|
|
|
|
বিবেক রথযাত্রা শুরু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
অশান্ত এলাকায় সম্প্রীতির বার্তা ছড়াতে ও বিবেকানন্দের সার্ধশতবর্ষ উদ্যাপনের অংশ হিসেবে বিবেক রথযাত্রা শুরু হল। গুয়াহাটি, শিলং ও চেরাপুঞ্জি রামকৃষ্ণ মিশনের উদ্যোগে অসমের ধুবুরি থেকে মেঘালয়ের শিলং অবধি এই রথ চলবে। যাত্রা শেষ হবে শিলঙের বিবেকানন্দ সংস্কৃতি কেন্দ্রের সামনে। এই সংস্কৃতি কেন্দ্র আগে কুইন্টন হল নামে পরিচিত ছিল। ১৯০১ সালের ২৭ এপ্রিল এখানে শেষবার, জনসমক্ষে স্বামীজি ভাষণ দেন।
গুয়াহাটি রামকৃষ্ণ মিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব স্বামী সর্বভিষানন্দ জানান, আজ সকালে ধুবুরি থেকে বিবেক রথযাত্রা শুরু করেছে। সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ জর্জর বিলাসিপাড়া, চাপড়, শালমারা, গোয়ালপাড়া, কৃষ্ণাইয়ে ভ্রাতৃত্বের বাণী ছড়িয়ে, কাল রথ গুয়াহাটি আসবে। ২৫ এপ্রিল যাবে কামাখ্যায়। ১৯০১ সালে ঢাকা হয়ে কামাখ্য এসেছিলেন বিবেকানন্দ। সঙ্গে ছিলেন মা। কামাখ্যার যে বাড়িটিতে তিনি ছিলেন, তার বর্তমান মালিক নিরঞ্জন পাণ্ডা সেই দোতলার ঘরটিকে মোটামুটি নিজের চেষ্টায় অবিকল রেখেছেন। তাঁর ব্যবহার করা খাটটিও ভগ্নাবস্থার রাখা আছে। কামাখ্যা ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে বিবেকানন্দের নামাঙ্কিত স্মৃতি ফলকের সামনে একটি জনসভার আয়োজন করা হয়েছে।
পরের দিন নংপো, উমসিং হয়ে রথ শিলং পৌঁছবে। সেখানে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের উপ সভাপতি স্বামী প্রভানন্দ রথকে স্বাগত জানাবেন। ২৭ এপ্রিল লাবানে বের হবে মহামিছিল। শিলং রামকৃষ্ণ মিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব স্বামী অচ্যূতেশানন্দ জানান, গুয়াহাটিতে স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ায় তদানীন্তন চিফ কমিশনার স্যর হেনরি কটন বিবেকানন্দকে শিলং পাঠাবার ব্যবস্থা করেন। লাবান বাট্টি বাজার এলাকায়, সুনামগঞ্জের জমিদারের বাড়িতে বিবেকানন্দের থাকার ব্যবস্থা হয়। এখানে তিনি সামান্য আরাম পেয়েছিলেন। লেখেন, মা যেমন অসুস্থ শিশুকে কোলের ভিতর নিয়ে কষ্টের উপশম দেয়, শিলঙের পরিবেশ, আবহাওয়া তাঁকে তেমনই আরাম দিয়েছে। কিন্তু কয়েক দিন আরাম পেলেও পরে হাঁফানি ও বহুমূত্র বেড়ে যায়। শরীরে বেড়ে যায় অ্যালবুমিন। সেই অসুস্থ অবস্থাতেও কুইন্টন হলে সনাতন হিন্দু ধর্মের উপরে বক্তৃতা দেন তিনি। সেটিই তাঁর শেষ প্রকাশ্য বক্তৃতা। হোমরু রয় ডিংডো খাসি ভাষায় বক্তৃতাটির অনুবাদ করে। মিনটা মাসিক পত্রিকায় তা প্রকাশিতও হয়। সেটি বাংলায় অনুবাদ করেন স্বামী সোমেশ্বরানন্দ। দিন ১৫ শিলঙে কাটিয়ে গুয়াহাটি হয়ে স্বামীজি কলকাতা ফিরে যান। স্বামীজি যে হলে ঠিক ১১২ বছর আগে শেষবার ভাষণ দিয়েছিলেন সেখানেই দু’দিন মূল অনুষ্ঠানটি হবে। থাকবে ভক্ত সম্মেলন ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
|
|
|
|
|
|