৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারী বলে উল্লেখ করেন কংগ্রেসের জেলা সভাপতি। তাঁর বক্তব্য, “সর্বস্বাস্ত আমানতকারী ও এজেন্টরা দিকে দিকে আত্মহত্যা করছেন। আরও বড় মৃত্যু মিছিল অপেক্ষা করে রয়েছে আমাদের জন্য।” সভায় সমবেত কর্মীদের শঙ্করবাবু বলেন, “বলা হচ্ছে কংগ্রেস নেই। সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচনেই প্রমাণ হয়ে যাবে কংগ্রেসের কত শক্তি। সরকারের সাহস থাকলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিয়ে ভোট করাক।”
|
অনাস্থা ভোটে হার, সরতে হল কল্যাণীর পুরপ্রধানকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রানাঘাট |
অনাস্থা ভোটে হেরে অপসারিত হলেন কল্যাণী পুরসভার পুরপ্রধান। মঙ্গলবার দলীয় হুইপ মেনে সকল তৃণমূল কাউন্সিলর অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন। ভোটের ফল ১৩-০। সিপিএম ও কংগ্রেসের কাউন্সিলররা ছিলেন না। শারীরিক অসুস্থতার দরুন পুরপ্রধান প্রদীপ কুমার সুরও গরহাজির ছিলেন। গত ৩ এপ্রিল উপ পুরপ্রধান-সহ তৃণমূলের দশ কাউন্সিলর তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। উপপুরপ্রধান সুশীল কুমার তালুকদার বলেন, “মানুষের কাজ করার জন্য নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলাম। পুরপ্রধানের জন্য সেটা পারছিলাম না। বাধ্য হয়ে তাঁকে সরানোর জন্য আবেদন করেছিলাম। শীঘ্রই সভা ডেকে নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচন করা হবে।” এ দিন দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রদীপবাবু বলেন, “শারীরিক অসুস্থতার জন্য সভায় যাইনি। দলের নির্দেশ মেনে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছি। যিনি পুরপ্রধান হবেন তাঁকে সহযোগিতা করার জন্য আমি তৈরি।” যদিও তার দাবি, তার আমলে শহরে ব্যপক উন্নয়ন হয়েছে। পুরসভার বিরোধী নদলনেতা সিপিএমের শান্তনু ঝা বলেন, “এটা ওদের নিজেদের গণ্ডগোল, তাই আমরা সভায় না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। তা সত্ত্বেও তৃণমূল কর্মীরা আমাদের কাউন্সিলরদের সভায় না যাওয়ার ব্যাপারে ভয় দেখাচ্ছে।” অভিযোগ অস্বীকার করে কল্যাণীর বিধায়ক রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, “আমরা কোনও কাউন্সিলরকে ভয় দেখাইনি। ভবিষ্যতে আরও উন্নয়ন করার জন্য পুরপ্রধান বদল করা হয়েছে।”
|
প্রধান শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কান্দি |
শৌচাগার নির্মানের টাকা তছরুপের অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাল অভিভাবকরা। মঙ্গলবার কান্দি পুরসভা সংলগ্ন কুমার বিমলচন্দ্র পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শৌচাগার নির্মানের টাকা তছরুপ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। শিক্ষা দফতরের বরাদ্দে শৌচাগার নির্মানের কাজ শুরু হয় প্রায় মাস আটেক আগে। অথচ, এখনও কাজ শেষ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষক সন্তোষ চন্দ্রকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। অভিভাবক বিশ্বনাথ আচার্য, পানু সিংহরা বলেন, “প্রধান শিক্ষক শৌচাগার তৈরির টাকা নয়ছয় করে কাজ বন্ধ করে রেখেছেন।” অভিযোগ অস্বীকার করে সন্তোষবাবু বলেন, “অভিযোগ ভিত্তিহীন। দ্রুত শেষ হবে শৌচাগার তৈরির কাজ।”
|
ক্ষতিপূরণের দাবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হয়ে যাওয়া ফসলের ক্ষতিপূরণের দাবিতে মঙ্গলবার কৃষ্ণনগর ১ ব্লকের বিডিওর কাছে স্মারকলিপি জমা দিলেন কৃষকরা। রবিবার বিকেলে চক দিকনগর, পোড়াপাড়া, ইটলা, সেনপুর ও অন্যান্য এলাকায় ঝড়বৃষ্টিতে ধান, পাট, তিল ও পটলের বাপক ক্ষতি হয়। ইটলার বাসিন্দা কিশোর দেবনাথ বলেন, “ঝড়বৃষ্টিতে আমার পাঁচ বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে। ব্যঙ্ক ও মহাজনের কাছ থেকে নেওয়া ঋণ শোধ দেওয়া দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে।” বিডিও কাবেরী ঘোষ বলেন, “কৃষি দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাদের থেকে পাওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে উর্দ্ধতন কত্বৃপক্ষের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সাহায্য পাওয়ার ব্যাপারে আবেদন করব।”
|
খুনের অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
এক মহিলাকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। নাম টুকটুকি বিবি (২৮)। বাড়ি ধুবুলিয়ার খাজুরিতে। সোমবার দুপুরে প্রতিবেশীরা ঘরের ভিতরে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। মৃতার ভাই লাল্টু শেখ দিদির শ্বশুর, শাশুড়ি ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। মহিলার স্বামী রাজমিস্ত্রীর যোগাড়ের কাজ করেন। লাল্টুবাবু বলেন, “আমরা নিশ্চিত যে দিদিকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।” ঘটনার অভিযুক্তরা পলাতক।
|
বজ্রাঘাতে মৃত ২ |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে এক প্রৌঢ়ের। তাঁর নাম মান্নান মণ্ডল (৬০)। বাড়ি হোগলবেড়িয়ার মধুগাড়ি এলাকায়। মঙ্গলবার সকালে পদ্মার ওপারে চরের জমিতে কাজ করার সময় বজ্রঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। অন্যদিকে মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের এড়োয়ালিতে মঙ্গলবার দুপুরে ঝড়-বৃষ্টির সময় বাজ পড়ে আনন্দ কোনাই (৩৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়।
|
আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ধৃত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কান্দি |
মাস্কেট ও গুলি সহ আনার শেখ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার খড়গ্রামের সাদল থেকে পুলিশ ওই যুবককে ধরে। |
|