আইপিএলের গত পাঁচ বছরে যে ব্যাপারটা আমার সবচেয়ে ভাল মনে হয়েছে, তা হল এক ঝাঁক তরুণ ক্রিকেটারের উঠে আসা। অবশ্য এমনটা যে হবে, তেমন আশা এবং ভাবনা ছিলই। তাই এটা অপ্রত্যাশিত কোনও ঘটনা নয়। তবে একসঙ্গে এতগুলো ভারতীয় ছেলের উঠে আসা দেখে মনে হচ্ছে, এ বার থেকে বিশ্ব ক্রিকেটকে হয়তো ভারতই শাসন করবে।
হ্যাঁ, ভারতীয় ক্রিকেটের দুঃসময় কেটে গিয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। এবং তার অন্যতম কারণ, বিশ্বের সেরা ক্রিকেটারররা এই ভারতীয় তরুণদের সঙ্গে নিজেদের অভিজ্ঞতা, ভাবনাগুলো ভাগাভাগি করে নিচ্ছে। এই ব্যাপারে তারকারাও সব সময়ই তৈরি। ছেলেগুলোকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলার ব্যাপারে ওদের কখনও কিপটেমি করতে দেখেছি বলে মনে পড়ে না।
এ বার বরং ক্রিকেটে ফেরা যাক। বুধবারের ম্যাচটা দুই দলের পক্ষেই খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে জয়টা ওদের চেয়ে আমাদেরই বেশি দরকার। কারণ, আমাদের হাল বেশ খারাপ। এই টুর্নামেন্টে সহজ ম্যাচ বলে কিছু নেই ঠিকই। তবে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচে জিততে গেলে আমাদের সেরাটা উজাড় করে দিতেই হবে। এমনিতেই মুম্বই যথেষ্ট ভাল দল। তার ওপর আগের ম্যাচে সচিন হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছে এবং ওদের আরও কয়েকজন ব্যাটসম্যান ফর্মে ফিরে এসেছে। এ জন্য আমাদের এককাট্টা হওয়া খুব জরুরি। সবাই মিলে ঝাঁপিয়ে না পড়লে মুম্বইয়ের মতো দলের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নেওয়া অসম্ভব।
কেকেআর শিবিরে এই একটা জিনিস অসাধারণ। নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্ব, ভাল সম্পর্ক সর্বদাই বজায় থাকে। ভাল সময়ে তো বটেই, খারাপ সময়েও আমাদের আমাদের সম্পর্কে কখনও চিড় ধরেছে বলে মনে পড়ে না। এখনও তাই। আসলে মাঠের বাইরে যত নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক ভাল হবে, যত বোঝাপড়া বাড়বে, মাঠেও তত দলটা এককাট্টা হবে। একে অপরের প্রতি বিশ্বাস না থাকলে সবাই মিলে চাপ সামলাব কী করে? মাঠের বাইরের চাপটা কাটাতে ছুটির মধ্যে একদিন আমরা একসঙ্গে গল্ফও খেললাম। বেশ মজাদার অভিজ্ঞতা। কয়েকজন তো গল্ফে রীতিমতো পাকা। যেমন ব্রেন্ডন ম্যাকালাম। ক্রিকেটে না এসে ও যদি গল্ফ খেলত, তা হলে সেখানেও সফল হত। কিন্তু এখন ক্রিকেট মাঠে সাফল্যই আমাদের বেশি প্রয়োজন। |