তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং ছাত্র পরিষদের সংঘর্ষে মাথা ফেটেছে ছাত্রপরিষদের এক নেতার। মঙ্গলবার দুপুরে বহরমপুর কলেজে ওই ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর জখম তমাল দাসকে রক্তাক্ত অবস্থায় মোটরবাইকে করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করানো হয়। তাঁর মাথায় তিনটে সেলাই পড়েছে। ওই ঘটনায় বহরমপুর থানায় অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ জমা পড়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। ঘটনায় এই দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্রপরিষদের দখলে রয়েছে বহরমপুর কলেজ ছাত্র সংসদ। কিছু দিন আগে ছাত্র পরিষদের কয়েক জন সদস্য তাদের দলে যোগ দেয় বলে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাবি। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সহ-সভাপতি শামিম শেখ বলেন, “আমাদের দলে সদ্য যোগ দেওয়া ওই ছাত্র-সমর্থকরা এদিন কলেজ গেলে ছাত্র পরিষদের সদস্য-সমর্থকেরা তাঁদের মারধর করে। প্রতিরোধ করতে গেলে ছাত্রপরিষদের এক জন জখম হন।” ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি সরফরাজ শেখের পাল্টা দাবি, “ছাত্র সংসদ এ দিন কলেজ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বই বিতরণের কর্মসূচি নিয়েছিল। ওই কর্মসূচি ভণ্ডুল করতেই তৃণমূলের সমর্থক বহিরাগত কয়েকজন লাঠিসোটা নিয়ে এদিন কলেজে ঢুকে আমাদের সদস্য-সমর্থকদের মারধর করে। বাঁশের আঘাতে তমাল দাসের মাথা ফেটেছে।” কলেজ অধ্যক্ষ সমরেশ মণ্ডল উপস্থিতিতেই দু’পক্ষ গণ্ডগোলে জড়িয়ে পড়ে বলেও অভিযোগ। সমরেশবাবু বলেন, “আচমকা ছাত্ররা নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু করে। আমি তাদের থামানোর চেষ্টা করি। গণ্ডগোল থেমেও যায়। পরে তারা ফের মারামারি করেছে কি না, আমার জানা নেই।” |