অনবদ্য কেরিয়ারের আরও একটা মাইলস্টোনে পৌঁছল সচিন। ফর্টি প্লাস ক্লাবে স্বাগত ওকে। আগেই এই ক্লাবে ঢুকে পড়েছি, এখন তো আমি প্রতিষ্ঠিত সদস্যও। তাই কোনও ভাবে গাইড প্রয়োজন হলে ওর জন্য সব সময় রয়েছি। তবে সচিনকে যত টুকু চিনি, আমি নিশ্চিত ও রাস্তা নিজেই খুঁজে নেবে।
শুধু ৪০ বছর বয়েসে পা দেওয়াই নয়, ও এখনও সক্রিয় ক্রিকেটার যার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৪ বছর হয়ে গেল। এটা গ্র্যান্ড সেলিব্রেশন আর ওকে স্যলুট করার দারুণ সময়। জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা বন্ধু।
প্রথম ওর সঙ্গে পরিচয় হওয়ার দিন থেকে আজ পর্যন্ত ক্রিকেটের জন্য সচিনের আত্মত্যাগ আর টিমের স্বার্থকে সবার আগে রাখাটা দেখে আশ্চর্য হয়ে যাই। এখনও অপশনাল প্র্যক্টিসে সচিন সবার আগে তৈরি হয় নামার জন্য। কেরিয়ারে এত কিছু পাওয়ার পরও ক্রিকেটের উপর ওর কতটা ভালবাসা আর আবেগ জড়িয়ে রয়েছে এতেই বোঝা যায়। ক্রিকেট আর সচিনকে কখনও আলাদা করা যায় না। শুধু ক্রিকেটের জন্যই নয়, দেশ এবং বিশ্ব ক্রিকেটের জন্যও সচিন কম করেনি। ওর কেরিয়ারের সঙ্গে আমার কেরিয়ারও বেশ কয়েক বছর সমান্তরাল ভাবে চলার সুযোগ এসেছে বলে আমি গর্বিত।
এই আইপিএলেও সচিন বিভিন্ন মাঠে খেলতে নেমে যা রিসেপশন পেয়েছে সেটা দেখেও কম গর্ব হয়নি। মুম্বইয়ে ওর জনপ্রিয়তা নিয়ে কিছু বলার নেই। কিন্তু এ ছাড়াও যেখানেই আমরা খেলতে নেমেছি বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, জয়পুর, দিল্লি, সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়েছি। যখনই সচিন ব্যাট করতে নেমেছে গ্যলারিতে দর্শকরা গর্জন করে উঠেছে। এতেই বোঝা যায় ওর জন্য ফ্যানদের কতটা শ্রদ্ধা আর ভালবাসা রয়েছে। আর এমন আবহেই বুধবার আমরা কলকাতা নাইট রাইর্ডাসের বিরুদ্ধে খেলতে নামছি।
কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারাতে পারলে চমৎকার জন্মদিনের উপহার দেওয়া হবে সচিনকে। আমার পরিষ্কার মনে আছে দেশকে এ রকমই একটা বার্থডে গিফট দিয়েছিল সচিন ১৯৯৮-এর এপ্রিলে। যখন ২৫তম জন্মদিনের উৎসব সেরেছিল শারজায় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ফাইনালে দুরন্ত একটা সেঞ্চুরি করে। নিঃসন্দেহে একদিনের ক্রিকেটে আমার দেখা অন্যতম সেরা ইনিংস। যে ভাবে অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সেরা বোলিং আক্রমণকে তছনছ করে দিয়েছিল ও, নিশ্বাস ফেলতে ভুলে যাওয়ার উপক্রম। তার দু’দিন আগে একই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অসাধারণ সেঞ্চুরিতে একার হাতে আমাদের ফাইনালে তুলেছিল। যেটা মরু ঝড় নামে বিখ্যাত। তারপর আবার ফাইনালে জিতিয়েছিল। ১৫ বছর পরও ও ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলার ক্ষমতা রাখে। আরও উন্নতি করার প্রচণ্ড খিদে থেকেই এ রকম একটা ইনিংস বেরিয়ে আসতে পারে সচিনের ব্যাট থেকে। এত বছর ধরে স্ট্যান্ডার্ডটা ও এ ভাবেই বজায় রেখেছে। |