জেমস মোগার গোল-বক্সের মধ্যে দৌরাত্ম্য আটকাতে আজ ইচে-ই প্রধান অস্ত্র মোহনবাগানের।
দু’দিন আগে হেনরি-সুনীলকে আটকাতে ল্যাজেগোবরে হয়েছিল বাগান ডিফেন্স। কার্ড সমস্যায় ইচে আটকে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছিল বাগান। ডেরেক পেরেরার দলের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগের দিন বাগান কোচের অকপট স্বীকারোক্তি, “চার্চিলের বিরুদ্ধে রক্ষণ একেবারে ভেঙে পড়েছিল। কাল ম্যাচে ইচে দলে ফিরছে। এটা পুরো দলের চিন্তা কমাবে।”
এমনিতে আজকের ম্যাচের যুদ্ধটা একটু অন্য রকম। ডেরেক পেরিরার পুণের লক্ষ্য, ম্যাচ জিতে ইস্টবেঙ্গলকে টপকে রানার্স হওয়া। উল্টো দিকে করিমের দলের লক্ষ্য, অবনমন বাঁচানো নিয়ে অতি সামান্য যে অস্বস্তি আছে, ম্যাচ জিতে তা দূর করা।
লিগ টেবিলে নিজেদের আরও ভাল জায়গায় নিয়ে যেতে দু’দলের লড়াইয়ের চেয়েও অন্য এক লড়াই ঘিরে আজ উত্তপ্ত হতে পারে কল্যাণী। পুণেতে আই লিগের প্রথম ম্যাচে ওডাফার সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন জেমস মোগা। বালেওয়াড়ি স্টেডিয়াম থেকে টিম বাসে ওঠার আগে ওডাফা হুঙ্কার দিয়ে এসেছিলেন, “কলকাতায় গেলে দেখে নেব তুমি কত বড় স্ট্রাইকার!” আজ রবিবার সেই ম্যাচ। তবে ওডাফা এ দিন সুদানি স্ট্রাইকারের বিরুদ্ধে কোনও ‘গোলা’ ছোড়েননি। শান্ত গলায় মোহন-অধিনায়ক শুধু বলে দিয়েছেন, “ম্যাচটা আমরা জিততে চাই। এখনও আমাদের তিন-চার পয়েন্ট দরকার।” |
ওডাফা যে ভয়ঙ্কর হবেন তা নিয়ে কোনও দ্বিধা নেই করিমের। কিন্তু ইচে ফিরলেও তাঁর রক্ষণ কতটা ‘সবল’ হবে তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন করিম। সে জন্য মঙ্গলবার সকালে মূল অনুশীলনের পর আলাদা করে ডিফেন্ডারদের ক্লাস নিতে দেখা গেল তাঁকে। ইচে দলে ফেরায় কুইনটনকে বসতে হচ্ছেই। টোলগে-ওডাফাকে সামনে রেখেই ৪-৩-৩ ছকে নিজের ঘুঁটি সাজাচ্ছেন মরোক্কান কোচ। করিমের আদর্শ রিয়াল মাদ্রিদের ম্যানেজার মোরিনহোর আক্রমণাত্মক মনোভাব এবং রিয়ালের খেলায় যে গতি সেটাই তিনি আজ মিশিয়ে দিতে চান ওডাফাদের খেলায়। শুরু থেকেই চূড়ান্ত আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে চায় বাগান।
সুভাষ ভৌমিকের চার্চিলকে পারেননি। কিন্তু পুণে বধের জন্য করিম মরিয়া। ওডাফা-টোলগে-নবিরা তাঁর স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন কি না সেটা সময় বলবে। তবে ডেরেক পেরেরা কিন্তু পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছেন বাগানকে। বলে দিয়েছেন, “আমরাই জিতব।” তবে রেফারিং নিয়ে পুণে কোচ চিন্তায় আছেন। বিকেলে কল্যাণীতে অনুশীলনের পর বলছিলেন, “রেফারিং যদি ঠিক হয় তা হলে আমাদের আটকাতে পারবে না।”
ডেরেক জেতার কথা বললেও বর্তমান মরসুমে ওডাফাদের কিন্তু একবারও হারাতে পারেনি পুণে এফসি। দু’বার বাগানের মুখোমুখি হয়েছেন ডেরেক। একবার ড্র করেছেন। একবার হেরেছেন। পুণে কোচ অবশ্য এ সব পরিসংখ্যানকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। করিম ব্রিগেডকে আটকাতে নানা অঙ্ক কষছেন দেশের অন্যতম শিক্ষিত কোচ। করিমও বসে নেই। তিনিও পাল্টা স্ট্র্যাটেজি তৈরি করছেন ম্যাচ জিততে। দলে ‘ফিল গুড’ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে মরিয়া মরোক্কান কোচকে অনুশীলনের পর গাইতেও শোনা গেল, “উই শ্যাল ওভারকাম...”
দেখার মোহনবাগান ফের জয়ে ফিরতে পারে কি না। |
বুধবারে আই লিগ ফুটবল
মোহনবাগান: পুণে এফ সি (কল্যাণী ৩-৩০)। |