ইস্টবেঙ্গল ২(পেন, লালরিন্দিকা)
সেলাঙ্গর এফ সি ২ (সুকুর, লতিফ) |
২-০ এগিয়েও শেষ পর্যন্ত ২-২। দৃষ্টিকটু ফাউল করে মননদীপ সিংহ লালকার্ড দেখার পর ইনজুরি টাইম নিয়ে শেষ সতেরো মিনিটে দশ জন হয়ে পড়া। সেই সময় সেলাঙ্গরের পরপর দু’গোল। তাতেও ইস্টবেঙ্গল আটকাল না। দরকারি এক পয়েন্ট নিয়ে চলে গেল এএফসি কাপের শেষ ষোলোয়। লাল-হলুদের সুখের দিনে খারাপ খবর, পায়ের হাড়ে চিড় খাবরার। ছ’সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাকে। এই মরসুমে আর মাঠে নেই।
ন’বছর আগে আসিয়ান কাপ জয়ের বছরেই শেষ বার এএফসি কাপে নক আউটে উঠেছিল ইস্টবেঙ্গল। সুভাষ ভৌমিকের কোচিংয়ে। তারপর এ বার মর্গ্যানের কোচিংয়ে। আই লিগ কার্যত হাতছাড়া হয়ে গেলেও সাহেব কোচ লাল-হলুদ সমর্থকদের সান্ত্বনা পুরস্কার অন্তত এনে দিলেন মালয়েশয়ার মাটিতে মঙ্গলবার। জেতা ম্যাচ হাতছাড়া হওয়ায় মর্গ্যান অবশ্য বিরক্ত। “ম্যাচটা আমাদের জেতা উচিত ছিল। পরের ম্যাচে সায়গনের বিরুদ্ধে জিততেই হবে। মনোবল বাড়াতে।” |
সেলাঙ্গরকে যুবভারতীতে ১-০ হারিয়েছিলেন চিডি-মেহতাবরা। এ দিন শাহ আলম স্টেডিয়ামেও সুকুর-লতিফদের বিরুদ্ধে পেন-ইসফাকরা শুরু করেছিলেন প্রচণ্ড গতিতে। প্রথমার্ধের বিপক্ষ রক্ষণের ভুলে পেন গোল করে যান। নাইজিরিয়ান মিডিওকে পরের মরসুমে দলে রাখা নিয়ে জোর জল্পনা চলছে। সে জন্য সম্ভবত জেদ চেপে বসেছে পেনের। এ দিন বেশ ভাল খেললেন তিনি। চিডি-বরিসিচ জুটিকে সামনে রেখে ৪-৪-২ ফর্মেশনে দল সাজিয়েছিলেন মর্গ্যান। দু’টো উইং দিয়ে তীব্র আক্রমণ গড়ে তুলছিলেন মর্গ্যানের ছেলেরা। চিডির শট সেলাঙ্গর গোলকিপার ফেরালে তা থেকে গোল করে যান লালরিন্দিকা। কিন্তু দশ জনে হয়ে যাওয়ার পর ইস্টবেঙ্গল ছন্দ হারায়।
বরিসিচের বদলে মননদীপ নেমেছিলেন। কিন্তু অযথা ফাউল করেন আসারউদ্দিনকে। দশ বনাম এগারো হয়ে যাওয়ায় বাড়তি অক্সিজেন পেয়ে যায় মালয়েশিয়ার দল। পালটা লড়াই শুরু করে দুটো দুর্দান্ত দূরপাল্লার শটে ২-২ করে দেন আব্দুল সুকুর এবং আব্দুল লতিফ। প্রায় পঁচিশ গজ দূর থেকে নেওয়া শট দুটি ইস্টবেঙ্গল গোলে ঢোকার সময় বিতর্কিত গোলকিপার গুরপ্রীতকে অসহায় দেখাল।
ইস্টবেঙ্গল: গুরপ্রীত, খাবরা (নওবা), গুরবিন্দর, ওপারা, রবার্ট, ইসফাক, মেহতাব, পেন, লালরিন্দিকা, চিডি (বলজিৎ), বরিসিচ (মননদীপ)। |