|
|
|
|
কর্মী-সমর্থকরা আক্রান্ত, প্রশাসনকে তোপ দীপকের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পার্টি অফিস আক্রান্ত। আক্রান্ত নেতা-কর্মীরাও। এই অবস্থায় পুলিশ-প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে পথে নামার হুঁশিয়ারি দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দীপক সরকার। সোমবার দলীয় কর্মসূচি শেষে দীপকবাবু বলেন, “আক্রমণ চলছেই। অথচ, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমরা একটা সময় পযর্র্ন্ত অপেক্ষা করব। তারপর মানুষের কাছে গিয়ে তাঁদের সমবেত করব। আগে মেদিনীপুরে আমরা ৫০ হাজার মানুষের মিছিল করেছি। এখন লক্ষাধিক মানুষের মিছিল
করতে পারব।” সোমবার জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বামফ্রন্ট। জানানো হয়েছিল, সকাল ১১টায় কর্মসূচি হবে। |
|
বৈঠকে বাম প্রতিনিধিদল।—নিজস্ব চিত্র। |
সেই সময় জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত এবং পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী, কেউই নিজেদের দফতরে ছিলেন না। পরিস্থিতি দেখে অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) রজতকুমার সাইনি এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মেহেমুদ আখতারের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি জমা দেন তাঁরা। ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হরেকৃষ্ণ সামন্ত, সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রাণা-সহ জেলার বাম সাংসদ-বিধায়কেরা। তাঁদের অভিযোগ, দিল্লিতে অর্থমন্ত্রীকে হেনস্থার পর থেকে জেলার দাসপুর, দাঁতন, সাঁকরাইল, মেদিনীপুর, ঘাটাল, খড়্গপুর, বেলদা, সবং, ডেবরা-সহ ৪৯টি পার্টি অফিসে হামলা হয়েছে। এর মধ্যে সিপিএমের ৪৫টি, সিপিআইয়ের ৩টি এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের ১টি। তিনটি পার্টি অফিস দখল করেছে তৃণমূল। ৬৫ জন নেতা-কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে ১৭টি এফআইআর এবং ৫টি জিডি হয়েছে। দীপকবাবুর কথায়, নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যে মামলা করে গ্রেফতার করা হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। তাঁর কটাক্ষ, “ঘাটালে এক ভুঁইফোঁড় সংস্থার অফিস পুলিশ পাহারা দিচ্ছে। আসলে, প্রতারকদের রক্ষার জন্য পুলিশ যতটা তত্পর, মানুষকে রক্ষায় তার একভাগও নয়।”
সোমবার সকালে নিজেদের দফতরে অনুপস্থিত থেকে জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপার তাঁদের এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ দীপকবাবুর। তিনি বলেন, “পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচীতে ওঁদের অনুপস্থিতি অবাঞ্চিত। এমন ঘটনা থেকেই স্পষ্ট, জেলার সর্বোচ্চ প্রশাসকেরা প্রধান বিরোধী শক্তির মুখোমুখি হতে চাইছেন না।” সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রাণা বলেন, “তৃণমূলের সংগঠিত আক্রমণে একের পর এক পার্টি অফিস আক্রান্ত। অথচ, পুলিশ ঘটনাস্থলেই যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারই আক্রান্ত হচ্ছে।” জেলায় এক হাজারেরও বেশি কর্মী-সমর্থক তৃণমূলের হামলার ভয়েই বাড়ি ফিরতে পারছেন না বলে দাবি বাম নেতৃত্বের।
|
|
|
|
|
|